পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ মাস। [ শ্রী তারিণীপ্রসাদ জ্যোতিষী লিখিত । ] নারদ বলেন,-বৈশাখ মাসের সমান মাস নাই; কবিগণ বলিয়াছেন, যেমন সত্যযুগের সমান যুগ, বেদের সমান শাস্ত্র, গঙ্গাতুল্য তীর্থ, জলদানের সমতুল্য দান, ভার্য্যাসুখসদৃশ সুখ, কৃষিসদৃশ সম্পদ, জীবনলাভের তুল্য লাভ, অনশনসমান ব্রত, দানসদৃশ শ্রেষ্ঠ সুখ, দয়ার তুল্য ধর্ম্ম, চক্ষুর অনুরূপ জ্যোতি, রসনাতুল্য তৃপ্তি, কৃষির তুল্য বৃত্তি, ধর্ম্মের তুল্য মিত্র, সত্যের সমান যশ, আরোগ্যের ন্যায় উন্নতি এবং কেশবসদৃশ ত্রাতা নাই, তদ্রুপ ত্রিলোকে মাসসমূহ মধ্যে বৈশাখের সদৃশ পবিত্র মাস আর নাই। বৈশাখমাসই মাসমধ্যে প্রধান ও শেষ শায়ী হরির সর্বদা প্রিয় । যে মানব মাধবপ্রিয় বৈশাখমাস ব্রত ব্যতীত অতিবাহিত করে, সে সর্ব্বধর্ম্মবহিস্কৃত হইয়া সত্বর তির্য্যাগযোনি প্রাপ্ত হয় । বৈশাখমাসে সূর্য্য মেষ রাশিতে উপস্থিত হয়েন, হিন্দুশাস্ত্রে উত্তরায়ণমধ্যে এই মাস সর্ব্বশ্রেষ্ঠ পুণ্যমাস বলিয়া কথিত হয়। যাবতীয় পুণ্যকার্য্যের অনুষ্ঠান করিবার জন্য এই মাসে ঋষিরা যে ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন, তাহ ধর্ম্মশীল মানবগণের পক্ষে অবশ্য কর্ত্তব্য। উহা দৈহিক ও মানসিক বিশেষ উন্নতিসাধক ৷ ঋষিগণ বলেন,-বৈশাখমাসে জলদান, অন্নদান, ছায়াদান, ছত্রদান, পাদুকাদান, বটবৃক্ষাদি রোপণ, অতিথিসৎকার ও জলাশয়াদি খনন পুণ্যজনক । নারদ বলেন,- তৈলাভাঙ্গ, দিবানিদ্রা, কাংস্তপাত্রে ভোজন, খটায় শয়ন, গৃহে তোলাজলে স্নান, নিষিদ্ধ বস্তু ভক্ষণ, দ্বিরশন এবং নাক্ত ভোজন, বৈশাখ মাসে এই আটটি পরিত্যাগ করিবে । যে মানব বৈশাখে পদ্মাপত্রে ভোজন করে ও ব্রতস্থ হয়, তাহার বিষ্ণুলোকে গমন হয়। বৈশাখমাসে কখন অস্নাত থাকিবে না । প্রতিদিবস প্রাতরুত্থান, প্রাতঃস্নান অথবা সন্ধাস্নান করা কীর্ত্তব্য। শাস্ত্রে আছে, যাহারা বৈশাখমাসে অস্নায়ী, কুৎসিত পাত্রে ভোজনকারী এবং দৃঢ়বন্ধ রোগহীন ব্যক্তি গৃহে বসিয়া তোলাজলে স্নান করে, সে চণ্ডালও রাসভযোনি প্রাপ্ত হয়। বৈশাখমাসে সুর্য্যের উত্তাপ প্রখর হয়, গ্রীষ্মের প্রাখর্য্যবশতঃ শরীর ঘর্ম্মাক্ত ও উত্তাপবহুল হয়, তজ্জন্য দেহমধ্যে রস ও কফের প্রকোপ দৃষ্ট হয়। আয়ুর্ব্বেদকর্তা সুশ্রুত বলেন,-এই নিদাঘকালে মধুর ও D BDBS BBSLLBDYBBDS DBDDDD BDDBS DDBDS উষ্ণ আহার, পরিশ্রম, মৈথুন, অতিশোষণকার ভোজন বা ক্রিয়া এবং বিবিধ পিত্তবৰ্দ্ধক রস পরিত্যাগ করিবে । সরোवज्र, नौ, प्नांश्ज्ञ वन, फन्न, भांबा, श्रद्म, ॐ९°ांव, उांढगडूश्ठবাজন, শীতল গৃহ, ঘর্ম্মকালে অতি লঘু বস্ত্র, শর্করাযুক্ত সুগন্ধি সরবৎ, শর্করাযুক্ত মন্থ এবং শীতল স্বতযুক্ত মধুর দ্রবন্দ্রব্য ভোজন এই কালে বিশেষ হিতকর। রাত্রিকালে শর্করাসহ দুগ্ধ ভোজন এবং চন্দনচচ্চিতাঙ্গ হইয়া, বায়ুসঞ্চারিত স্থানে, প্রস্ফুটিত কুসুমবিকীর্ণ সুশীতল শয্যায় শয়ন করিবে। গ্রীষ্মকালে ধাতুপাত্রে ভক্ষণ নিষিদ্ধ। বিশেষতঃ রোগী ও গ্রহপীড়িত ব্যক্তির পক্ষে বিষ তুলা ফল প্রদান করিয়া থাকে। মানুষ্যের ন্যায় ধাতুপাত্রও গলিত বা ঘর্ম্মাক্ত হয়, উহা অন্নের সহিত যুক্ত হইয়া উদারস্থ হইলে দেহে বিষের ন্যায় কার্য্য করে। সুতরাং অন্নাদি যাহা কিছু ভক্ষণ বা পান করিবে, প্রস্তর, কঁাচপাত্র বা বিবিধ প্রকার মৃন্ময়পাত্রাদি ব্যবহার করিবে। রন্ধনাদিও ধাতুপাত্রের পরিবর্তে মৃন্ময়পাত্রাদিতে হওয়া কর্ত্তব্য। যে স্বাস্থ্যকামী জ্ঞানবান পুরুষ এই কালে নিরামিষ আহার ও নিত্যস্বাস্থ্যকর ফলমূল সেবন করেন, তিনি নিশ্চয় দীর্ঘজীবন লাভ করেন। যিনি এই নিদাঘকালে ব্রহ্মচর্য্যপরায়ণ হইয়া কদলী বা পদ্মাপত্রে ভোজন, কদলীরস সেবন বা ফল ভোজন করেন, তাহার শরীরে কখন বাধি উপস্থিত হইতে পারে না । বৈশাখমাসে রাত্রিমান অল্প ও দিবামান অধিক । জীবজগতে এই সময় কর্ম্মলিপ্ত ও চৈতন্যশক্তির প্রশস্ততাহেতু দেহীর পক্ষে নানাবিধ শুভকার্য্যে শুভফল লাভ হইয়া থাকে । দক্ষিণায়ন সময়ে সেই শুভফলের প্রত্যাশা করা যায় না ; কারণ, সেই সময় তামসী শক্তির প্রাধান্য হইয়া উঠে, তদ্ধেতু মনুষ্য অল্পায়ু ও অল্পজ্ঞানসম্পন্ন হইয়া বিবিধ দুরারোগ্য রোগের ও শোকের অধীন হইয়া থাকে। জ্যোতিষাচার্যদিগের মতে দক্ষিণায়ন অপেক্ষা উত্তরয়নে জাতকের জন্ম ও মৃত্যুর ফল। অতীব প্রশস্ত। সূর্য্য মধ্যকক্ষ পরিত্যাগ করিয়া দক্ষিণে গেলে পাপগ্রহের কারকতাই বৃদ্ধি হয়, উত্তরায়ন প্রাপ্ত হইলে আপন পূর্ণশক্তিকে শক্তির আকর্ষণে শুভগ্রহের প্রাধান্যই বৃদ্ধি করেন। বৈশাখ মাসে জাতকের জন্ম হইলে জাতিক বুদ্ধিমান, দীর্ঘায়ু, সহিষ্ণু, জীবনীশক্তিযুক্ত, বিনীত, ধার্ম্মিক, দাতা, সজ্জনপালক, যশস্বী, কফপ্রধান ধাতু ও স্ত্রীর প্রকৃতি প্রাপ্ত হইয়া থাকে। স্ত্রীগণ পুত্রবান, পতিব্রতা ও ধনশালিনী হয়েন। অবশ্য দুরাচার, অখাদ্যভোজী, অব্রহ্মচর্য্যশীল, মদ্যপায়ী, অগম্যাগামী প্রভৃতি মহাপাতকীর পক্ষে বৈশাখ কেন, কোন কালেই পুণ্য বা শুভফলের আশা করা যায় না। তাহারা নিজকৃত কর্ম্মফল দ্বারা কালকৃত বিবিধ শুভফলকে অতিক্রম করিয়া নানাপ্রকার দুঃখের ভাগী হয়। কাল ঈশ্বরপরায়ণ পুণ্যাত্মাদিগেরই চিরসহায় হইয়া, दिदिक्ष श्cडांश ७ अयांऊि बांश्ा (यद९ (जोडांशा नकल প্রদান করিয়া থাকেন।