পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8 දෘළු সমাজের ভার, সমাজের কর্ত্তব্য । এমন কি যুদ্ধের মধ্যেও নারীসৈন্তবাহিনীর সমাদর আরম্ভ হয়েছে । বর্তমানে যে সেটা ঘটছে না সেট। বর্তমানে একটা সমাজ ব্যবস্থা মাত্র । সমাজ গড়ে পুরাণে সমাজকে জোড়া তালি দিয়ে সারতে সারতে । এক রাশিয়া ছাড়া আর কোথাও নূতন করে সমাজ গড়বার চেষ্টা দেখা যায় নি । পুরাণের উপর জোড়াতালি দিয়ে নূতনের দাবী চালাবার চেষ্টা করা হয় বলে এই সমস্ত সমাজে পুরাণো ও নবীনের একটা অসামঞ্জস্য থেকে যায় ! হয় ত বা পুরাণের মধ্যে একটা মন্দ বাদ দিতে গিয়ে দশটা ভালও পড়ে গেছে বাদ । আবার নূতন থেকে নেবার সময় একটা অতি ভাল জুড়ে দেওয়া হয়েছে যা পুরাণের সঙ্গে কিছুতেই পাপ খায় না, দেখতেও হয় অশোভন । এই রকম ব্যবস্থায় সমাজের যে অগ্রগতি ঘটে তাতে অনেক অসামঞ্জস্য হয় অনিবার্য্য ।” অধ্যাপক বললেন—“তুমি ঠিকই বলেছ। এই রকম আর একবার আধুনিককালে সমাজ গড়বার চেষ্টা হয়েছিল ফরাসী বিপ্লবের সময় । তাতে ঘটেছিল অনেক দুনীতি, কিন্তু সেই দুর্নীতি যে নূতন করে সমাজ গড়বার চেষ্টাতেই ঘটেছিল এমন কথা বলা যায় না । এ দুনীতির কারণ ছিল এই যে দ্বেষ হিংসা প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠেছিল চারিদিকে । কিন্তু মানুষের মধ্যে আছে একটা জন্মগত আলস্য । বাক্সে ফসর্ণ জামাকাপড় থাকলেও শুধু খুলে গায়ে দেবার আলন্তে অনেকে চলে দিনের পর দিন ছেড়া জামা গায়ে দিয়ে । ছেড়া ছাতাটি ফেলে নূতন ছাতা কেউ কিনতে চায় না । এই জন্য সমাজের অগ্রগতি চলেছে টিমে তেতালায় । নারীর কর্ম্মক্ষেত্র ছোট তাই তার দাবীও রয়ে গেছে এই রকম চিরন্তন কাল থেকে এবং সেদিক থেকে নারীর কর্ম্মক্ষেত্রের কোন পরিবর্তন ঘটে নি । বৃহত্তর কর্ম্মক্ষেত্র থেকে নারী