পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক b•ఫి: থমকে যেতে পারে । কানাইকে নিয়ে এতকাল সে অনেক চালিয়ে এসেছে, অনেক অসুবিধায়, অনেক বাধায় ডাক দেওয়ামাত্র সমস্ত ঝঙ্কাট মাথায় নেওয়া, এ কানাইয়ের মত আর কাউকে পাওয়া যাবে না । যত বড় ঝঙ্কটিই হোক না কেন, কানাই যেন সমস্ত তুচ্ছ করে মঞ্জরীর জন্য যা কিছু করবার জন্য পা বাড়িয়েই আছে, যত বড় অপমানই হোক না কেন, বহন করবার জন্য মাথা যেন বাডিয়েই আছে । কিছুদিন পূর্বে মঞ্জরী চিঠি চালাচালি করেছিল একটি নিম্ন জাতীয় সহাধ্যায়ীর সঙ্গে । চিঠি লিখবার সময় কথার বঙের উপর যতটা দৃষ্টি ছিল, চিঠিগুলোকে রোম্যান্টিক্‌ করে তোলবার জন্য যে প্রলোভন ছিল, দৃষ্টি ছিল না সে-রকম চিঠি লিখবার ফলের দিকে । সে খালি এইটুকু মাত্র সতর্কত নিয়েছিল যে চিঠিগুলোর মধ্যে কোথাও সেই সহাধ্যায়ীটির নাম দেয় নি । চিঠির পর চিঠিতে উত্তেজিত হয়ে ছেলেটি একদিন এসে মঞ্জরীদের বাড়ীতে উপস্থিত। মঞ্জরী তখন বাড়ী ছিল না । সে এসে মঞ্জরীর মা ও পিসীমার নিকট নিজের পরিচয় দিয়ে প্রস্তাব করে যে সে মঞ্জরীকে বিয়ে করতে চায় এবং বলে এ সম্বন্ধে মঞ্জরী প্রস্তুত আছে । বাড়ীতে মহা হুলস্থল বেধে গেল । মঞ্জরী এসে বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে দেখলে যে শুধু খেলা খেলবার জন্য, শুধু একটু মাদক উত্তেজনার জন্য সে এসে এমন জায়গায় দাড়িয়েছে যেখানে কলঙ্ক থেকে রক্ষা পাওয়ার তার আর উপায় নেই । একান্ত নিরুপায় হয়ে সে কানাইয়ের কাছে সাহায্য চাইলে । কানাইয়ের সঙ্গে তখন পর্য্যন্ত তার তেমন ভাব জমে ওঠে নি । কিন্তু কানাই ছিল সেই রকম উদার প্রকৃতির ছেলে যে নিজের জন্য কোথাও কিছু জোর করে? চাইতে পারত না, রাখতেও পারত না, কিন্তু অপরের সকরুণ প্রার্থনা সে কখনও প্রত্যাখ্যান করতে পারত না ; বিশেষত: কোন নারী বিপন্ন