পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 88S অধ্যাপককে সে বার বার নানা বিষয়ে সাবধান করতে লাগল, কোন সময় কি ওষুধ খেতে হবে না হবে সব তাকে ঠিক করে’ বুঝিয়ে দিয়ে র্তাকে দিয়ে বার বার প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিলে যে তিনি যেন কোনও অনিয়ম না করেন । তারপর অধ্যাপক সুজাতার মাথায় হাত দিয়ে আশীর্ব্বাদ করলেন । প্রভা ও রঞ্জনকে সঙ্গে নিয়ে সুজাত যাত্রা করল লাহোর অভিমুখে । লাহোরে এসে স্থকুমারের বাসায় গিয়ে স্বজাত দেখলে যে সবই বে-বন্দোবস্ত এবং সুকুমার যকৃতের একটা কঠিন রোগে পীড়িত, একেবারে শয্যাশায়ী । সুজাতা গিয়ে তার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল । মুকুমারের দু’টি চোখ বেয়ে জলধারা এল নেমে । প্রভাকে ইঙ্গিত করলে স্বকুমার পাশে বসতে । স্বকুমারের মুখে কথা নেই, শুধু সে চেয়ে রইল তার মুখের দিকে । সুজাত লক্ষ্য করলে, সে চাহনিতে প্রভার মৃথখানি হয়ে উঠল রাঙা, দৃষ্টি হ’ল আনত । পূর্বের দিন হ’লে স্বজাত হয় ত এ লক্ষ্যই করতে পারত না । স্বজাত ও প্রভার পৌছবার পর স্বকুমারেব রোগ গেল আরও বেড়ে । সুজাতা ও প্রভা দু’জনে লেগে গেল তার সেবায় । কিন্তু স্বজাত। লক্ষ্য করল যে প্রভাই শুশ্রুষার ভার নিতে চায় বেশী করে । সে প্রভাকে রোগীর শুশ্রষার ভাব বেশী করে ছেড়ে দিয়ে বাইরের অন্য সমস্ত ব্যবস্থা, ডাক্তার ডাকা, রোগের বিবরণ রাখা, পথ্যের ব্যবস্থা করা, রোগীর গৃহ সর্ব্বদা স্নপরিস্কৃত রাখা, এই সমস্ত ব্যবস্থা যাতে নির্বিঘ্নে স্বচারুরূপে সম্পাদিত হয় "সেইদিকেই দিলে বেশী করে তার মনোযোগ । প্রভার যে শুধু শুশ্রুষা করতে আগ্রহ ছিল তা নয়, সেবাকার্য্যে তার দক্ষতাও ছিল যথেষ্ট । এমনি করে চলতে লাগল যমে মামুষে দ্বন্দ্ব ।