পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক x 84 (t মুজাতা এ কথা শুনে ক্ষোভে ও লজ্জায় একেবারে অগ্নিবর্ণ হয়ে উঠল । সে স্বকুমারকে বল্লে—“এ সব কি ইতরামি কথা বেরুল তোমার মুখ দিয়ে ?” মুকুমার বল্লে—“কানাইবাৰু যখন তোমাকে ভালবাসেন এবং তার স্রোতেই যখন মিলেছে তোমার স্রোত, তখন এ কথা জিজ্ঞাসা করায় দোষ কি ?” স্বজাত আগুন হয়ে বল্লে—“কে তোমাকে এ সমস্ত কথা বলেছে ? না তোমার ঈর্ষাতে পৃথিবীতে কোনও স্বচ্ছ মুন্দর জিনিষ তুমি থাকতে দেবে না ? তোমার মন এমন ক্লিন্ন হয়েছে জানলে আমি কখনও আসতুম না তোমার কাছে। আর এক মুহূর্ত্তও ইচ্ছা হচ্ছে না তোমার কাছে বসতে ৷” সুকুমার বল্লে—“তোমার জেলে যাওয়ার অতি অল্পকাল মধ্যে কানাইবাবু তোমার কাছে যে চিঠিখানা লিখেছিলেন সেখান মঞ্জরী আমাকে পড়তে দিয়েছিল। সে চিঠি তুমিই দিয়েছিলে তাকে গোপনে রাখতে, কিন্তু সে তোমার গোপনতা রাথে নি ।” মুজাতা কোনও জবাব করলে না । তার চোখ দিয়ে ঠিকরাতে লাগল আগুন, তার বুক চেপে আসতে লাগল কান্না । স্বকুমার তার মুখের দিকে না তাকিয়েই বল্লে—“চুপ করে রইলে যে ” স্বজাত। এবার অত্যন্ত কঠিন হয়ে বল্লে—“আমি মেয়ে, এত বড় কুংসিত মিথ্যা অপবাদের জবাব আমি কি করে দেব ? যদি হতুম পুরুষ, যদি তুমি বলতে এ কথা কানাইবাবুকে, তবে তিনি জানতেন কি করে’ এর উত্তর দিতে হয় ।” এই অপমানের কশাঘাতে সুজাতার মন তার অন্তরের নিভৃতে আশ্রয় খুজছিল কানাইয়ের। স্বকুমারের তখন মনে হ’ল যে মঞ্জরীর