পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ obr অধ্যাপক ছোট চুণোপুটি ধরা পড়ে সে জালে ধরা পড়ে না অগাধজলচারী তিমি, যে জালে ধরা পড়ে তিমি সে জালে ধরা পড়ে না চুণোপুটি । বৃহত্তর সত্যের প্রতিভাসের জন্য বিদ্যায় বিদ্যায় মিলন করে ফুটিয়ে তুলতে হয় মানসপ্রত্যক্ষের দর্শন, তবেই তা দিতে পারে চেতস-বৃক্ষের মধুময় ফল । এমন করে সংযমের মধ্যে, রসের মধ্যে, দর্শনের মধ্যে গড়ে উঠতে লাঞ্ছল তাদের চরিত্র। কানাইয়ের জীবনের মধ্যে যে বাধা বাধা কর্ত্তব্যমন্ত্রের অনুশাসনে কাজ করবার পদ্ধতি ছিল সেটা পরিবর্তিত হয়ে এল জীবনের রসশাসনের মধ্যে । কর্ত্তবা যতক্ষণ কর্ত্তব্য হিসাবে থাকে খাড়া নিয়ে ততক্ষণ তার পালনে আসে দ্বন্দ্ব, আসে ভয়, আসে দেটিান, কিন্তু কর্ত্তব্যের মন্ত্র যখন পরিণত হয় রসধারাগত জীবনের নিয়মে তখন তার পরিপালনে ভয়ও থাকে না, দ্বন্দ্বও থাকে না, দেটানাও থাকে না, থাকে আনন্দ । সুজাতা ও কানাই মিলে বিদ্যামন্দিরের নানা সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে এল অধ্যাপকের নিকট । তিনি সেই সংস্কারের মধ্যে প্রত্যক্ষ করলেন নিজের ভবিষ্যৎ কল্পনা ও স্বপ্ন । তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে উঠলেন। বল্পেন—“এতে যে প্রচুর অর্থ লাগবে।" সুজাতা বল্লে—“অর্থাগমের উপায় আমরা ভেবে রেখেছি ।” অধ্যাপক সোৎস্থকভাবে জিজ্ঞাসা করলেন—“কি উপায় ?” স্বজাতা বল্লে—“ব্যাঙ্কে আমার প্রচুর টাকা রয়েছে, অব্যবহারে তা যাচ্ছে মরচে ধরে । আমি সে সমস্ত বিনিয়োগ করতে চাই আপনার এ বিদ্যামন্দিরের সেবায় ।” কানাই দমল না । সে বল্লে—“আমার ব্যাঙ্কে কোন টাকা নেই, কিন্তু আমি যে রাসায়নিক আবিষ্কারগুলি করেছি সেগুলি বাজারে