পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ԳԵ- অধ্যাপক উঠবে যখন সেই প্রেমের পশ্চাতের পটভূমির ছায়ায় এসে দাড়াবে তার স্ত্রীপুত্রের প্রতি হৃদয়ের আক্রন্দন । সে আক্রন্দন গভীর করে’ তুলবে তার প্রতিধ্বনিতে তার দেশের প্রতি প্রেমের স্বরটি, তা উজ্জল করে তুলবে তার সেই প্রেমের ছবি। বিরোধের দ্বারা প্রেম প্রকাশ পাবে একটা অভূতপূর্ব্ব মহিমাতে। এই জন্যই ভগবান শাক্যমুনি যখন সমস্ত মুখ সম্ভোগ ছেড়ে সর্ব্ব সত্বের কল্যাণের জন্য সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন তা স্বর্ণীক্ষরে উদ্ভাসিত করে তুলেছে যুগান্ত থেকে যুগান্ত পর্য্যন্ত প্রেমের মহনীয় কীর্ত্তি।” স্বজাত বললে—“কিন্তু অনেক বড় বড় বৈজ্ঞানিক বিজ্ঞানচর্চায় ত অসাধারণ স্থান লাভ করেছেন, দেশ হিতৈষণাতেও শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছেন অথচ তাদের ত স্ত্রীপুত্রাদি আছে । আপনিও ত করেছিলেন বিবাহ ।” অধ্যাপক হেসে বল্লেন—“এই ত মজা | প্রথম বয়সে ত মানুষ নিজেকে চিনতে পারে না । এইটুকুমাত্র বোঝে যে কারখানায় একটা কাজ চলছে, শব্দ শোনে শুধু হাতুড়ি পেটার, কিন্তু বিশ্বকর্ম্ম৷ কারখানায় বসে কি গড়ছেন তার কিছুই পাওয়া যায় না টের । যৌবন ধর্ম্ম কতকগুলি প্রবৃত্তিকে করে মুখর ; চারিদিক থেকে সমাজের আসে চাপ অবসরের হয়ত অভাব ঘটে না, হয়ে যায় বিয়ে, আসে পুত্রকন্যা, তাদের প্রতি পড়ে ভালবাসা, চলে সংসারযাত্রা । হঠাৎ একদিন অনুভব করে জলন্ত সীসা চলেছে ধমনীর মধ্য দিয়ে, ছুটে পড়ে সে কাজে । ক্রমশঃ সেই প্রেমই হয়ে পড়ে বড়। এতদিন যে প্রেম জোগাচ্ছিল খোরাক, তা হয়ে যায় একান্ত গৌণ, হয়ত ঝরেও বা পড়ে কাধ থেকে। চলে সে নূতন স্বর্য্যালোকের সন্ধানে। তেঁতুলের বীচি থেকে অঙ্কুর হতে দেখেছ, দেখেছ লাউকুমড়োর বীচি