পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ግ8 অধ্যাপক নিজে কোনও দাবী তোলে নি, পুরুষই তুলেছে সেখানে নারীর হয়ে দাবী তার নিজের প্রয়োজনে । জাতিতে জাতিতে যে বিরাট যুদ্ধ বেধেছে, পুরুষ একলা তার ভার সামলাতে পারবে না । তাই ইয়োরোপে পুরুষ চাইছে পারিবারিক ব্যবস্থা সঙ্কোচ করে পুরুষের সহকর্ম্ম করে দুদিনে নারীকে তার সহায় করে তুলতে । দুর্দ্দিনের অবসানে সে আবার ফিরিয়ে দিতে চায় নারীকে তার গৃহক্ষেত্রে । কিন্তু এখন থেকে আসতেই থাকবে দুদিন-পরম্পরা এবং এমন দোটান ব্যবস্থা কখনও চলতে পারে না । তাই ভবিষ্যতের দিনে নারীও এসে দাড়াবে পুরুষের সঙ্গে উদার কর্ম্মক্ষেত্রে । বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থার কৃপায় শিশুপালন প্রক্রিয়া হয়ে যাবে অত্যন্ত সহজ সেজন্তু নারীর পরিশ্রমের ভার যাবে কমে। তবু নারী চিরকালই থাকৃবে জননী, তাই সর্ব্বকালের জন্য সর্ব্বতোভাবে নারীকে পুরুষের সহকম্মিণীরূপে টেনে আন কথন সম্ভব হবে না । তা ছাড়া নারী যদি উঠতে চায় পুরুষের সহধর্ম্মী হয়ে এবং পুরুষও যদি টানতে চায় সেই পথে তবে পুরুষ হবে তার ভারকেন্দ্র থেকে চু্যত ” স্বজাত বললে—“পুরুষেরাই ত স্তুতি করে করে নারীর অভিমান দিয়েছে বাড়িয়ে ।” অধ্যাপক হেসে বললেন—“কেউ কারো স্তুতিগান সহজে করে না । একথাও মনে কোরো না নারীর বিরুদ্ধে একটা মস্ত ষড়যন্ত্র করে? পুরুষেরা তাকে মিথ্যা মোহের মধ্যে আলস্তে ঘুম পাড়িয়ে রেখে দেয় । পুরুষ নারীকে স্তুতি করে তার আপন গরজে । সে চায় এই পৃথিবীর মৃত্তিকালোকের মধ্যে একটি কল্পলোক স্বষ্টি করতে। তপ্ত মরুভূমিতে পথিকের যেমন প্রয়োজন হয় একটি ওয়েসিসের—তেমনি পৃথিবীর দুর্দান্ত সংগ্রামের মধ্যে মানুষ চায় একটি ছায়ার কুপ্পবীথি