পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীশ্রীদুৰ্গ। { ব্রহ্মচারী শ্রীযুত দুর্গাদাস কর্তৃক লিখিত। } “সর্বমঙ্গলমাঙ্গল্যে শিবে সর্ব্বার্থসাধিকে । শরণ্যে ত্রিম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্ততে ॥ শরণাগতদীনার্ভ পরিত্রাণপারায়ণে । সর্বস্যাত্তিহরে দেবি নারায়ণি নমোহ স্থাতে ৷” প্রথমেই মাতৃ-বন্দনায় সর্বমঙ্গলা মঙ্গলকারিণী শিবে অর্থাৎ মঙ্গলদায়িনী সর্ব্বার্থ ( ধর্ম্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ ) সাধিক সাধনকারিণী গৌরী নারায়ণীর স্মরণ লইয়া তাহাকে নমস্কার করিতেছি। শরণাগত দীন ও আর্ত্তজনের পরিত্রাণকারিণী সর্ব্বাপদনাশিনী নারায়ণীকে নমস্কার করিতেছি। রাজ্যভ্রষ্ট সুরথ জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভগবান! কা। তি সা দেবী ?” ভগবান! কে সেই দেবী, যাহাকে আপনি মহামায়া বলিতেছেন ? তাহার রূপ কি এবং কর্ম্ম कि ? डिनि कि 2ीकांद्रश् दा डेछुवां श्लन, शैशद्ध আরাধনা করিলে আমার ও এই মিত্রের সর্বদুঃখ দূর হইবে ? সাধক প্রথমেই এই প্রশ্ন উত্থাপিত করেন । কাহার আশ্রয় গ্রহণ করিলে এবং কে তিনি, যিনি সকল দুঃখ দূর করিয়া জীবকে অভয়দান করিয়া থাকেন ? কবে।-কোন পুণ্যদিনে রাজর্ষি সুরথ রাজ্য ভ্রষ্ট ও শ্রী ভ্রষ্ট হইয়া দুঃখবিমোচনের জন্য বনে ঋষির আশ্রমে ঋষির চরণতলে বসিয়া এই প্রশ্ন করিয়াছিলেন এবং সেই প্রশ্নের ফলে আজ আমরা “বরাভয়াকরা, ভক্তমনোহরা”। জগজ্জননী আদ্যাশক্তির অনুপম ইতিবৃত্ত পাইয়াছি। মার্কণ্ডেয় চণ্ডীর শেষে আছে যে, দেবীর এই জন্মবিবরণ যিনি অধ্যয়ন বা স্মরণ করেন, ভগবতী দুৰ্গা তাহার সকল আপদ দূর করিয়া থাকেন। ভক্ত-রসনায় ভক্তগভীষ্টদায়িনী ত্রিভুবনত্রাণকারিণী জননী জীবের দুৰ্গতিহরণ করিবার জন্য “দুর্গা’ নাম দিয়াছেন। যে নাম স্মরণমাত্র জীবের ভবদুঃখ দূর হইয়া যায়! আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে আমরা এমনই করিয়া KKuBuSBDB DBDD DBtBBD DBDDB Kg B DBDDS শক্তি লাভ করিবার জন্য মায়ের পূজা করিয়া থাকি। SKBuDuDL DDD BDOu DDSKDBD DBBB সংসারের কর্ম্মসাগরে প্রবেশ করি, তখন আমরা “দুৰ্গা” এই चाकलनश्यूख সর্ব্বভয়হারী Fil 3 করিয়া। তবে শয্যাত্যাগ করি। কিরূপ ? না।-- [ه ه} প্রভাতে যঃ স্মরেন্নিত্যং দুর্গা দুৰ্গাক্ষরদ্ধয়ম। BDDDYY 0u DD DBD BK S সূর্য্য উদয় হইলে প্রকৃতির সমস্ত অন্ধকাররাশি যেমন বিদূরিত হয়, তেমনি প্রভাতে যে নিত্য “দুৰ্গা” এই দ্বি-অক্ষরযুক্ত নাম স্মরণ করেন, তাহারও সমস্ত আপদ নষ্ট হয় । এইক্ষণে আমাদিগকে দেখিতে হইবে, যাহার নামের বলে সর্ব্বাদুরিত রাশি দূর হইয়া জীবের সমস্ত দুঃখ বিপদ দূর হয়, সেই দুর্গাদেবী কে ? যাহাকে উপাসনা করিলে আর কাহারও উপাসনার প্রয়োজন হয় না, র্যাহার আশ্রয় গ্রহণ করিলে সর্ব্ব আশ্রয় পাওয়া যায়, যিনি জীবের গতি ও মুক্তিদায়িনী, সেই জননী ভগবতী গৌরী কে ? বিজ্ঞান যাহাকে মহাপ্রকৃতি বলে, ইনিই সেই মহাপ্রকৃতি-সর্ববিদ্যাস্বরূপিণী মহাকালী। প্রথম যখন বিষ্ণুর নাভিকমলস্থিত সৃষ্টির প্রকাশ-কামোছুক ব্রহ্মাকে নষ্ট করিাবার জন্য বিষ্ণুর কর্ণমল হইতে মধুকৈটভ দৈত্যের উদ্ভব হয়, তখন প্রথমে ব্রহ্মা যোগনিদ্রামগ্ন বিষ্ণুর জাগরণের জন্য সঙ্কল্প করিলেন। বিষ্ণুর আবার জাগরণ কি ? যিনি চিরজাগ্রত, র্তাহাকে আবার জাগাইতে হইবে, ইহা কী দৃশী কণা ? বিষ্ণু সর্বদা যোগমায়ায় আচ্ছন্ন থাকেন। এই যোগমায়াই তাহার সৃষ্টিকারিণী মহাশক্তি। ব্রহ্মা তখন ঐ যোগমায়ার স্তব আরম্ভ করিলেন ; তিনি বলিলেন, “তুমি স্বাহা, স্বধা, তুমি হী, লজ্জা, তুষ্টি, পুষ্টি, তুমিই জগৎকারণ, তুমিই ঈশ্বরী” ইত্যাদি। ব্রহ্মার স্তবে তুষ্ট হইয়া যোগমায়া হরিকে পরিত্যাগ করেন এবং বিষ্ণু জাগ্রত হইয়া দৈত্যনাশ করেন। আমরা দেবীর প্রথমজন্ম এই ভাবে পাইয়াছি। দ্বিতীয়জন্মে। তিনি দুষ্ট দৈত্য স্বৰ্গাপহারী মহিষাসুরকে নাশ করিাবার জন্য দেহধারণ করেন। তিনিই একমাত্র ত্রিলোকের আধারভুত, সেই মহাপ্রকৃতি আবার কিরূপ দেহ ধারণ করেন ? না।--তিনিই আপনার স্বরূপকে আপনি বহির্জগতের অর্থাৎ সৃষ্টির রক্ষার জন্য মাতৃরূপে আগমন করেন। পুনশ্চ শুম্ভ ও নিশুম্ভ দৈত্যকে বধ করিবার জন্য দেবী তৃতীয়বার অবয়ব ধারণ করিয়া হিমালয়ে প্রাদুভূত হন।