পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ৪২৫ লাইট পড়ে' নানাস্থানে উন্মুক্ত করছে জ্যোতির উদ্ভাস । চিরপরিচিত মাটির ধরণী যেন বাস্তব ও কল্পনার রঙীন সূত্রে পরিধান করেছে একটা নূতন পরিচ্ছদ। বাস্তব যেন মিলিত হচ্ছে কল্পনায়, কল্পনা যেন আলোক পাচ্ছে বাস্তবে । স্বজাত বললে—“কি সুন্দর এই রাত্রি !” কানাই বললে—“আলো ও আঁধারে মেশানো মানুষের হৃদয়থানি যেন মূর্ত্তি নিয়ে নেমে এসেছে বাইরের জগতে ” স্বজাত বললে—“আঁধার ও আলো এই দুটোর মধ্যে কোনটা বড় সত্য বলতে পারেন ।” কানাই বললে—“যেখানে আমরা আমাদের খুজে পাই সেই আমাদের কাছে বড় সত্য । আঁধারে ফেলি আমরা আমাদের হারিয়ে, আমাদের বুদ্ধির বিলুপ্ত হয় প্রেরণা, তাই আলোই আমাদের কাছে বড় সত্য ।” স্বজাত বললে—“কিন্তু আঁধার যথন ফেলে আপনাকে ঢেকে ?” কানাই বললে—“তখন এই কথাই বিশ্বাস করে থাকৃতে হবে যে এমন একদিন আসবেই যেদিন আঁধারেব বুক চিরে বেরিয়ে আসবে আলো ।” স্বজাত বললে—“কোনটা নিছক কল্পনা আর কোনটা সত্য তা কে নির্ণয় করতে পারে ? যে কল্পনা আপনাকে সফল করে কায্যের মধ্যে এনে দেয় সত্যকে আমাদের মুঠোর মধ্যে সেই কল্পনাকেই আমর। বলব সত্য ।” no স্বজাত জিজ্ঞাসা করলে—“সত্য বলে কি স্থির কিছু নেই ?” কানাই বললে—“এটা হ’ল একেবারে তত্ত্বশাস্ত্র বা Metaphysicsএর আলোচনা। আমার সে বিষয়ে কিছু জ্ঞান নেই, আমি বুঝি যে