পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় চিত্র । তার পর দেখুন,-সঁাতার কিঞ্চিৎ অভ্যস্ত হইয়া গেলে এবং জলের ভীতি ভাঙ্গিলে কলসী ছাড়িয়া তখন কি প্রকারে সঁাতার দেওয়া যায়, তাহা তৃতীয় চিত্রে প্রদর্শিত হইয়াছে। তৃতীয় চিত্র। মুখখানিকে জলের উপর ভাসাইয়া রাখিয়া পদদ্বয় সোজা করিয়া জলের উপর দুই হাতে জল আকর্ষণ করিয়া কেমন সীতার দিতেছে। সঁতার দস্তুরমত অভ্যস্ত হইলে চতুর্থ ও চতুর্থ চিত্র। পঞ্চম চিত্র অনুযায়ী সীতার দেওয়া যায়। কখনও কান্ত হইয়া, কখনও ডাইনে ঘূরিয়া, কখনও বামে বেঁকিয়া হাত পা ইড়াইয়া বেশ সহজ অবস্থায় সাতার দিতেছে। সঁতার দিবার সময়ে বিশেষভাবে দেখিবে যেন কাপড় না জড়াইয়া যায়। চিত্রে যেমন পোষাকের নমুনা রহিয়াছে ঐরূপ পোষাক অথবা লুঙ্গি কি ছোট কাপড় শক্ত করিয়া অ্যাটিয়া পরিয়া। তবে সঁাতার দেওয়া উচিত। প্রথমেই বহুদূরে যাওয়া উচিত নহে এবং একাকী নদীতে বা পুকুরে অপর সঙ্গী না থাকিলে সাতার দেওয়া কখনও কর্ত্তব্য নহে । নিয়ে ষষ্ঠ চিত্র দেওয়া গেল। উহা চিৎ হইয়া সঁাতায় । দেওয়ার নিয়ম। প্রকৃতির উপাসক বা র্যাহারা সুমিষ্ট সঙ্গীত করিতে পারেন, তাহারা চিৎ হইয়া প্রকাণ্ড সরসীবক্ষে কিম্বা নদীবক্ষে সঁাতার কাটিতে কাটিতে সঙ্গীত করিতে করিতে গভীর রজনীতে অনন্ত আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জ দেখিতে দেখিতে অপারে আনন্দ উপভোগ করিতে পারেন । புத் f5ரு এই ষষ্ঠ চিত্রে চিৎ হইয়া সঁাতার দিবার যে নমুনা দেখাইলাম, উহা বড় আরামপ্রদ। র্যাহারা ভাবরসে ডগমগ, নিৰ্জন নিরালা প্রাণ, র্যাহারা প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করিতে চাহেন, অথচ জলকেলিদ্বারা ও প্রাণে আনন্দভোগ করিতে চাহেন, তাহারা সন্ধ্যার আধারে নির্জন নদীবক্ষে সাতার কাটিয়া বিভুগুণ গাহিতে গাহিতে প্রাণারাম আনন্দভোগ করিতে পারেন । তার পর দাড়াইয়া সঁতারকাটা । अgभ 5ि । সপ্তম চিত্রে, তাহাই দেখাইতেছি । কেমন করিয়া দাড়াইয়া