পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ ०२ অধ্যাপক অবস্থা থেকে পরিবর্তিত হয়ে নেমে আসে দেহধর্ম্মে তখন সেই আনন্দশক্তি দু'টি দেহের তট-ভূমিতে প্রাত্যক্ষিক ক্রিয় ও উত্তাপ উৎপাদন করে আপন সত্তা হারিয়ে ফেলে জড় জগতের মধ্যে । মানুষের সমস্ত জৈবক্রিয়ার শক্তিই জড় থেকে গৃহীত, তাই প্রতি মুহূর্ত্তে আমাদের যে জৈবক্রিয়া চলে তার পরিমাণ আমরা করতে পারি জড়প্রণালীতে তার উত্তাপ থেকে । কিন্তু আমাদের চৈতসিক বৃত্তি, চিন্তা, হৃদয়ের আনন্দ, এ গুলিকে আমরা কোনক্রমে জড়প্রণালীর ব্যবস্থায় পরিমাপ করতে পারি না । হৃদয়কে যে প্রেম থাকে পূর্ণ করে সে প্রেমকে কোন বাহ পরিমাণের দ্বারা মাপ করা যায় না, কিন্তু সেই আনন্দ যখন বিকৃত হয়ে পরিবর্তিত হয় জৈব ব্যবহারে তখন তাকে পারি আমরা জড়প্রণালীতে মাপ করতে । কতখানি উত্তাপ উৎপন্ন হ’ল তাতেই ঘটে তার পরিমাণ। উত্তাপ উৎপন্ন হলেই তা ব্যাপ্ত হয়ে পড়ল জড়লোকে । এই জন্যই বহিঃপ্রকাশের মধ্য দিয়ে যে প্রেম বিনষ্ট হয় না সে প্রেম বাড়াতে থাকে হৃদয়ের আনন্দ এবং এমন একটা অবস্থা ঘটতে পারে যখন প্রেমাম্পদ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হয়ে আপন হৃদয়নাল থেকে মানুষ পারে সে আনন্দ আপনিই পান করতে। আমাদের দেশের সহজিয়া সাধনপদ্ধতির এইটিই ছিল মূল রহস্ত । সুজাতার প্রেম বিভক্ত হয়েছিল অধ্যাপকের প্রতি বাৎসল্যে ও ভক্তিতে এবং কানাইয়ের প্রতি অনুরাগে । কিন্তু এ প্রেম হৃদয়ের মধ্যে চাপ বেধে জমাট হওয়ার পূর্বেই নিঃস্থত হ’তে পারত নানাবিধ সেবার কর্ম্মে । কাজেই, কানাইয়ের হৃদয়ের মধ্যে প্রেম নিরস্তর যে একট চাপ দিত এবং সমগ্র হৃদযন্ত্রকে যেরকম উদ্বিগ্ন করে রাখত স্বজাতার মধ্যে সেরকম হ’ত না । সেবার মধ্য দিয়ে যেটুকু বহিলোকের জৈৰধর্ম্মে পরিবর্তিত হতে পারভ তাই তাকে তার অন্তরের স্বাভাবিক