পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 પર অধ্যাপক ঢুকে তোমার লাভ কি ? আর আজও ত তুমি সেই গবেষণার কাজেই এসে লেগেছ ।” - স্বজাত বল্লে—“তোমার গবেষণার কল্পনা ও আমার কল্পনার অনেক পার্থক্য । তথন আমার জীবন চাইছিল তাকে ব্যক্ত করতে মনুষ্যত্বের বড় দরবারে, যে পথে বেরিয়ে পড়েছিলুম সে পথটা ঠিক আমার পথ ছিল না। কিন্তু তবু নানা পথ ঘুরে আজ যেখানে এসে দাড়িয়েছি সেটা আমারই পথ। আর সেটা এসেছেও আমার সেই পথেরই যাত্রা থেকে । আমার গবেষণা এ নয় যে দু’একটা উপাধি অর্জন কবব আর তারপর তাই নিয়ে সমস্ত জীবন বসে ভাঙ্গিয়ে খাব ৷ আমি চাই যে আমার কাজ হবে আমার জীবনের সঙ্গে সমব্যাপ্ত, কাজের মধ্যেই পাব আমি আমার জীবনের সার্থকতা। এমন প্রবৃত্তির সঙ্গে তোমাব কোনদিন ছিল না সহানুভূতি, তাই যখন থেকে আমার মন চলতে আরম্ভ করেছে তখন থেকে তুমি হয়েছ আমার অপরিচিত। মঞ্জরী প্রবঞ্চক, ধূর্ত্ত, শঠ, কিন্তু তথাপি কোন না কোন দিকে তার মনের একটা গতি ছিল, সে চাইত অসীম ধন, অসীম যশ । তুমি বা অজয়বাবু কেউ তাকে তা দিতে পারতে না, তাই সে তোমাদের সোপানপংক্তির মত ব্যবহার করে’ ছুটেছে তার স্বাভাবিক পরিণতির দিকে । তারও মনের সঙ্গে তোমার কোনও পরিচয় ছিল না।” স্বকুমার আবার বল্লে—“স্বপ্ন তবে আমার ক্লাস্তিবোধ হচ্ছে । আমাকে তুমি কি করতে বল ?’ এইবার স্বজাত এগিয়ে নিলে চেয়ারখানা মুকুমারের মাথার কাছে, বল্পে "তাই ত মুকু-দা, তোমায় বলছি একটু বিশ্রাম নাও । তোমার শরীর ও মন দুইই চায় বিশ্রাম।”