পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২৬ অধ্যাপক মানুষ আপনাকে নিয়ে এবং বাহাজগৎকে নিয়ে এবং মনুষ্য-সমাজকে নিয়ে গড়ে তার আপন সত্য । সে সত্যের পরিচয় পায় সে তার আপন চাওয়ার প্রাপ্তিতে।” স্বজাত বললে—“চাওয়ার ত কোন শেষ নেই ।” কানাই বললে—“পাওয়ারও ত কোন শেষ নেই । চাওয়া আপনাকে ব্যক্ত করে পাওয়ার মধ্যে এবং পাওয়া আপনাকে ব্যক্ত করে চাওয়ার মধ্যে ।” স্বজাতা বললে—“এর মধ্যে বেশী কম নেই ?” কানাই বললে—“বেশী কম নির্ভর করে চাওয়ার রকমের উপর । যে রকম যে চায় সে রকম না পেলে তার হাজার গুণ অন্যদিকে পেলেও তার পাওয়া হয় না । তা তার পক্ষে হয় অসত্য ।” কানাইয়ের মনে হ’ল সেই প্রথম দিন স্থজাতার সঙ্গে চায়ের টেবিলের আলাপ | কত প্রশ্ন সে করেছিল সে তাকে সেদিন । আজও আবার সেই প্রশ্ন । এ প্রশ্নের জন্য প্রশ্ন নয়, তর্কের খাতিরে প্রশ্ন নয়, এ জিজ্ঞাসুর প্রশ্ন । মুজাতা বললে—“নদীর জল চলেছে ছুটে সাগরের দিকে, খালের জল চলেছে ছুটে পল্পীভবনের দিকে । সেখানে সে উৎপন্ন করবে ফসল, তাকে দিয়ে চলবে পানাৰগাহনের কাজ। আর নদীর জল চলেছে নিরর্থক বয়ে তার বইবার আনন্দে । আলোছায়া খেলে’ যাচ্ছে তার বুকের উপর, তার গ্রাহ নেই। সে চলেছে সাগর-সঙ্গমের পুণ্যতীর্থে। । এদের মধ্যে কার পাওয়া বেশী ? ষে পাখী বাধে নীড় সেই কি বেশী পায়, না যে পার্থী নিরস্তর ডানার ছন্দে উড়ে চলে মানস সরোবরের দিকে সেই পায় বেশী ?