পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8%.S ধরে’ নাও বিনা পালনেই তার বাডুক, রক্তবীজের ন্যায় এক ফোটা রক্তে ৬• • • • ভূত পিশাচ উৎপন্ন হ’তে লাগল ! ভেবে দেখ দেখি পৃথিবীর তা হ’লে কি গতিটা হ’ত ” স্বজাত আবার প্রশ্ন করলে—“স্ত্রীজাতিকে দিয়ে এখানে আপনি কি কাজ করাতে চান ?” —“আমি কিছুই করাতে চাই না, ভারা কি করছে তাই চেয়ে দেখি । জননী ভগিনী প্রিয়ারূপে তারা মানুষকে বাধছে স্নেহের আকর্ষণে । তার দুর্দ্দাম দৈত্যস্বভাবকে তারা ঋজু করে আনছে, মৃদু করে আনছে, কোমল করে আনছে । আবার নারী একদিকে করে যেমন স্বষ্টি অপর দিকে করে পালন । এই দুই বৃত্তিকে চরিতার্থ করবার জন্য বিধাতা সংযুক্ত করেছেন নারীকে বিবিধ নৃতন অবয়বে, সেই জন্যই নারীর মধ্যে রয়েছে একটা স্বাভাবিক passivity ; মাথার চেয়ে তার হৃদয় বড়, হৃদয়ের সম্পদ না থাকলে স্নেহের প্রাচুর্য্য না থাকলে নারী পারত না বিধাতার এই দায়িত্ব সম্পাদন করে তুলতে । পুরুষ যেমন একদিকে নারীকে দেয় আশ্রয়, অপর দিকে সে তার আশ্রিত, বাল্যে ও কৌমারে সে নারীর স্নেহে বৰ্দ্ধিত, যৌবনে সে নারীর প্রেমে পায় আপনার বিশ্রাম, সঞ্চয় করতে পারে আপন শক্তি, বাৰ্দ্ধক্যে আবার নিতে হয় আশ্রয় লালন পালনের জন্য । নারীর মধ্যে দুর্দ্দামতার অভাব আছে বলেই কোমলতার প্রাচুর্য আছে তাই সে পুরুষের শক্তির মধ্যে আনতে পেরেছে সামঞ্জস্ত, স্বষ্টির মধ্যে স্থান দিতে পেরেছে মঙ্গলের । এই বিশেষ অভিব্যক্তির দিক বাদ দিলেও অন্যদিকে মনুষ্যত্বের জন্য নারী ও পুরুষের আপন আপন ক্ষেত্রের মধ্যে যে লড়াই করতে হয় সেটার মধ্যে কোনই পার্থক্য নেই। পুরুষকে যেমন তার বড় ক্ষেত্রের মধ্যে হিংসা, ঈর্ষ্য, অভিমান জয় করে’