পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२९ অধ্যাপক পথ , রাজনৈতিক জীবনের যে অল্প আস্বাদ ঘটেছিল তার জীবনে, পরে সে দেখেছে যে তার প্রকৃতিতে সে পথে চলা তার অসম্ভব । একটা অস্কায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সেখানে যত অন্যায়ের সঙ্গে করতে হয় সন্ধি, অধর্ম্মকে বরণ করে নিতে হয় আত্মীয় বলে’ । যুদ্ধ যে কেবল করতে হয় রাজশক্তির সঙ্গে তা নয়, যুদ্ধ করতে হয় রাজনৈতিক দলের নানা নেতার ব্যক্তিগত স্বার্থের সঙ্গে । এই যুদ্ধে একটা দলকে অনুসরণ করে আর সেই দলের স্বার্থ বজায় রাখবার জন্য নিজের বিবেক বুদ্ধিকে বিসর্জন দিয়ে যদি যুদ্ধ করা যায় রাজশক্তির জন্য, আর রাজশক্তির কাছে যদি বারংবার হওয়া যায় নিগৃহীত তবে পাওয়া যায় একটা দিগ্‌জোড়া বাহবা । এই রাজশক্তির সঙ্গে দ্বন্দ্বে যদি কোনদিন কোন স্বফল ঘটে তবে তা ঘটবে সমগ্র ইতিহাসের গতিতে । সে ইতিহাসের মধ্যে ব্যক্তিগত দান কতটুকু ত৷ খতিয়ে দেখা অসম্ভব। জীবন ভরে যেতে হবে একদিকে যুদ্ধ করে’, অপর দিকে অন্যায় অসত্যকে প্রশ্রয় দিয়ে । কোন সময়ে পাবে দেশের বাহবা, কোন সময়ে পাবে দেশের নিন্দ । কিন্তু সমস্ত জড়িয়ে কি ফল যে লাভ করতে পারবে সে সম্বন্ধে কোন আশা নেই । বাইরের চাটু বচনের প্রতি, যশের প্রতি, খ্যাতির প্রতি তার কোন দুর্দ্দমনীয় লোভ ছিল না । তার লোভ ছিল যে ন্যায় ও ধর্ম্মের পথে, সত্যের পথে, কর্ম্মের পথে ও সাফল্যের পথে সে আপনাকে দেবে অগ্রসর করে । তাই তার মনে হ’ল যে কাজ সে আরম্ভ করেছে যদিও তার প্রকৃতির সঙ্গে তার সম্পূর্ণ ঐক্য নেই তবুও সেই পথই হচ্ছে একমাত্র পথ, যা সে অবলম্বন করতে পারে। তার জন্য একান্ত প্রয়োজন হচ্ছে এই ল্যাবরেটরীকে বাচিয়ে রাখা এবং বাড়িয়ে তোলা । সঙ্গে সঙ্গে তার মনে হ’ল মুজাতার কথা। বিপুল ধনের সে