পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক (t૨૪ উঠতে গিয়ে তার মাথা উঠছে ঘুরে, মেয়েটি আশ্রয় দিচ্ছে তাকে কাধের উপরে, কিন্তু যেই সে চলতে গিয়েছে, সে দেখেছে মেয়েটি আর তার পাশে নেই, গেছে সামনে এগিয়ে । স্বপ্নটিকে সে ব্যাখ্যা করেছে নিজের মনে মনে । সে বার বার পণ করেছে যে এই আরোহণে তার সঙ্গিনীর চেয়ে তার নিজের বল সে অধিক পরিমাণে ব্যক্ত করবে, চাইবে না তার আশ্রয়, উঠবে আপন বীর্য্যে, তার বিনা অবলম্বনে । কিন্তু তবু কোথায় যেন জড়িয়ে ছিল একটা মধুরতা এই মেয়েটির হাতে ভর করায় এবং তার স্কন্ধকে করতে অবলম্বন । - আজ এই বসন্তসন্ধ্যার নির্জনতা তার মনকে দিয়েছিল হাল্কা করে” । যে গন্ধের স্বরা সে পান করেছিল, তাতে যেন ক্ষণিক অনবধান হয়ে পড়েছিল অবচেতনার দ্বারী । সে বারবার স্বজাতার অজ্ঞাতে আকণ্ঠ পান করেছিল তার চন্দ্রিকোপ্তাসিত মুখের লাবণ্য । চন্দ্রের স্বরার সঙ্গে মুখলাবণ্যের স্বরা মিশ্রিত হয়ে উচ্ছল করে তুলেছিল তার রক্তের তরঙ্গ, শিথিল করে দিয়েছিল তার আপনার উপরে সংযম । সে একটু এগিয়ে এসে আরো একটু কাছে বসল স্বজাতার । সুজাতা একবার তাকালে তার দিকে, তারপর নেত্রপল্লব রইল আনত করে’ । কাব্যে ইতিহাসে দেখা যায় যে বসন্তপুষ্পাভরণা পার্ব্বতী পদ্মরাগের পরিবর্তে রক্তাশোকের গুচ্ছে, হেমালঙ্কারের পরিবর্তে কণিকার গুচ্ছে হয়েছিলেন অলঙ্কত, মুক্তাকলাপীকৃত করেছিলেন সিন্ধুবার পুষ্পের মালা, বসন পরেছিলেন তরুণার্করাগের পুষ্পস্তবকাবনম্র সঞ্চারিণী লতার ন্যায় ছিল তার, গতি । মন্মথের দ্বিতীয় মেীর স্বায় কোমরে পরেছিলেন কেসরদামকাঞ্চী । র্তার মুখের নিঃশ্বাসে বদ্ধতৃষ্ণ হয়ে ব্যাকুল ভ্রমর ফিরছিল তার . বিম্বাধরের সন্নিকটে সঞ্চরণে, সন্ত্রমলোল দৃষ্টিতে লীলারবিন্দে তিনি তাদের কর