পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক իյ Չ স্বকুমার বল্লে—“তোমার জন্ত আজ এখানে এলুম, তোমার ত আঞ্জ নাগালই পাওয়া গেল না ।” মুজাতা একটু হেসে উত্তর করলে—“ঘর আগলে থাকলে নাগাল কি করে’ পাওয়া যায় ? আর আমার নাগাল না পেলেও আমার বন্ধটির নাগাল ত আজ পেয়েছ ! বেশী লোভ নয়, চল ।” সকলে মিলে’ তখন রওনা দিলে । সন্ধ্যার আসন্ন ছায়া যেন বিকীর্ণ করল তার স্নানিমাটুকু এদের মুখের উপর । কোথাও কিছু ঘটে নি, অথচ ভবিষ্যতের কি আয়োজনের বীজ বিধাত যেন আঞ্জ কোন মানসলোকে উপ্ত করলেন । সকলের মনেব গাঢ়তা যেন আজ এই বনস্পতিকুলের পল্লবাঙ্কিত ছায়াকে মসীলিপ্ত করে তুলল । চতুর্থ পরিচ্ছেদ বৈশাখী সন্ধ্য প্রায় আসন্ন । পশ্চিমদিকে স্বয্য কিছুক্ষণ অস্ত গিয়েছে, সন্ধ্যার ছায়া আসন্ন হয়ে এসেছে । ইডেন গার্ডেনের সামনে একটি ল্যাম্প পোষ্ট্রের নীচে একটি ছেলে পায়চারি করছে । ছেলেটি দীর্ঘ, বলিষ্ঠ, রং গাঢ় শু্যাম, কালো বললেও অত্যুক্তি হয় না ৷ ললাট প্রশস্ত, চক্ষু আয়ত, নাসিক উন্নত । সমস্ত মাংসপেশীগুলি কেবল যে দৃঢ় তা নয়, কর্ম্মঠ এবং কর্ম্মোন্মুখ । দেহের কোনও স্থানে কোনও বাহুল্য নেই । দেখলে শক্তিমান বলে’ মনে হয়, অথচ এমন কথা মনে হয় না যে অনেকখানি শক্তি এক স্থানে বাধা পড়ে’ আছে । এ শক্তি সেই নিরর্গল শক্তি যে শক্তি চিন্তা করবার আগে ছোটে কাজের দিকে । প্রবৃত্তির তাড়ন। সেখানে মুখ্য ; শুভাশুভ বিবেচনা করে’,