পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q>br অধ্যাপক জ্যোৎস্ব এসে ঠিকৃরে পড়ছিল মুজাতার মুখের উপরে। চূর্ণকুন্তল তার স্কুলে বেড়াচ্ছিল বাতাসে । বসন্তসন্ধ্যার গন্ধবাণগুলি যেন বিদ্ধ করছিল তার মর্ম্মস্থল ৷ কত ঘুম-পাড়ানে। বাসনা হৃদয়ের মধ্যে উঠতে লাগল কোলাহল করে । সে কোলাহলের দূরশ্রত ধ্বনি যেন একটা মোহকর সঙ্গীতের আবেশে আবিষ্ট করল সুজাতার চেতনালোক । জাগ্রত মনের যে দ্বারী সর্ব্বদা থাকে দণ্ডপাণি হয়ে, ফিরিয়ে দেয় নিরস্তর অবচেতনার পথিকদের তাদের গহ্বরের মধ্যে, প্রকৃতির মাধুর্য্যের মধ্যে সেও কোন সময় হয় ঈষৎ তন্দ্রাচ্ছন্ন, হয় ঈষৎ দুর্ব্বল । স্বপ্নের সময় সে দ্বারী পড়ে যেন শ্রমার্ত্ত হয়ে ঘুমিয়ে । অবচেতনার পথিকেরা তখন কোন রকমে তার শাসনকে অতিক্রম করে’ এসে প্রবেশ করে চেতনার ভূমিতে । কিন্তু অবচেতনার মধ্যে দীর্ঘকাল বন্দীদশায় থাকার ফলে তারা অনেক সময় এমন জীর্ণশীর্ণ ছায়াময় হয়ে ওঠে, তাদের মুখভাব ও পরিচ্ছদ হয়ে যায় এত পরিবর্তিত যে চেতনাভূমিতে যখন তারা দেখা দেয় স্বপ্নরূপে, তখন তাদের যথার্থ পরিচয় চেনা হয় দুর্ঘট । অনেকদিন পূর্ব্বে স্বজাত একবার স্বপ্নে দেখেছিল cয সে যেন একটা ভেলায় রওন। দিয়েছে মহাসমুদ্রের মধ্যে । ভেলার মাঝি একজন বলিষ্ঠ কালো লোক । মুজাতার পরণে লাল চেলি, কপালে একটা সি দুরের ফোট । এই স্বপ্নের কথা স্বজাত অনেক সময় ভেবেছে । যতই ভেবেছে, তার মুখ হয়েছে আরব্রু । তবে কি এ কালো লোকটি কানাই নাকি ? কানাইয়ের সঙ্গে হবে নাকি তার মিলন এবং দু’জনে রওনা দেবে অকুলের দিকে ভেলায় চড়ে ? কানাইয়ের সঙ্গে যখন মেশামেশি হয়ে উঠল ঘনিষ্ঠ, তখন যখনই সুজাতার মনে সে স্বপ্নটি ভেসে উঠত তখনই মনে মনে সে অত্যন্ত লজ্জিত ও সঙ্কুচিত হয়ে উঠত। মেয়েদের অনেকেরই মনে স্বপ্ন সম্বন্ধে একটা দুর্ব্বলতা আছে । তাদের অনেকেরই মনে একট।