পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88V) অধ্যাপক অন্তরালে, একটুও বেরিয়ে যায় না বাইরে তার পরাগের কণা, তেমনি কানাইও একটুও প্রকাশ পেতে দেয় নি তার অন্তরের সুগন্ধকে । কানাই মনে মনে যে অত্যন্ত আকৃষ্ট হয় নি সুজাতার দিকে তা নয়, কিন্তু সেই আকর্ষণকে বিন্দুমাত্র ব্যক্ত করতে সে নিজের কাছেই অত্যন্ত লজ্জাবোধ করত । কথাপ্রসঙ্গে সে একদিন সুজাতাকে বলেছিল যে জীবনে একদিন কোনও সময় ছিল যখন মঞ্জরীর সঙ্গে তার সম্বন্ধ ছিল অত্যস্ত ঘনিষ্ঠ । সে সাধারণতঃ নিজের কথা কিছু বলত না । কিন্তু কি কারণে যেন তার মনে হয়েছিল যে এ কথাটী স্বজাতার কাছে গোপন রাখা অন্যায় হবে, অথচ কেন যে তাকে এ কথা না বললে অন্যায় হবে সে কথা ভেবে সে ঠিক করতে পারে নি । এর পর থেকে যখনই সে সুজাতার দিকে তার মনের প্রীতি ও আকর্ষণ প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছে তখনই কোন বলবান দৈত্য এসে যেন সবলে বাধা দিয়েছে তা ভাষায় বা ব্যবহারে প্রকাশ করতে দিতে, সে মনে মনে ছোট হয়ে গেছে সুজাতার কাছে । সে ভয় পেয়েছে যে কোনরকমে যদি সুজাতা টের পায় তার মনের এই আকর্ষণের কথা, তবে সে তাকে কত না হীন মনে করবে। হয়ত বা মনে করবে মেয়ে ধরে বেড়ানো তার ব্যবসা । এবং এই রকম কোনও কথা মনে করলে তার বিরুদ্ধে তার কিছু বলবার নেই। কোন প্রেমটা সত্য নয়, কোনটা সত্য, কোনটা শুধু মোহ বা লালসা আর কোনট। উৎপন্ন হয় হৃদয়ের স্বচ্ছ পবিত্র উৎস থেকে, সে সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেবে কে ? এ সমস্ত বিষয়ে সে নিজের কাছেই নিজে সাক্ষ্য দিতে পারে না, অপরের কাছে কি করে দেবে ? { ভালবাসা বা কামনা বলতে আমরা কি বুঝি তা আমাদের নিজেদের কাছেই খুব সুস্পষ্ট নয় । দেহের প্রতি দেহের আকর্ষণ