পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br"。 অধ্যাপক লাভালাভের কথা মনে করে’, চিস্তার পথে সংযমের নিয়ন্ত্রণ সেখানে শিথিল । মুখের মধ্যে কমনীয়তা তেমন নেই যেমন আছে দৃঢ়তা, তেজস্বিতা এবং নির্ভীকতা । ছেলেটির পরণে খন্দরের ধুতি, খন্দরের পাঞ্জাবী, দুটোই আধময়লা । হাতে একটা মোট ধরণের ভারী লাঠি, মাথায় গান্ধীটুপি, পায়ে নাগরাই জুতো । ছেলেটি পায়চারি করছে আর অসহিষ্ণুভাবে রেড রোডের মোডের দিকে তাকাচ্ছে ; ভাবখানা এই যে আর অপেক্ষ করা যাচ্ছে না, অথচ অপেক্ষ না করে’ চলে যাওয়ারও উপায় নেই। এমন সময় দেখা গেল, একটি মেয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে চলে’ আসছে। একটু এগিয়ে আসতে দেখা গেল মেয়েটি আমাদের পূর্বপরিচিত মঞ্জরী। দূর থেকে মঞ্জরীকে দেখেই ছেলেটি ছুটে গিয়ে হেসে বল্লে—“বেশ যা হোক, দাড়িয়ে আছি সেই সাড়ে পাচটা থেকে। আমি ত ভাবলুম শেষ পর্য্যন্ত তুমি এলেই না বুঝি।” মঞ্জরী একটু কৈফিয়তের স্বরে বল্লে--"তাই ত, অনেকটা দেরী হয়ে গেল। কি হাঙ্গামা করে যে এসেছি তা আমিই জানি । আমিও ভাবছিলাম যে কানাই-দা যে-রকম তড় বড়ে লোক, হয় ত বা রেগে চলে’ই গেল।” ছেলেটির নাম কানাইলাল সেন । এম.এস.সি পাশ করে। বেরিয়েছে । ছেলে খুব মেধাবী, কিন্তু পরীক্ষার ফল তেমন ভাল হয় নি। কানাই বল্লে—“তাই ত, আর একটু দেরী হ’লে আমাকে হয় ত চলে যেতেই হ’ত ” মঞ্জরী একটু ব্যঙ্গস্বরে বল্লে—“কেন, এত কি কাজ তোমার ? কোনও আখড়ার মিটিং আছে নাকি ?” কানাই উচ্চহাস্তে বল্লে—“তা থাকলেই বা তোমাকে সে কথা বলে’ লাভ কি ? এখন চল, একটু বেড়ানো যাক ৷” -