পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধর্ম্ম। [ জনৈক অভিজ্ঞ বৌদ্ধাচার্য্য কর্তৃক লিখিত। ] প্রায় সাত কিম্বা। আট শতাব্দী পূর্বে বঙ্গবিজেতা বক্রিয়ার খিলিজিকর্তৃক বাঙ্গালায় ও মগধের বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধস্তাপ ܐ সমূহ বিধ্বস্ত হয়। একাদশ শতাব্দীতে তিববত দেশে বৌদ্ধ- “ ধর্ম্মের সংস্কারকল্পে ‘তবব”তর রাজার আমন্ত্রণে বিক্রমশিলার বিহার প্রহস্তে স্থ*<ল শ্রীজ্ঞান অতীশ তিববী”ত গমন করেন । অযোধ্যার শ্রাবাস্ততে এবং বেহারের বুদ্ধগয়ায় আবিষ্কৃত তামলিপি ও শিলালিপি প্রভৃতি হইতে জানা যায় যে, খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতেও বঙ্গীয় বৌদ্ধনৃপতিগণ বিহারনির্ম্মাণের শেষ চেষ্টা করিয়াছিলেন। তৎপরে এই দেশ মুসলমানদিগের হস্তগত হইলে আর বৌদ্ধমন্দিরগঠনের সম্ভাবনা ছিল না। আক্রমণকারী মুসলমানগণ বৌদ্ধদিগের সমস্ত তীর্থগুলি বিধবস্ত কারিয়া দিয়াছিল। কনৌজ, শ্রাবস্তি, পাটলিপুল, বারাণসী, কোশন্বি, মিথিলা, রাজগৃহ প্রভৃতি কোথায় তাহারা বৌদ্ধমন্দির গঠিত করিবে ? আক্রমণকারী মুসলমানগণকর্তৃক তিন সহস্ৰ বৎসরের সঞ্চিত ধনরত্ন লুষ্ঠিত হইয়া ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তপারে নীত হইয়াছিল। বিজেতুগণের মশালের প্রজ্জলিত অগ্নিশিখায় নালন্দা, মিথিলা, বারাণসী, বুদ্ধগয়া প্রভৃতি বৌদ্ধ তীর্থের বিহার ও পুস্তকাগার ভক্ষ্মীভূত হইয়াছিল। দয়া ও ক্ষমামূলক ধর্ম্ম উৎসাদিত হইল, ধ্বংসমূলক ধর্ম্মই ভারতে প্রবেশ করিল। প্রাচীন ' ভারতের লুপ্তপ্রায় ইতিহাস আলোচনা করিলে দেখা যায়,-দয়া ও জ্ঞানমূলক প্রাচীন আর্য্য-সভ্যতা লোকের অজ্ঞানান্ধকার দূরীভূত করিয়া তিরোহিত হইয়া গিয়াছে, কিন্তু প্রাচীন আর্য্য বৌদ্ধগণের অনুসন্ধানের ও গবেষণার ফল ভারতের বাহিরে অন্য দেশে এখনও লক্ষিত হইয়া থাকে। সমস্ত এসিয়াখণ্ড ভগবান বুদ্ধদেবের দয়াপূর্ণ বিধানবনস্পতির শান্তচ্ছায়ায় অবস্থিতি করিয়াছিল। বৌদ্ধপ্রচারকগণ পশ্চিমে সিরিয়া পর্যন্ত সদ্ধর্ম্ম প্রচারিত করিয়াছিল, পূর্ব-এসিয়ায় জাপান, কোরিয়া, চীন, মাথুরিয়া, শ্যাম, ব্রহ্ম প্রভৃতি দেশে বৌদ্ধধর্ম্মপ্রচারকদিগের কীর্ত্তিকেতন আজিও উড়ন্তীন রহিয়াছে। খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দী পর্য্যন্ত যবদ্বীপ বৌদ্ধধর্ম্মের কেন্দ্রস্বরূপ ছিল । আফগানিস্থানে, ' কাশ্মীরে, সোয়াটে, পার্থিয়ায় ও মধ্য-এশিয়ায় বৌদ্ধধর্ম্মই সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল, শেষে সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীতে আরব আক্রমণকারীরা ঐ সকল দেশ হইতে বৌদ্ধধর্ম্ম নির্বাসিত করিয়া দেয় । হিন্দুকুশ পর্ব্বতের পশ্চিমস্থিত দেশসমূহ হইতে বৌদ্ধধর্ম্ম উচ্ছিন্ন হওয়াতে পৃথিবীর কি বিষম ক্ষতিই হইয়াছে ! সুন্দর প্রতীচ্য এসিয়ায় বৌদ্ধযুগে সংস্কৃত ও পালি ভাষাই

  • टैिंड श्ड। qथनख बक्रएनएo, थiभcito, कicशांख्य़िांग्र, চীনে, তিব্বতে, জাপানে এবং কোরিয়ায় বৌদ্ধধর্ম্ম সজীব রহিয়াছে। দ্বাদশ শতাব্দীতে ভারত হইতে যদি বৌদ্ধধর্ম্ম উৎসাদিত না হইত, * তাহা হইলে আমরা এখনও সুদূর প্রাচীর সহিত প্রেমালিঙ্গনে বদ্ধ একটি জনসমাজ দেখিতে পাইতাম ।

সপ্তম শতাব্দীতে সমস্ত এসিয়াখণ্ডেই বৌদ্ধধর্ম্ম প্রবর্ত্তিত ছিল । প্রায় দেড় হাজার বৎসর ধরিয়া ভারতের অধিকাংশ লোকই ভগবান বুদ্ধদেবের প্রচারিত সদ্ধর্ম্মেরই অনুবন্ত্রী ছিল । তাহার ধর্ম্মশিক্ষা কেবল আভিজাত্যদিগের জন্য পরিকল্পিত নহে। বৌদ্ধসজেন্য অতি নিম্নস্তরের চণ্ডালেরও স্থান আছে। বৌদ্ধসঙ্ঘ মহাবারিধির ন্যায়। উদার এবং যে কোন সুস্থাকায় ব্যক্তি,-যদি সে কাণ-বধির বা মুক না। হয়, উহাতে অবাধে প্রবেশলাভ করিতে পারিত। বর্ত্তমানকালের ভারতবাসীরা বৌদ্ধধর্ম্ম কি, তাহা বুঝে না ; পাশ্চাত্যখণ্ডের লোকেরা বৌদ্ধধর্ম্ম কি, তাহা জানেন না। যাহারা বৌদ্ধধর্ম্মের শত্রু এবং ধর্ম্মসম্বন্ধে যাহাদের দৃষ্টি স্বার্থপরতাজনিত পক্ষপাতিদোষে দুষ্ট, তাহারাই এই ধর্ম্মমতকে বিকৃত করিয়াছেন এবং সেই বিকৃত চিত্র লোকলোচনের সম্মুখে ধরিয়া উহা দুঃখবাদপূর্ণ নাস্তিক্যধর্ম্ম বলিয়া নির্দেশ করিতেছেন । , বৈজ্ঞানিক দিগের মধ্যে যেমন র্যাহারা বৈদ্যুতিক ব্যাপারসম্বন্ধে অনুসন্ধান করেন, তাহারা যেমন তৈল প্রদীপ লাইখু, মাথা ঘামান না অথবা র্যাহারা ‘মোটরকারী”-সম্বন্ধীয় ব্যাপার লইয়া ব্যস্ত থাকেন, তাহারা যেমন গোরুর গাড়ির কথা চিন্তাই করেন না, সেইরূপ ভগবান বুদ্ধদেব তদানীন্তন যুগের জড়বাদমূলক শিক্ষাসম্বন্ধে কোন কথাই বলেন নাই। বুদ্ধদেব নিজের জ্ঞানধর্ম্মের আলোচনায় নাস্তিকা মত, লোকায়ত মত,যজ্ঞকাণ্ড, কৃড়ি, সাধ্য যোগ প্রভৃতি মিথা বলিয়া তাহার সম্বন্ধে কোন কথাই বলেন নাই। অনুত্তরসম্বোধিমতে ধর্ম্মই সম্মানের বস্তু,-ভগবান বুদ্ধদেব ইহাই লোককে শিক্ষা দিয়াছিলেন। বুদ্ধদিগের দর্শনে আরম্ভবাদ বা পরিণামবাদের স্থান নাই। বৌদ্ধত্বপ্রাপ্তির পূর্ব্বে শাক a

  • যে সময় ভারতে প্রথমে মুসলমানাধিকার প্রবর্ত্তিত হয়, সে সময় বৌদ্ধধর্ম্ম ভারতে বিশেষ প্রবল ছিল বলিয়া মনে হয় না । uDuuDBD BDBBDBDDD DBBD DBD iDiiB BBDBD BDBDE DBDB Du DDDDD DB DBBD BBDS BDDB BYS

SDBDBSDD DDBD DBDBK KLD DBDBBD DDBBS DBD DJDS

সম্পাদক هي حركة