পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s LSSLALSLALLLL LLL LLLLLLLLS LL SLLLeAASLLLLL LLLSeLLLLLS LLS AASeS LiLSTSLS S SAS AAAAALA eML A LLLSLSS S SSSS S AAS সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করিব । ইংরেজী ১৮৬০ খৃষ্টাব্দের ১৬ই জানুয়ারী তারিখে দ্বারবঙ্গের বর্তমান মহারাজ বাহাদুর ভূমিষ্ঠ হইয়াছেন। দ্বারবঙ্গের পক্ষে সে দিন অতি শুভদিন । বাল্যকালেই মহারাজ বাহদুরের পিতৃবিয়োগ হয়। তখন তিনি এবং তঁাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা স্যার লক্ষ্মীশ্বর সিংহ বাহাদুর কোর্ট অব ওয়ার্ডসের অভিভাবকত্বে লালিত ও পালিত হইয়াছিলেন । বাল্যাকালেই সংস্কৃতশিক্ষায় স্থতার রামেশ্বর সিংহ বাহাদুরের অসাধারণ অনুরাগ লক্ষিত হয়। সেই জন্য তিনি সংস্কৃতিবিদ্যায় বিলক্ষণ বুৎপত্তি লাভ করিয়াছেন। কিন্তু তাই বলিষ্মা পাশ্চাত্যবিদ্যায় মহারাজের জ্ঞান ও পাণ্ডিতা সামান্য নহে । কোট অব ওয়ার্ডসের তত্ত্বাবধানে মিঃ চেষ্টার ম্যাকিনটেন প্রমূখ শিক্ষকগণের উপদেশে মহারাজ রামেশ্বর সিংহ বাহাদুর যে কেবল ইংরেজী ভাষায় অসাধারণ বুৎপত্তি লাভ করিয়াছেন, তাহা নহে, পরন্তু পাশ্চাত্য দর্শনবিজ্ঞানেও তিনি অসাধারণ পাণ্ডিত্য লাভ করিয়াছেন । এই চেষ্টার ম্যাকিনটেন উত্তরকালে রাজকুমার কলেজের অধ্যক্ষপদ অলঙ্কত করিয়াছিলেন। বাল্যজীবনেই মহারাজ স্থতার রামেশ্বর সিংহ বাহাদুরের অসাধারণ মনীষা প্রকাশ পাইয়াছিল। যাপন ঠাঙ্গার বয়ঃক্রম দ্বাদশবর্ষ মাত্র, তখনই তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বিশেষ দক্ষ তার সঠিত উত্তীর্ণ চটিয়াছিলেন । কিন্তু তখন নিয়ম ছিল যে, ষোড়শবর্ষ বয়ঃ ক্রম না হইলে কোন বালকই উক্ত পরীক্ষায় উপস্থিত চাইতে পারি। বেন না । সেই নিয়মে বাধ্য চট্টগ্নাই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যা - লয়ের কর্তৃপক্ষ মহারাজ রানেশ্বর সিংহকে পরীক্ষায় উক্টীর্ণ হইবার সনন্দ বা সাটিফিকেট প্রদান করেন নাই । বালাকালেই মহারাজ বাহাদুরের নিয়মনিষ্ঠা, কার্সা কুশলতা, উদ্যম । শীলতা, ঐকাস্তিকভাবে সকল কার্সো আত্মনিয়োগ করিবার সামর্থ্য ও উৎসাহ প্রকটিােত হাঁহিয়াছিল । মনস্বিতার সচিত। পৈর্দা ও তিতিক্ষণ তাহার চরিত্রে যে বৈশিষ্ট্য প্রদান করিয়াছিল, তাত সাধারণের প্রশংসা অর্জন করিদ্র ছিল । তাঙ্গুরুদ গাঁী ব্যক্তিগণ বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, রামেশ্বর সিংহ বাহাদুর উত্তর কালে একজন অসাধারণ মনীষী হইবেন । মহারাজ হ্যার লক্ষ্মীশ্বর সিংহ বাচাগার পিতৃসিংহাসনে আরোহণ করিলে রামেশ্বর সিংহ দ্বার:বঙ্গ জেলার অন্তঃপাতী বাবুয়ানা পরগণা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। তিনি স্বয় আপনার ষ্টেটের তত্ত্বাবধান ও পরিদর্শন করিতে ভালবাসিতেন। রাজকর্ম্মচারীরা বেশ ভালভাবে কাজ করেন দেখিয়া ঠাচার মনে রাজপুরুশদিগের কার্যপদ্ধতি শিক্ষা করিবার পৃষ্ঠা অত্যন্ত প্রবল হইয়া উঠে। সেই জন্য তিনি ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দে বেঙ্গল ষ্ট্যাটউটারী সিভিল সাভিসে যোগ দিয়াছিলেন এবং প্রথমে য়াসিষ্টাণ্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের কাজ করিয়া পরে জয়েণ্ট ম্যাজিষ্টেটের কাজ করেন। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে তিনি যাপন বুঝিলেন - অনাথবন্ধু। سرb আজ সেই মহারাজ স্যার রামেশ্বর সিংহ বাহাদুরের জীবনকথা [ প্রথম বর্ষ, আষাঢ়, ১৩২৩ ৷৷ যে, ঐ কার্য্যে ঠাঙ্গার বিলক্ষণ দক্ষতা জন্মিয়াছে, তখন তিনি। ঐ কর্ম্ম পরিত্যাগ করেন। তাহার এই রাজকার্য্যশিক্ষার ; ফল সুদূরগামী হইয়াছিল ; এখন দ্বারবঙ্গরাজ্যের প্রজাবৰ্গ তাহার সেই শিক্ষার সুবিধা ভোগ করিয়া আপনাদিগকে ধন্য মনে করিতেছে । স্যার রামেশ্বর সিংহ বাহাদুরের কার্য্যে সরকার অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়া তাঙ্গাকে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্যপদ প্রদান করেন । ইহার পর হইতেই সরকার তাহাকে নানারূপে সন্মানিত করিতে থাকেন। ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে সরকার তাহাকে রাজাবাহাতের উপাধি প্রদান করেন । ইহা ভিন্ন তাহাকে কথন ও কোন দে ওয়ানী আদালতে হাজির চাইতে হইবে না। বলিক্সা সরকার তাঙ্গাকে সন্মানিত করিয়াছেন এবং এই সময় তাঙ্গাকে পচিশ জন সশস্ত্র প্রচলী সঙ্গে লইবার ক্ষমতা िश्राgछन् । ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দে ইহার অগ্রজ মহারাজ শুষ্ঠার লক্ষ্মীশ্বর সিংহ বাহাদুর লোক সুরে গমন করিলে মহারাজ রামেশ্বর সিংহ বাহাদুর দ্বারবঙ্গে দ গাদী প্রাপ্ত হন । ঠাঙ্গার অসাধারণ প্রজ্ঞা ও মনীষা সাধারণের অজ্ঞাত বা অপরিচিত ছিল না। সকলেই ঠাঙ্গার প্রতিভাব পরিচয় পাইয়া তাঙ্গার গুণে মুগ্ধ হইয়াছিল। তাই বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের বেসরকারী সদস্যগণ মহারাজ রামেশ্বরকে পাঁচবার ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভায় আপনাদের প্রতিনিধি নির্ব্বাচিত করিয়া পাঠাইয়াছিলেন। মহারাজ বাঙ্গাত্র ও স্বদেশের ও স্বজাতির কল্যাণকল্পে আপনার অসাধারণী মানস্বিতা প্রসন্স করিতে কখনও পশ্চাৎDD JD BDSS DBBD D DBBEJDB DBDD 0 BBY0D DD BBBBDS রণের যোগ্য প্রতিনিধি, প্রতি কাগোই তিনি তাঙ্গার পূর্ণ পরিচয় দিয়াছেন। তিনি সে একজন সোগা জননায়ক, তাচা ঠাচার শত্রু মিত্র সকলেই মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করিয়া থাকেন । তিনি সকল বিষয়েই নিভীক ভাবে আপনার মনে - ভাল ব্যক্তি করিয়া থাকেন । পুলিস কমিশনের সদস্যরূপে তিনি সেরূপ স্বাধীন ও সংসাত ভাবে আপনার স্বতন্ত্র মত লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন, বিচার ও শাসনবিভাগের পার্থক্যসাধনের জন্য তিনি যেভাবে মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাতে তাঙ্গার প্রতিভা প্রদীপ্ত বুদ্ধির বিলক্ষণ পরিচয় পাওয়া যায়। চিতা ভিন্ন অনেক স*ঙ্গার কার্য্যে ইনি বঙ্গের উন্নতিশীল শিক্ষিত সম্প্রদায়ের প্রক্লােত নেতার কার্য্য করিয়াছেন । দেশের লোক ও যেমন মহারাজ বাহাদুরের প্রতিভার পরিচয় পাঠয়া ঠাঙ্গাকেই তাতাদের নেতা বলিয়া স্বীকার করিয়া সন্মানিত করিতেছেন, সরকার বাঙ্গাতুর ও তেমনই মঙ্গরাজের মনস্বি তার পরিচয় পাইয়া তাহাকে বিশেষভাবে সন্মানিতুত করিয়াছেন । ১৯০০ খৃষ্টাব্দে ভারত-সরকার মঙ্গারাজ হস্তার রামেশ্বর সিংহ বাহাদুরকে কাইজারী হিন্দৰ সুবর্ণপদক প্রদান করেন। ১৯০২ খৃষ্টাব্দে সম্রাট তাহাকে Knight Commander of the Most Emminent Order of