পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 సెa অধ্যাপক তার জীবন, একটি ঋতুর বিলয়ে তার তিরোধান। এই সর্বপর্যন্ত্ররী ও মহাবনস্পতি বটবৃক্ষের যে এই পার্থক্য, তা কে ঘটিয়েছে ? উভয়েই এক জলবায়ু মাটিতে পেয়েছে স্থান, তথাপি এই মহান পার্থক্যের কারণ কি ? একটি হাইড্রোজেন পরমাণু বা একটি পারদ বা স্বর্ণ পরমাণুর মধ্যে যে একটি পার্থক্য আছে তার কারণ কি ? তার কারণ হচ্ছে প্রত্যেকটির অন্তর্ব্বত্তী সংস্থানগত পার্থক্য, প্রত্যেকটির অন্তর্ব্বত্তী শক্তির বিলাসক্ষেত্রের পার্থক্য, প্রত্যেকটির অন্তর্গত সম্বন্ধপরম্পরার পার্থক্য । তাই বিজ্ঞানের কুপায় আমরা সমর্থ হয়েছি কোন কোন পরমাণুর অন্তর্গত সংস্থানকে বিদীর্ণ করে নিম্নতর পরমাণুর সংস্থানে পৌছে দিতে । তেমনি একটি চিত্তের সঙ্গে অপর চিত্তের পার্থক্য কেবল শক্তিগত বা সামর্থ্যগত নয়, কিন্তু সংস্থানগত এবং শক্তির বিলাসক্ষেত্রগত পার্থক্য, তদন্তর্ব্বত্তী সম্বন্ধপরম্পরার পার্থক্য । একটি মানুষের মনে চিন্তা যে ধারাতে খেলে, ভাব যে ধারাতে ওঠে ও লয় পায়, তাদের মধ্যে শক্তি যে ভাবে হয় বিক্ষুব্ধ ও সংযন্ত্রিত, তার মধ্যে একটা এমন পার্থক্য আছে যা কিছুতে অতিক্রম করা যায় না। এই পার্থক্য প্রধানত রচনা করে প্রত্যেকের আত্মপ্রকাশের চরিত্র। এই কাঠামোর প্রকৃতির সঙ্গে নিরন্তর ঘটছে দ্বন্দ্ব তার চতুষ্পার্শ্বস্থ পৃথিবীর সঙ্গে, প্রাণিকুলের সঙ্গে, নরনারীর সঙ্গে। এই দ্বন্দ্বের বিরোধে ও মিলনে, এই স্বদ্বের ফলে কাঠামোর প্রকৃতির মধ্যে যে-সব ছাপ পড়ে তাকেই বলা যায় experience, তাকেই বলা যায় চরিত্রধর্ম্ম তাতেই নির্ণয় করে তার ভবিষ্যৎ বিকাশের ইতিহাস পদ্ধতি। প্রাচীন ইতিহাস ੇਸ਼ করে দেয় ভবিষ্যৎ ইতিহাসের সরণিকে । এমনি করে’ গড়ে সমস্ত জীবের ইতিহাস, সমস্ত মানুষের ইতিহাস। কানাইয়ের দেহে ও মনে ছিল একটা উচ্ছল কর্ম্মপ্রিয়তা, তার মনের কর্ম্মপ্রবাহের সঙ্গে