পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8१२ অধ্যাপক মনুষ্যত্ব অর্জন করতে কঠোর সংগ্রাম করতে হয়, মেয়েকেও তেমনি তার ছোট গণ্ডীর মধ্যে ঈর্ষ্যা, হিংসা, দ্বেষ জয় করবার জন্য সংগ্রাম করতে হয় প্রাণপণে । আর তুমি যে বলছ যে মেয়ে তার দৈনন্দিন রান্নাবাড়ার খবর ছাড়া আর কিছুতে গা মাখে না; কিন্তু সাধারণ পুরুষই বা কি করে ? আপিসের নিদিষ্ট কাজ, সেখানে উপরওয়ালাদের নিন্দাচর্চা, তাস, দাবা, আডড, বাড়ীতে এসে শয়ন ভোজন ও বিশ্রাম-এর বাইরে কট। পুরুষেই বা কি করে ? এমন কি অনেক অধ্যাপকেরাও কিছু দিন খেটে করে নেন ২৪ খাতা নোট, কিংবা পাঠ্যজীবনে সংগৃহীত অধ্যাপকের নোট নিয়ে যান ক্লাসে, আর ৩০ বৎসর যাবৎ ছাত্রদের তাই যান আউড়ে—পরিণামে দাড়ি গোফ পাকিয়ে বড় প্রফেসর হয়ে মহা গৌরবে জীবন শেষ করে দেন । মেয়েরা ও দুবেলা জালে চুলো, ঝাল ঝোল মুক্ত চচ্চড়ি রোধে, খেয়ে ও খাইয়ে কাল কাটায় বিশ্রাম ও পরচর্চায়, বড় লোকের গৃহিণী হ’লে ত কথাই নেই।” মুজাতা বললে—“মানলুম আপনার কথা যে সাধারণ স্তরের মধ্যে নারী ও পুরুষের পার্থক্য কেবল মাত্র এইখানে যে একজনের কর্ত্তব্য ছোট গণ্ডীর মধ্যে, আর একজনের কর্ত্তব্য বড় গণ্ডীর মধ্যে, এবং এই পার্থক্যেরও কারণ এই যে কঠোরতর ক্ষেত্রের মধ্যে প্রয়োজন হয় পুরুষের দৈহিক বলের ও তদনুরূপ সহ্যশক্তির, মেয়েদের করতে হয় স্বষ্টি ও পালন, তাদের স্নেহে রাখতে হয় পুরুষের উৎসাহের ভারকেন্দ্র । নইলে গড়ত না পরিবার গড়ত না সমাজ । একথাও আমি মানি যে স্বাভাবিক ১০ জন পুরুষ যেমন ১-টা বড় বড় পরীক্ষা পাশ করে, আপিসে আদালতে অর্থ উপার্জন করে তেমনি নারীও তাদের স্থান নিতে পারে অনায়াসে । বড় বড় যুদ্ধের সময় যখন পুরুষেরা যায় যুদ্ধে, তখন মেয়ের নেয় পুরুষের হাত থেকে