পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Č 3. o অধ্যাপক তরল । সে যায় অনুভবের প্রাস্তে একটু শিহর দিয়ে, কিন্তু তার इंडिं দেখায় না। যখন কোন তরুণ যুবা বসে থাকে একটি ঘরে এবং তার পাশের ঘরে পর্দার আড়াল থেকে শোনা যায় তরুণীদের কলহাস্য, পাদগুঞ্জরণ, কচিৎ বা দেখা যায় ওড়নার প্রান্তটুকু, তখন তার রক্তে যে একটি নামগোত্রহীন ব্যাকুল হিল্লোল ওঠে, এ যেন কতকটা সেইরূপ । নিগৃহীত অবচেতনার মধ্য থেকে সেই আকর্ষক গুঞ্জরণ স্বজাতার কাণের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে অপরিস্ফুট বেদনার অনুভবে নিষিক্ত করেছিল তার মুখমণ্ডল একটা অপূর্ব্ব অলৌকিক দীপ্তিতে । কানাইয়ের মনে যে আন্দোলন উঠছিল সে শুধু অবচেতনাগত ংস্কারের আন্দোলন নয়, তার মধ্যে মিশ্রিত হয়ে ছিল নিরুদ্ধ দেহবৃত্তির আস্ফালনের তাণ্ডব । মঞ্জরীর সঙ্গে কানাইয়ের যে ব্যবহার ঘটেছিল তাতেই নরনারীগত যে ভাবটি দেহে ও মনে তরঙ্গ খেলে যায় সেই ভাবটীর সঙ্গে তার একটা স্ফুট পরিচয় হয়েছিল। দীর্ঘ নিগ্রহের দ্বারাও সেই পরিচয়টি ছায়ার ন্যায় বিশীর্ণ হয়ে যায় নি । বাইরে তার প্রকাশ হয়েছে নিরুদ্ধ, তাই ভিতরের আবেগের পূর্ণতায় তা ছিল সজীব হয়ে । বন্দীর ন্যায় কারাগৃহের বাইরে তা আসতে সাহস করত না, কিন্তু কারাগৃহের দরজার গরাদের উপরে তা সময় সময় করত মিথ্যা ক্ষোভ প্রকাশ । কারাগৃহের গরাদ ছিল অতি দৃঢ়, তাই সে কিছুতেই ছুটে বাইরে আসতে পাবত না । সে একবার স্বপ্নে দেখেছিল যে সে উঠছে একটা দুরারোহ শৈলে, তার সঙ্গে রয়েছে একটি মেয়ে ; মেয়েটির মুখ অবগুণ্ঠনে ঢাকা । মেয়েটি উঠছে ভর তত্ব করে এগিয়ে, আর সে রয়েছে পড়ে পিছনে । যখন পিছল জায়গায় পিছল পাথরের উপরে সে পড়তে চায় পা পিছলে, মেয়েটি দেয় তাকে অবলম্বন । তারপরই সে ধরতে চায় তার হাত, দেখে মেয়েটি গেছে এগিয়ে । যখন অতি উদ্ধে