পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

53b. o অধ্যাপক সে গর্ভে ধারণ করে পুত্রকন্যা, তাদের করে স্বষ্টি, পালন করে তাদের, পালন করে স্বামীকে । সেইটিই হ’ল মেয়েদের অপরিহার্য্য কর্ত্তব্য । এতে পরিশ্রম, মনোযোগ ও অধ্যবসায় কম লাগে না । কাজেই এই সমস্ত চালাবার পর কোন মেয়ের পক্ষেই কোন বড় কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হয় না । যাদের এদিকে রতি আছে, আনন্দ আছে, তাদের পক্ষে পরিবারের কর্ম্ম ভাল করে করাও বড় কম কাজ নয়, যদিও এর বিদায় নগদ এবং ভবিষ্যতের খাতায় কিছু জমা রাখা যায় না ।” স্থ জাতা বল্লে—“আপনার কথার তাৎপর্য্য সংক্ষেপে আমি যা বুঝলুম তা এই যে যে মেয়েরা চিরাচরিত পথকে অতিক্রম করতে চায় তারা পরিবার গঠন করতে পারে না ।" অধ্যাপক বল্পেন—“আমার কথাটার তাৎপর্য্য অনেকটা তাই । ভালবাসা মনের ব্যাপার, তা এক রকম বিধিনিষেধের ক্ষেত্রের বাইরে । কিন্তু মেয়েদের পক্ষে ভাল করে পরিবার চালাতে অধিকাংশ শক্তি ব্যয়িত হ’তে পারে, কাজেই কোন বড় কাজের সঙ্গে সেটা করা চলে না ।” এমনি নানা বিষয়ে অধ্যাপকের সঙ্গে কথা চলত। কানাইয়ের সঙ্গেও সুজাত ক্রমশঃ অধিকতর ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছে, কিন্তু উভয় পক্ষেই সেই ঘনিষ্ঠতার মধ্যে একটা দাড়ি টানা আছে যে এর বেশী আর নয়। একদিন এল প্রভা । বাংলা দেশে একটা কথা আছে যে বিয়ের জলের ছিটে গায়ে পড়লে মেয়েদের লাবণ্য ছোটে ফোয়ারার মত । প্রভাকে দেখলে এ কথার সত্যতা প্রমাণ হ’ত । নিদ্রার পর প্রভাতের ঝলমলে আলোতে যখন চেয়ে দেখি পুষ্পভারবিনম্র স্থলকমলিনীর দিকে, যখন চেয়ে দেখি যে বড় বড় অরুণাভ পুষ্পে সে বল্পরীটির সমস্ত