পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 g-2 r তবে বিলাতের সুতার ও রেশমের কাপড়ের ব্যবসার সর্বনাশ সংসাধিত হইতে বিলম্ব হইত না । এ দেশে বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিয়া প্রজা পালন, ব্যবসায়ী ইংরাজের কল্পনার সমুদিত হইবার পূর্বে ব্যবসা করিয়া ধনাৰ্জনই যখন এ দেশে ইংরাজের উদ্দেশ্য ছিল, তখন-ভারতবর্ষ বৃটিশ সাম্রাজ্যের অঙ্গীভূত হইবার পূর্বেইংলণ্ড ব্যবসাসম্বন্ধে যে নীতির অনুসরণ করিতেন, তাহ। অবশ্যই ভারতের শিল্পোন্নতির পক্ষে অনুকুল ছিল না। কোন সরকার একটা নীতি ও পদ্ধতি অবলম্বন করিলে তাচার পরিবর্তন করা সহজ হয় না । কারণ সেই নীতিপদ্ধতি অন্যান্য বিভাগে ও সরকারের নীতিপদ্ধতিতে প্রভাব সঞ্চারিত করিয়া সকল বিভাগেই কিছু না কিছু পরিবর্তন করে । প্রমাণস্বরূপ এ দেশের রেলপথের উল্লেখ করা যাইতে পারে। এ দেশে রেলপথে যে মূলধন বায়িত হয়, তাহাতে লাভের পরিমাণ অতি সামান্য ; কিন্তু সেচের খালে শতকরা ৮ বা ৯ টাকা লাভ হয় । তথাপি রেলপথবিস্তারে সরকারের যেরূপ উৎসাহ লক্ষিত হয়, সেচের খালখননে সেরূপ উৎসাহ দেখা যায় না। আবার অন্যান্য দেশে রেলপথ অন্তৰ্বাণিজ্যের জন্য প্রতিষ্ঠিত হইলেও ভারতে বহির্বাণিজ্যের সুবিধাই তাহার লক্ষ্য। এ সব পুরাতন নীতির ফল । সরকার এ সকলই বুঝেন। দেশে শিল্পের উন্নতি ও প্রতিষ্ঠা না হইলে-দেশের লোক কৃষিপ্রাণ থাকিলেপুরাতন নীতিপদ্ধতির পরিবর্তন না হইলে যে দেশের দারিদ্রাসসম্ভার সমাধান হইবে না, সরকার তাহা বুঝেন। সেই জন্যই সরকার এ দেশের শিল্পের অবস্থা বিবেচনা করিয়া নীতিপদ্ধতি সংস্কারের চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন-সেই জন্যই বিলাতের ব্যবসায়ীদিগের স্বার্থহানি না করিয়া এ দেশে “স্বদেশী” শিল্পের যত দূর সাহায্য করা সম্ভব, সরকার তাহা করিয়া থাকেন। সরকারী দপ্তরে সরকারের অনুসন্ধানফলে নে সব বিবরণ সংগৃহীত হইয়াছে, সে সকল হইতে ব্যবসায়ীদিগের বিশেষ উপকার হইতে পারে। , বাঙ্গালার কথাই ধরা যাউক । ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে সরকার মিষ্টার কলিনকে বাঙ্গালার শিল্পের অবস্থা দেখিতে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। তাহার পর বাঙ্গালার নামা শিল্পসম্বন্ধে অনুসন্ধান করিয়া যে সব সচিত্র বিবরণ প্রকাশিত হইয়াছিল, সে সকল বিশেষ পরিশ্রমের ফল। প্রষ্ঠ শিল্প হইতে আরম্ভ করিয়া লৌহশিল্প পর্যন্ত নানা শিল্পসম্বন্ধে এইরূপ বিবরণ প্রকাশিত হইয়াছিল। বাঙ্গালার কণিবিভাগ পরীক্ষাক্ষেত্র স্থাপিত করিয়া--সরকারী গোলা হইতে ভাল বীজ দিয়া-নানা বিষয়ে উপদেশ দিয়া কৃষককে সাঙ্গাঘা করিতে সচেষ্ট । আবার বাঙ্গালার মৎস্যের চাষসপ্তািন্ধ অনুসন্ধান জন্য সরকার স্যার কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্তকে ভারতে শিল্প-ব্যবসা । LLLLLLSS S SLSS SLSSLSSSLS LSSLS SLS S SLSLSLeLqSLLL MLMLL LL S LLAAAAALAAS SSAL LAL LAL SLLLaLLLLSLLLSMLeLSLAeeLSMLMAeLMLSLLLeLLLLLLLL LSLq SLLLeSL S HLMqLqS resura "NW NARRALAWIN. R r ara SO নিযুক্ত করিবার পর এই কায্যের জন্য একটি স্বতন্ত্র বিভাগের সৃষ্ট করিয়াছিলেন। তাঙ্গার পর পূর্ববঙ্গ স্বতন্ত্র প্রদেশে পরিণত হইলে মিষ্টার কামিং পশ্চিমবঙ্গের ও মিষ্টাব জ্ঞানেন্দ্রনাথ গুপ্ত পূর্ববঙ্গের শিল্পসম্বন্ধে সন্ধান করিয়া দুইখানি স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র বিবরণ প্রকাশিত করিয়াছিলেন। যাচাতে সেগুলির অধিক প্রচার হয়, সেই জন্য সে সব পুস্তিকা যথাসম্ভব সুলভ মূল্যে বিক্রীতও হইয়াছিল। তাহার পর দশ বৎসর পূর্ণ না হইতেই মিষ্টার সোয়ান আবার বাঙ্গালার শিল্পের অবস্থার আলোচনা করিয়া বিবরণ প্রকাশিত করিয়াছেন । জার্ম্মাণব্যুদ্ধে এ দেশে বিদেশী মালের আমদানী কমায় দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠার শুভযোগ উপস্থিত বুঝিয়া, সরকার প্রথমে এক যাযাবর প্রদর্শনীর প্রতিষ্ঠা করিয়া, বড় বড় সহরে এ দেশের পণ্য দেখাইয়া, সে সকলের বিজ্ঞাপনদানের কাব্য করিয়াছিলেন। তাহার ফল দেখিয়া কলিকাতায় একটি স্থায়ী প্রদৰ্শনী স্থাপিত হইয়াছে। উৎপাদকের পণ্য যাহাতে ক্রেতার পক্ষে সহজলভ্য হয়, তাহাই এই প্রদৰ্শনীর উদ্দেশ্য। এই প্রদৰ্শনীর প্রতিষ্ঠাকালে লর্ড কার্ম্মাইকেল ইহার উদ্দেশ্য বিশদভাবে বিবৃত করিয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছিলেন, এ দেশে এমন অনেক জিনিষ প্রস্তুত হয়, যে সকলের সংবাদ পাইলেই লোক বিদেশী জিনিষ। ফেলিয়া দেশী জিনিষ কিনিবে। ইহার পর সরকার ভারতের শিল্পব্যবসার বিশেষ অন্তসন্ধান জন্য একটি কমিশন বসাইয়াছেন। কিছুদিন পূর্ব্বে আয়ারুলণ্ডের শিল্পের দুৰ্দশাহেতু যেমন কমিশন বসান হইয়াছিল, এবার ভারতে শিল্পের দুর্দশাদমানকল্পে তেমনই কমিশন দ্বারা তদন্তের ব্যবস্থা হইয়াছে। ইংলণ্ড অবাধ-বাণিজ্যের ভক্ত বলিয়া এত দিন ভারতে ভারতের উপযোগী সংরক্ষণনীতির প্রবর্তন করা সম্ভব হয় নাই। কিন্তু এবার যুদ্ধে দেখা গিয়াছে, যে ইংলণ্ড খাদ্যদ্রব্যের জন্য পরমুখাপেক্ষিতাহেতু অবাধবাণিজ্যের স্রোতে খাদ্যদ্রব্যের আমদানী করিয়া সে সকলের মূল্য কম রাখিয়াছে, অবাধবাণিজ্যে সে ইংলণ্ডের ও বিপদ ঘটিতে পারে। তাই যুদ্ধের পর ইংল্যােণ্ডর বাণিজ্যনীতিতেও পরিবার্ত্তন অনিবার্য্য হইয়াছে। এই সময় ভারতে শিল্পের অবস্থার আলোচনাজন্য এই কমিশন নিয়োগ ভারতবাসী আশায় উৎফুল্প হইয়াছে। ভারতে উপকরণেব DBDBD DDSDDBBDD DBBuKKS DDB BBB BDDBS কারখানার পণ্যোর উপকরণ যোগাইয়া আসিতেছে। ভাৰত্যুে শ্রবিজীবীর পারিশ্রমিকের হারও অপেক্ষাকৃত অল্প। ভারতে পণ্যবিক্রয়ের বাজারও আছে । আবার ভারতবাসী fণীৱ শিল্পনৈপুণ্য তাঙ্গার স্বভাবে পরিণত হইয়াছে। এ অব প্রায় যে সরকারের সামান্য চেষ্টাতেই-সংরক্ষণনীতি অবলুঙ্গিত হইলেই-এ দেশের কৃষি প্রাণত ঘুচিয়! যাইতে পাধে । රබර්‍ lo<<KNSNSlkS SSSN్న *त्रेष्ठ शेन्वञ् विश्र् さ翌ぶ。リぶ