পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক Ե-Գ সে এখন আবার তার উপর দখলী স্বত্ব স্থাপন করতে চেষ্টা না করে । মানুষের মনে এই অসামঞ্জস্যটা অনেক সময় দেখা যায় যে সে নিজেকে কারুর দখলী স্বত্বের মধ্যে আনতে চায় না, অথচ নিজের দখলে যা একবার এসেছে তা বিনা ঝঞ্চাটে যাতে নিজের আয়ত্তের মধ্যে থাকে, এমন কি, তার জন্য একটু যত্ব বা চেষ্টা করবারও কোন প্রয়োজন না থাকে, এইভাবে চলতে চায় । বর্ত্তমান অবস্থায় স্বকুমার আকৃষ্ট হয়েছে বটে কিন্তু এখনও তার সত্যকার টান রয়েছে স্বজাতার দিকে । সেখান থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করতে হ’লে তার সমস্ত আয়োজন হওয়া চাই নিখুত । কাজেই এ অবস্থায় কানাইকে প্রশ্রয় দিলে সেটা ঘটিয়ে তোলা হবে একান্ত অসম্ভব । তা ছাড়া, মঞ্জরী মনে করেছিল যে কানাই যেখানেই থাক্, যাই করুক, সে জালের মধ্যে এমন করে’ই তার হাত-পা জড়িয়েছে যে তার পালিয়ে যাবার উপায় নেই, যখন খুলী তাকে ডাকলেই পাওয়া যাবে । কিন্তু এখন তাকে কিছুদিন অন্ততঃ দূরে ঠেকিয়ে রাখতে হবে । মুকুমারকে নিয়ে যে কি করবে তা এখনও মঞ্জরী মনে মনে ঠিক করে উঠতে পারে নি, কিন্তু তার মনে একদিকে যেমন প্রবল হয়ে উঠেছে মুকুমারের প্রতি লোভ, অপরদিকে তেমনি প্রবল হয়েছে নারীহৃদয়ের প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কি এমন স্বজাত, যে মঞ্জুরী কাছে থাকতেও স্বকুমার তারই পিছনে ছুটবে ? মঞ্জরী আজ এসেছে একটু বিশেষ পারিপাট্যের সহিত সাজ করে । কপালে দিয়েছে কুস্কুমের ফোটা । চোখের প্রাস্তে ঈষৎ স্পর্শ করেছে কাজলরেখা । বিশেষ স্থসিয়ার লোক না হ’লে তা কারুর চোখে পড়বার কথা নয়, অথচ চোখের আয়তত্ব ব্যঞ্জিত করবার পক্ষে সেইটুকুই যথেষ্ট । পরিচ্ছদ যা পরেছে তা একান্ত বাহুল্যবজ্জিত ।