পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8v> করল এই রকম প্রেমের কথা ভাবতে। দৃঢ়তর হয়ে উঠল তার পণ উচ্চতর সোপানে আরোহণের জন্য । এদিকে কানাই পড়েছিল একটা দ্বন্দ্বে। তার মন একটা কাজের আগুনে উঠেছিল জলে’ এবং সে সেই কাজের মধ্যে পাবে আপন সার্থকতা এই জন্যই সে এসেছিল অধ্যাপকের কাছে । কিন্তু তার চিত্ত ছিল না তত্ত্বদশী, সে নিজেকে চাইত না তত আবিষ্কার করতে যত চাইত প্রকাশ করতে । প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের করি আবিষ্কার কিন্তু তথাপি আত্মাবিষ্কারের একটা স্বতন্ত্র প্রয়োজনীয়তা আছে । আমাদের মধ্যে যে অংশটা মুখর, স্পন্দমান ও স্রোতোবাহী সেটা সহজে পড়ে গিয়ে উচ্ছলিত হয়ে সহস্ৰবিধ কাজের মধ্যে, কিন্তু অস্তরের মধ্যে আর একটা সত্য আছে যা বিধারণ করে’ রাখে অস্তরের বিবিধ বৃত্তিকে, রচনা করে তার সংস্থান, দেয় তাকে তার একটা বিশেষ রূপ । কোন চিত্তই অতিক্রম করতে পারে না তার সংস্থানকে, সেটা হ’ল চিত্তের একটা বিশেষ কাঠামো । একট পরমাণু থেকে আরম্ভ করে’ মানুষ পর্য্যস্ত সকলেরই একটা একটা বিশেষ কাঠামো আছে। এই কাঠামোর মধ্যে প্রত্যেকের ইতিহাসের যে plauটি দেওয়া আছে তাকে কেউ পারে না অতিক্রম করতে । বটফলের থেকে যদি বটের বীচি বের করে নিই এবং তার সঙ্গে তুলনা করি একটি রাইসর্ষের দানার, তা হ’লে দেখা যাবে যে উভয়ের উপাদানকণা প্রায় একই পরিমাণ, নিক্তিতে ফেলে’ ওজন করলে তাদের ভার হবে হয় ত সমান। পরিমাণের ও ওজনের সাম্যবশতঃ এটা অনুমান করা যেতে পারে যে উভয়ের মধ্যে হয় ত পরমাণুগত সংখ্যা ব{ পরিমাণের একটা সাম্য বা সাদৃপ্ত আছে, কিন্তু একটা হয় প্রকাও মহীরুহ পঞ্চশতবর্ষজীবী, আর একটা হয় ক্ষুদ্র সর্ষপের ওষধি, ফলপাকাস্ত