পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 88や শোওয়ার নিয়ম নেই । দিবারাত্রিই চিত্ত অপ্রসন্ন। আর একটা দুৰ্দ্ধৰ্ষ যন্ত্র নিয়ে পড়ে' আছেন তারই গবেষণায়, ভয় হয় কোন সময় হাত পা চিপ্‌সে না যায়। রাত্রে তার অনিদ্রা বেড়ে গেছে, প্রায়ই শুনি তার পায়চারির শক । সুজাতার মন ব্যাকুল হয়ে উঠল বুদ্ধের জন্য । তার হৃদয়ের স্নেহ যখন পাগল হয়ে উঠেছিল তার নিজেরও অজ্ঞাতে, তার হৃদয়ের রক্তস্রোত যখন বক্ষের পঞ্জরভূমিতে বারংবার আছাড খেয়ে পড়ছিল আপনাকে ব্যক্ত করার জন্য, তখন তার নারীহৃদয়ের সামনে এসে দাড়ালেন এই বৃদ্ধটি। পূজায়, ভক্তিতে, বাৎসল্য তখন পূর্ণ হয়ে উঠেছিল তার হৃদয়। নিরস্তর জ্ঞানের উপদেশে তিনি তার চিত্তকে করেছেন বলিষ্ঠ, কুয়াশা ও কুজুটিকার মধ্যে এনেছেন স্বর্ঘ্যের আলো, অতি বলিষ্ঠের ন্যায় হাত ধরে নিয়ে গিয়েছেন আপনার পথে, আবার তার জরাজীর্ণ দেহ দ্বারা কেড়ে নিয়েছেন ক্ষুধিত মাতৃহৃদয়ের বাৎসল্য । অজস্র স্নেহধারা আর ভালবাসা পেয়েছিল সেইখানে তার নিগমের পথ। এই ভালবাসাকে কেন্দ্র করে’ গড়ে উঠেছিল সুজাতার কর্ম্মপদ্ধতি। এই বস্তুটিকে নিয়ে সে পূর্ণ করে তুলেছিল নারীহৃদয়ের অনেক ছোটখাট আকিঞ্চন । অনেক বাৎসল্যের অভিমান চলেছে র্তার সঙ্গে । সে হয়েছিল তার বিরাট বিদ্যামন্দিরের কত্রী, ঘর না বেঁধেও তার উপর পড়েছিল ঘর বঁাধার দায়িত্ব । এ সমস্ত না হ’লে কি তার হৃদয় পেতে পারত তার পরিপূর্ত্তি ? তার কাছে তার জীবন দিয়েছে ধরা । তার সমস্ত ভবিষ্যৎ কর্ম্মপদ্ধতি নিয়ন্ত্রিত হবে আজ এই বৃদ্ধের ভালবাসায় । আজ তার অভাবে বৃদ্ধ হয়েছেন অপ্রসন্ন, কোনও কাজে লেগে তিনি আজ সন্তোষ পাচ্ছেন না । কোনও না কোনও আশঙ্কা করে স্বজাতার মন হয়ে উঠত কণ্টকিত—কোন সময় কি হয় তা বলা যায় না । তাকে, ওরকম একলা ফেলে আর ত বেশী দিন