পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৭৫

8 Գ օ অধ্যাপক শক্তিকে নিবৃত্ত করার জন্য, সংযত করার জন্য । যদি nitrogen বাতাসে না থাকত পৃথিবী হয়ে যেত দগ্ধ। শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে বিন্দুমাত্র না লেগে সে করেছে শ্বাস-প্রশ্বাসকে সম্ভব এবং সার্থক । আমাদের দেহে অনেক মর্ম্মস্থল আছে তার রস কদাচিৎ বিন্দুপ্রমাণ ক্ষরিত হয় দেহরক্তের মধ্যে, তাদের কোনও রাসায়নিক ক্রিয়া নাচ দেহরক্তের উপর, শুধু তাদের সন্নিধিমাত্রে এই দেহরক্ত চেতনাধর্ম্মের নানা অমুকুল ক্রিয়ায় আপনাকে প্রকাশ করে; তাদের নিজেদের ক্রিয়া না থাকলেও তারা ক্রিয়াজনক । তেমনই যে নারীকে তুমি বলছ নিজীব তার সেই নিজীবতারই প্রয়োজন হয়েছে সংসারের গতিকে সামঞ্জস্তে সুন্দর করবার জন্য ।” স্বজাত বল্লে—“কি রকম ?” অধ্যাপক বল্লেন—“ধর আমরা বর্তমানকাল থেকে চলে গিয়েছি সেই মান্ধাতার যুগে যখন পুরুষের কুক্ষি ভেদ করে’ হতে পারত সন্তান, হঁাচিতে কাশিতে হ’তে পারত পুত্র উৎপন্ন । ধর সস্তুতি-জননের জন্য স্ত্রীলোকের কোন প্রয়োজন নেই । পুরুষের ইচ্ছামত তার হয় ত কড়ে আঙ্গুল দিয়ে সস্তান উৎপন্ন হতে পারে । নারী নেই আছে খালি পুরুষ আর তাদের দাহিকাশক্তি, তাদের উগ্র প্রতাপ, তাদের উৎসাহ ! কি হবে ফল ? যে সন্তানগুলি হবে সেগুলি হয়েই হবে বিনষ্ট ; কে করবে তাদের পালন ? হনুমান ব্যস্ত রইলেন তার লাঙ্গুল আছাড়ি পিছাড়ি করতে, ভীম রইলেন শালগাছ উপড়ে নিয়ে মারামারী করতে, প্রয়োজন হ'লে জ্ঞাতি ভাইএর রক্তপান করতে, পরশুরাম ছুটলেন তার কুঠার নিয়ে, কার্ত্তবীর্য্য দশানন প্রভৃতির ছুটলেন তাদের নানা ব্রহ্মাস্ত্র নিয়ে। ফলে পৃথিবী হতে লাগল ধ্বংস । পুত্র যার উৎপন্ন হ’তে লাগল পালনের অভাবে তারা হতে লাগল ধ্বংস ।