পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৭১

8ෂෂ অধ্যাপক প্রভাকে তার বরাবরই ভাল লাগত। বিশেষ, এবারকার শুশ্রুষায়: প্রভা একেবারে দখল করে নিয়েছিল মুকুমারের হৃদয়, তবু মুজাতার মনস্বিতায় সে একান্ত অভিভূত হয়েছিল এবং তারই অনুপ্রেরণায় একটা ক্ষীণ লড়াই করেছিল নিজের সঙ্গে । তাই সে চেষ্টা করেছিল প্রেম নিবেদন করতে সুজাতার কাছে । কিন্তু সুজাতার তেজস্বিতায় সে নিজের কাছে একেবারে ছোট হয়ে গেল । তাই যেমন সুজাতার কাছ থেকে প্রভার সঙ্গে বিবাহের প্রস্তাব এল তখন সে আবার পড়ল ঘুমিয়ে, ঝড়ের অসহায়তার মধ্যে যেন পেল একটা আশ্রয় । পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ স্বকুমার ও প্রভার বিয়ে হয়ে গেছে । তারা বেশ মনের আনন্দে আছে এবং মধ্যে মধ্যে অধ্যাপকের বিদ্যামন্দিরে সুজাতার সঙ্গে দেখ। করতে আসে । অভিনেত্রী ও গায়িকা হিসাবে মঞ্জরীর খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, প্রত্যহই তার নাম দেখা যায় কাগজে, কিন্তু কারও সঙ্গে তার পত্রাদির যোগ নেই, সে তার আপন জগতে খ্যাতি ও অর্থে ক্রমশঃ স্থূলতর হয়ে চলেছে । কানাই, সুজাতা ও অধ্যাপকের কাজ চলেছে সুনিবদ্ধ প্রণালীতে । স্বজাত সমস্ত মন প্রাণ দিয়ে করছে অধ্যাপকের সেবা, অধ্যাপকের মুখে মুজাতা যেন দেখতে পেয়েছিল জ্ঞাননিষ্ঠ পিতার প্রতিচ্ছবি । অধ্যাপকের সঙ্গে স্বজাতার প্রায়ই নানাবিষয়ে আলাপ-আলোচনা হ’ত ও এই সব আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে স্বজাত প্রত্যহই প্রায় কোন না কোন রকমে তার ভবিষ্যৎ জীবনের গতি, একটা স্বনিদিষ্ট পঞ্চ নিজের কল্পনায় দৃঢ় করে নিত ।