পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8やかor অধ্যাপক অধ্যাপক বল্পেন—“হয় ত কিছুই পার্থক্য নেই, হয় ত বা একটু আছে, সেটা নির্ভর করে তোমার কথার মধ্যে কতখানি ইঙ্গিত প্রচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে তার উপরে ।” সুজাতা বল্লে—“কি রকম ?” অধ্যাপক বল্লেন—“বুদ্ধির কর্ম্মকেই আমি প্রধান কর্ম্ম বলি । আমাদের গায়ত্রী বলেছেন—ধিয়ো যো ন প্রচোদয়াং ! আবার অন্যত্র আছে—স নো বুদ্ধ শুভয়া সংযুনত্ত—তিনি আমাদের শুভবুদ্ধি দ্বারা সংযুক্ত করুন। এই বুদ্ধি কোন সময় বা দৈহিক কার্য্যের মধ্যে প্রতিফলিত হয়, কোন সময় বা হয় না । যিনি কবি ও তত্ত্বদশী, জ্ঞানী ও তপস্বী, তার দৈহিক পরিস্পন্দ কম, চিত্তের পবিপন্দ অত্যন্ত বেশী । এই বুদ্ধির পরিস্পন্দের সঙ্গে অনুপ্রবিষ্ট হয়ে যায় ভাবের পরিম্পন্দ, আনন্দের পরিস্পন্দ । কিন্তু তুমি এখানে স্ত্রী ও পুরুষের মধ্যে কি পার্থক্য করতে চাও তা আমি ভাল বুঝতে পারছি না।” স্বজাত বল্লে—“আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না যে আমাদের দেশের অধিকাংশ স্ত্রীলোকই ঘরকন্না, স্বামী পুত্র, সংসার নিয়ে তাদের সেই অত্যন্ত ছোট গণ্ডীব ঈর্ষ্যা দ্বেষ কলহ নিয়ে কাল কাটায় ? কোন বড় জিনিষের দিকে তারা ছুটতে চায় না ?” অধ্যাপক বল্লেন—“আলোক-তরঙ্গের প্রতিটি উর্ম্মির জ্যা অতিশয় ছোট, শব্দের তরঙ্গের জ্যা তদপেক্ষা বৃহৎ, জলের তরঙ্গ হয় ত তার চেয়ে বৃহৎ, আবার এক শ্রেণীর electro-luagnetic তরঙ্গ আছে যার প্রতিটি উর্ম্মির জ্যা বহু মাইল বিস্তৃত, কিন্তু এদের প্রত্যেকটিই সমানভাবে তরঙ্গধর্ম্মান্বিত । উর্ম্মির জ্যার লঘুতা ও বৃহত্ব প্রযুক্ত তার চরিত্র ও স্বভাবের, তার ধর্ম্মের ও ক্রিয়ার অনেক বৈষম্য হয় বটে কিন্তু তাদের মধ্যে কোনও প্রকারগত পার্থক্য নেই ।”