পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8 సె గి কিন্তু এইখানে উঠল তার মনে একটা দ্বন্দ্ব। প্রথম একদিকে সে দেখতে পেল যে কানাইয়ের দিক থেকে যে সাড়াটুকু আসছে তা অতি ক্ষীণ । যে কারণেই হোক, কানাই চাইছে না সেটা প্রকাশ করতে । কোনদিন তা প্রকাশ হবে কি না, সেটা ক্ষণিক আকর্ষণ কি না, তাও সে পারলে না নির্ণয় করতে । তথাপি সে ভাবতে লাগল কোনদিন যদি কানাই আসে এগিয়ে তখন সে কি করবে । নিজের মধ্যে অনেক আন্দোলন করে সে বুঝতে পেরেছিল যে প্রেমের সাধারণ ভাবে যে সাংসারিক পরিণতি ঘটে সেক্ট পথ যদি সে অবলম্বন করে তবে সে কানাইকে টানবে মাটিতে, নিজেকেও নামাবে ধুলায়, ব্যর্থ হবে তার উৰ্দ্ধ প্রবৃত্তি । সে মনে মনে স্থির করলে যে কানাইয়ের কাছ থেকে ভবিষ্যতে যে রকম সাড়াই আমুক না কেন, সে তার প্রেমকে বাখবে বক্ষের মধ্যে ঢেকে, ব্যক্ত করবে তাকে কানাইয়ের প্রতি সেবায়, কিন্তু বাধবে না কোন নীড়, গড়বে না কোন পরিবার। গুরুদেবের কাছে করেছিল সে প্রতিজ্ঞ যে তার সর্বস্ব দিয়ে সে তার বিদ্যামন্দিরের প্রদীপটি রাখবে জালিয়ে । তার ভালবাসায় সে বঁাধবে কানাইকে, চিরদিন সে থাকবে তার সহকর্ম্মী হয়ে, চিরদিন জুটবে খোরাক তার প্রেমের, তা ধন্য করবে তার নারীত্বকে, তটভূমিতে আছাড় খেয়ে সে তার প্রেমকে দেবে না চূর্ণ হ’তে । সে রাখবে তাব প্রেমকে উদ্ধলোকের সম্পদ করে’ । সুজাতা যখন গিয়েছিল স্বকুমারের কাছে তখন সেই দীর্ঘ বিচ্ছেদে তার হৃদয় উঠল কামনায়, আকুল হয়ে । সেই কামনার স্বরূপ চিনতে তার দেরী হ’ল না । কিন্তু কানাই জানত না যে প্রেমের একটি নিভৃত স্বন্দর রূপ আছে যে রূপটি উত্তরমেরুর আকাশজ্যোতির ন্যায় আপনি থাকে দেদীপ্যমান হয়ে, দেহের মেদ থেকে, জোগাতে হয় না ૭ ર x