পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ¢ o ዓ সীমার মধ্যে, সে জ্ঞান চৈতসিক জীবন থেকে বিচ্যুত হয়। একটি বৃক্ষ যখন তার মূলদেশে কোন একটি জীবকোষের দ্বারা ভূমিস্থ রস আকর্ষণ করে তখন সেই রস আবদ্ধ হয় সেই জীবকোষের মধ্যে । এমন অসংখ্য জীবকোষ রয়েছে একটি মূলের বেষ্টনীর চারিদিকে, তার অসংখ্য গৃহে আবদ্ধ হচ্ছে পৃথক পৃথকভাবে ভূমির রস । সেই রস যদি সেই জীবকোষের মধ্যেই থাকৃত তবে বৃক্ষের জীবন হ’ত অসম্ভব, কিন্তু সেই রসের স্বাভাবিক প্রেরণায় তা প্রেরিত হ’তে থাকে অন্য অন্য জীবকোষের মধ্য দিয়ে এবং তা সঞ্চারিত হয় বৃক্ষের শীর্ষস্থ উদ্ধতম জীবকোষ পর্য্যন্ত এবং এই সঞ্চারণেব মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় বুক্ষের জীবন। একটা তাল বা খেজুরগাছের শিকড়ে যে রস আহৃত হয়, মাধ্যাকর্ষণের নিয়মকে অতিক্রম করে কোষজ প্রেরণায় সেই রস প্রেরিত হয় তালখর্জুরের শীর্ষদেশে । সেই শীর্ষদেশের একটু ছাল কেটে আমাদের বৃহৎ পাত্র পূর্ণ করে আমরা প্রত্যহ সে রস গ্রহণ করতে পারি। এমনি করে আমাদের জ্ঞানের নানা কোষে আমরা যে নানা রস আহরণ করি তা যখন পরস্পরের মধ্যে হয় সঞ্চালিত, পরস্পরকে করে যখন তা বিদ্রুত, তখন তা প্রকাশ পায় চৈতসিক জীবনে একটি মহত্তর দর্শনে, একটি মহত্তর প্রতিভাসে ; তখনই সেই জ্ঞান হয় সার্থক, তখনই সেই রস কোষবিশেষের ধর্ম্ম না হয়ে হয় সমস্ত চৈতসিক জীবনের ধর্ম্ম-ত। প্রকাশ করে, জীবনের রহস্তকে এক নিমেষের প্রতিভাসে, যেমন প্রতিভাত হয় চক্ষুর উন্মীলনে অখণ্ড আকাশের রূপ। আমাদের উপনিষদের ঋষিদের বাক্যের মধ্যে আমরা এই জাতীয় প্রতিভাসেরই পরিচয় পাই । এই হচ্ছে যথার্থ দর্শন। পরবর্তীকালের তাকিকের তর্কের জাল বুনে যা রচনা করেছেন তা বিদ্যামাত্র, তা দর্শন নয় । তর্কের যে সূক্ষ্ম জালে ছোট