পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(; c. অধ্যাপক স্বজাত হেসে উঠে বল্লে—“ত হ’লে ত খুলীই হব, তোমাকে আরও ভালবাসব । আমি যাকে ভালবাসি তাকে যদি তুমি ভালবেসে যত্ব করে পরিশ্রম করে কিছু করে দাও, তাতে আমার অসুখী হওয়ার কি কারণ আছে ? সেইজন্য তুমি এত ইতস্তত: করছ কেন ?” মঞ্জরী বল্লে—“সে কথা তুমি বুঝতে পারবে না। ভালবাসা ভালবাসাকে ঘনিয়ে তোলে, ঋতুকালে ফুল যেমন তোলে ফুলকে ফুটিয়ে । কিন্তু ফুল যে খালি ফুলকে ফোটায় তা নয়, অনেক সময় কঁাটাও তীক্ষু করে তোলে । কালিদাস বলে গেছেন—স্নেহ পাপশঙ্কী, কোনও জায়গায় স্নেহ থাকলে তাকে অন্যের কাছ থেকে রক্ষা করবার জন্য অনেক রকমের আশঙ্কা লোকের মনে জেগে ওঠে, তাই অনেক সময় হয় রজ্জতে সর্পভ্রম ” এমন সময় বৈকালিক আহারের ঘণ্টা বাজল, কথা আর চলল না । তৃতীয় পরিচ্ছেদ অনেক দিন কেটে গেছে । মাঘের শেষ । শীত যাই যাই করেও যেতে পারছে না, বাধা পড়ে গেছে শাল আলোয়ানের আবরণের মধ্যে । এখনও চলেছে তার পাতা ঝরাবার লীলা । শুকৃনো উত্তর হাওয়ায় নিরন্তর চলেছে বিশুদ্ধ শালপত্রের খড়খড়ি । গঙ্গার জল ক্রমশঃ শীর্ণ হয়ে চলেছে, কিন্তু এরই মধ্যে নবোদগত বসন্তু শিশুরুষ্ণের মত তার বলবিক্রম প্রকাশ করতে আরম্ভ করেছে ।