পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ( a లి রকমে একটা সামঞ্জস্তের সীমার মধ্যে রেখেছিল । তাই তা উদ্বেগ স্মৃষ্টি না করে’ উৎপন্ন করেছিল প্রচুর স্নিগ্ধতা, উদামত না এনে এনেছিল । প্রসন্নত । কানাই যখন প্রথম এসেছিল, তার হৃদয় ছিল অধ্যাপকের প্রতি ভক্তিতে পরিপূর্ণ, কিন্তু তার চেয়ে বড় তাগিদ ছিল তার নিজের কাজের তাড়না । অধ্যাপকের সাহায্যে তার কর্ম্মশক্তি হবে উন্মুখ এই ছিল তার উদেশ্ব এবং এই জন্যই সে নিয়েছিল আপন কর্ম্মের পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে পৃথক ও স্বতন্ত্র করে’ অধ্যাপকের কাছ থেকে । কিন্তু স্বজাত শুধু যে তার কর্ম্মের তাগিদ নিয়ে এসেছিল তা নয়, তার নারীহদয়ে ছিল প্রেমের আকৃতি । তাই সে যেমন করতে লাগল আপন কাজ তেমনই সে ব্যাপৃত করলে আপনাকে অধ্যাপকের সেবার কাজে । এর ফলে তার হৃদয়, বুদ্ধি ও কর্ম্মঠত এই তিনটিই একটি রসধারার মধ্যে বিধূত হ’ল । কোন কোন ছাত্র আসে আপন কাজকে প্রধান করে’ । সে অধ্যাপককে ব্যবহার করে সেই কাজের সাধন হিসাবে, যেন একটা যন্ত্র হিসাবে । তারা মনে করে যে, যে কাজটা করতে এসেছে সেই কাজটাই হ’ল সব চেয়ে বড়। অধ্যাপকের জ্ঞানের জন্য তারা করে ভক্তি, কাজের সাহায্যে তাকে নেয় খাটিয়ে, এর বেশী আর কিছু নয় । ফলে হয় তাদের কার্য্যসিদ্ধি, কিন্তু কাজের উপরি পাওনা যেটা সেটা তাদের ভাগ্যে জোটে না। নিজেকে শুধু নিজের কাজে না লাগিয়ে যদি সে নিজেকে অধ্যাপকের কাজেও লাগাত তখন হ’ত উভয়ের মধ্যে একটি রসের যোগ । সেই রসধারার মধ্য দিয়ে অধ্যাপক পারতেন নিজেকে বিক্রত করে দিতে, প্রবাহিত করে দিতে ছাত্রের হৃদয়ের মধ্যে । অধ্যাপকের অস্তর-জীবনের ছায়াটি সেই রসের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ।