পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 。 অধ্যাপক মধ্যে এমন কিছু থাকে যাতে হৃদয়কে নিজের অজ্ঞাতে তার দিকে টানে। এইখানেই আর এক দিকে তোমার কথার একটা উণ্টে৷ দৃষ্টান্ত দেখা যায়। নিস্তারিণী দেবীর সঙ্গে আমার কোনও প্রয়োজনের সম্বন্ধ নেই । বয়সে উনি হয় ত আমার মায়ের চেয়েও বড় । আমাদের মনের ধারা এক নয়, তবু ওঁকে দেখে আমার ভাল লাগে। ওঁর দেবীচরিত্রের দিকে আমি প্রতিদিনই আকৃষ্ট হচ্ছি। ওঁর কি বিশুদ্ধ অমায়িক ব্যবহার! কি মধুময় ওঁর দৃষ্টি, কি স্নিগ্ধ ওঁর চিত্ত ! লোকে সাংসারিকভাবে যাকে স্বখ বলে তার কিছুই ওঁর নেই, কোনদিন ঘটেও নি । সমস্ত জীবন পরের জন্য কেবল ত্যাগ করে’ই গেলেন । কোথায় কে দুঃখী, কোথায় কে আর্ত্ত, কোথায় কার দুঃখ এতটুকু প্রশান্ত করা যেতে পারে, তারই অন্বেষণে র্তার মাতৃচিত্ত হাহাকার করছে। নিজের দিকে কোনও দৃষ্টি নেই, নিজের জন্য কিছুই খরচ করেন না । নিজের কোনও চাহিদা বা অভাবের কথা একবারও মনে ' তোলেন না । একটি অভিযোগ নেই ওঁর মুখে । ওঁর জীবনের কোনও খবর জানি না, নিজের কোনও কথা উনি বলতে চান না । কি যেন একটা সোণার কাঠি আছে ওঁর কাছে, যার দ্বারা উনি সমস্ত জগৎকে মধুময় করে নিতে পারেন । এইসব লোক সহজসিদ্ধ। এইজন্য স্বভাবতঃ আমার চিত্ত ওঁর দিকে ভক্তিনত হয়ে ওঠে । লোকে যেমন দেবীমন্দিরে প্রবেশ করে তেমনি আমি ওঁর ঘরে প্রবেশ করি । তাই নিয়ে যাই ফুল। উনি ফুল বড় ভালবাসেন। গুছিয়ে দি ওঁর বইপত্র । উনি যখন ধীর সমাহিতভাবে বিশুদ্ধ উচ্চারণে উপনিষদ পড়েন তখন আমি স্তব্ধভাবে বসে থাকি ওঁর পায়ের কাছে। সন্ধ্যাবেলায় জেলে দিই ওঁর প্রদীপ। দুটো একটা ধূপকাঠি জেলে দিয়ে দেখি উনি শাস্ত সমাহিতভাবে চেয়ে রয়েছেন একদৃষ্টিতে পশ্চিমের