পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8vo) স্ফ র্ভ হয়ে ওঠে । তেমনি আনন্দ পাই বেড়িয়ে যেমন মাছেরা পায় নিরস্তর জলে সাতার কেটে, পার্থীরা পায় ডানার তালে তালে আকাশে উড়ে । এমনি কারও মন হয় ত ছুটে যেতে চায় কোনও মৃদূর গভীর সত্যের আবিষ্কারের জন্য, কেউ বা হয় ত কোনও আদর্শের জন্য জীবন বিসর্জন করতে চায় । জীবনই যদি গেল, তবে সমস্ত মুখের মূলই গেল উচ্ছিন্ন হয়ে ; তবু সে ছুটেছে সেই দিকে, তার মাথা আর কোনও দিকে হেলে না, দোলে না, পতঙ্গ যেন উড়ে চলেছে প্রদীপের শিখার দিকে । তেমনি হয় ত কোনও মানুষ এমনভাবে ভালবাসতে পারে যেখানে ভালবাসাটাই তার নেশা । এই ভালবাসার জন্য অনায়াসে সে হয় ত পরম দুঃখ বরণ করে নেবে, নিজেকে একান্তভাবে দেবে বলি প্রিয়ের উদ্দেশ্যে, পুরোহিত যেমন হোমাগ্নিতে দেয় আহুতি ।” মঞ্জরী একটু গম্ভীর হয়ে বল্লে—“অতিতর্ক করা তোমার একটা স্বভাব । অতিতর্কের একটা নেশা আছে, আর সেই নেশায় যারা বিহবল হয়ে পড়ে তারা বাস্তব জগৎটাকে ফেলে হারিয়ে । কিন্তু এই বাস্তব জগৎটা নেই বল্লেই নেই হয়ে যায় না, সে রয়েছে হিমালয় পাহাড়ের মত দাড়িয়ে । ভাবের কুয়াশায় সেই পাহাড়টাকে না দেখতে পেয়ে খোলা আকাশ মনে করে মানুষ যদি ছুটে যায় তার দিকে তাকে অগ্রাহ করে, তখন সে এক মুহূর্ত্তেই বুঝতে পারবে যে ভাবের ধোয়ার চেয়ে বাস্তব জীবনটা কত কঠোরভাবে সত্য—‘এই যে মাটির ক্ষিতি পায় বাজে নিতি নিতি, চপল্লা রে, সবি হেথা স্থল’ ” সুজাতা হেসে জবাব করলে—“তোমার বাস্তবপ্রিয়তা আমি জানি । “আমি বাস্তব’, ‘আমি বাস্তব’ বলে’ ঢাক পেটালেই কেউ বাস্তব হয় না। এত কোমল, এত স্নিগ্ধ তোমার মন, যে তোমার মুখে