পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 88, S. একট। অত্যন্ত সহজ যোগ ছিল তার কার্ম্মিক নাড়ীবৃন্দের। তাই অস্তরে কর্ম্মপ্রবৃত্তি অতি দ্রুতভাবে পরিবর্ত্তিত হতে পারত বহিলোকে কর্ম্মের মধ্যে। তার সঙ্গে গাথা ছিল কতকগুলি বাধাধর কর্ত্তবাবুদ্ধি। এই বাধাধরা কর্ত্তবাবুদ্ধিগুলি মননের দ্বারা জীর্ণ হবার অবকাশ পায় নি। তাদের মধ্যে একটা সামঞ্জস্যের শৃঙ্খল যে ছিল তা বলা চলে না, কিন্তু সেই কর্ত্তবাবুদ্ধিগুলি প্রত্যেকে স্বতন্ত্রভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠত কর্ম্মকে প্রেরিত বা সংযন্ত্রিত করবার জন্য । সেই জন্য কানাইয়ের একটুও অপেক্ষ থাকৃত না চিন্তাশক্তিকে ব্যয় করবার। ভীম এক সময় প্রতিজ্ঞ করেছিলেন যে দুঃশাসনের রক্ত পান করবেন । প্রতিজ্ঞ করলেই তা পালন করতে হবে, এই ছিল সেকালের কর্ত্তবাবুদ্ধি, অতএব ভীমকে পান করতেই হ’ল দুঃশাসনের রক্ত । মাতৃ-আজ্ঞা পালনীয়, এটিও ছিল তখনকার দিনের একটি কর্ত্তবাবুদ্ধি। যুধিষ্ঠির যখন দ্রৌপদীকে পশ্চাতে রেখে মাকে জানালেন যে র্তারা ভিক্ষা এনেছেন, মা বল্লেন—সকলে ভাগ করে ভোগ কর । তখন পাচ ভাইয়ের মিলে বিবাহ করতে হ’ল দ্রৌপদীকে পরশুরাম করলেন পিতৃআজ্ঞায় মাতৃহত্যা । প্রাচীনকালে যেমন অনেক সময় দেখা যায় যে কতকগুলি বাধাধরা কর্ত্তব্যবুদ্ধির দ্বারা চালিত হ’ত মানুষের কাজ, সেই সমস্ত অনুশাসনগুলিতে যুক্তি ও ভাবের প্রসেকের দ্বারা স্নিগ্ধ করে তাদের যথার্থ তাৎপর্যকে স্থান না দিয়ে স্থান দেওয়া হ’ত অহুশাসনের বাক্যাক্ষরের তাৎপর্য্যকে, তেমনি একালেরও অনেকে, যারা আত্মচিন্তার शत्र; অহুশাসনবাক্যের চেয়ে তদন্তনিহিত মার্ম্মিক সত্যকে যথার্থ স্থান দিতে শেখেন নি, তারা তাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করতে চান কতকগুলি পৃথক পৃথক বিচ্ছিন্ন অনুশাসনের দ্বারা। কানাইও চলত এইরকম