পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক \డిసె গভীর সৌন্দর্য্যের মধ্যে তার মূল নিহিত হয়ে আছে। রুচির অঙ্গুরোধে সেখান থেকে তাদের উৎপাটিত করা যায় না ।” মঞ্জরী বল্লে—“আপনার স্বপক্ষে দৃষ্টান্ত কোথায় ? কি করে আপনি প্রমাণ করবেন যে দাশুরায়ের পাচালীর মত রবীন্দ্র-সাহিত্য একদিন অচল হবে না ? দাশু রায় যখন বেঁচে ছিলেন তখন নোবেল প্রাইজের স্বষ্টি হয় নি বটে, কিন্তু তার ডব্রডবানি বড় কম ছিল না ।” সুকুমার বল্লে—“কোনও বিষয় প্রমাণ করা সহজ নয় । কিন্তু চেয়ে দেখুন আমাদের প্রাচীন সাহিত্যের ইতিহাসের দিকে । এক সময় আমাদের দেশে রুচি এমন অবসন্ন হয়ে এসেছিল যখন মাঘ, ভারবি ও শ্রীহৰ্ষ কালিদাসের চেয়ে বড় জায়গা পেতেন । ভবভূতি কেঁদেছিলেন যে র্তার গুণগ্রাহী লোক হয় ত কেউ দেশান্তরে আছে বা কালাস্তরে জন্মাবে। পণ্ডিত সমাজে একটা প্রবাদ আছে যে রঘুবংশও কাব্য, আর তাও পড়তে হবে । ভট্রি গর্ব্ব করেছিলেন যে তার কাব্য এত পাণ্ডিত্যপূর্ণ যে ব্যাখ্যা ছাড়া তা বোঝা যায় না, এবং সেই কারণেই ভামহ করেছিলেন তাকে তিরস্কার । কিন্তু কালের গতি ফিরে এসে আবার তার সনাতন স্থান নিয়েছে । আজ বাল্মীকি, কালিদাস, ভবভূতি, শূদ্রক—এরাই সংস্কৃত সাহিত্যের স্তম্ভ। মাঘ, শ্রীহর্যের পঠনপাঠন এসে দাড়িয়েছে সাহিত্যের ইতিহাসের জ্ঞানবৃদ্ধির জন্য, কাব্য সেবার জন্য নয় ।” মঞ্জরী জবাব করলে—“সে সনাতন আদশ টা কি ? কি এমন কারণ আছে যে জন্য আমরা বর্তমান যুগের, বর্তমান মানুষের, বর্তমান সভ্যতার বস্তু থেকে আমাদের কাব্যের উপাদান সংগ্রহ করতে श्राद्रवझे मl ?” মুকুমার বল্লে—“সনাতন আদর্শটা কি সেটা আমি আপনাকে