পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম খণ্ড-তৃতীয় সংখ্যা । ] সিংহ সুর্য্যবংশে ইক্ষাকুকুলের এক জন রাজপুত্র ছিলেন। তিনি শাক্যবংশের নৃপতিপুত্র ছিলেন এবং সত্য আবিষ্কারের পর ধরাবাসীদিগের সুখপ্রদানের জন্য তিনটি রাজপ্রাসাদ, একমাত্র পুত্র ও সুন্দরী ভার্য্যা যশোধারাকে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন। ছয় বৎসর ধরিয়া তিনি নিবিড় অরণ্যে গভীর তপশ্চরণ করিয়াছিলেন, শরীরকে নানারূপ কষ্ট দিয়াছিলেন, একেবারে অনাহারে ছিলেন, নিদাঘে প্রচণ্ড ভানুতাপে ও প্রখর শীতে তপস্যা করিয়া, কৃচ্ছসাধ্য হঠযোগ ও প্রাণায়াম করিয়া কষ্ট কি, তাহা বুঝিয়াছিলেন। তিনি সুখ কি, তাহাও উপলব্ধি করিয়াছিলেন। তঁহার পিতা রাজা শুদ্ধোদন তাহাকে যেমন সুখে রাখিয়াছিলেন, কোন লোক তেমন সুখের আস্বাদ পায় না । বুদ্ধদেব ছয় বৎসর বনবাসকালে সর্বপ্রকার যোগসাধন করিয়াছিলেন এবং উচ্চতম মুক্তিলাভ করিয়াছিলেন। “আমি কি”-এই আধাত্মিক তত্ত্ব আবিষ্কার করিবার জন্য তিনি সর্বপ্রকার দার্শনিক তত্ত্ব পাঠ করিয়াছিলেন এবং এই সত্যে উপনীত হইয়াছিলেন যে, ইন্দ্রিয়জ সুখভোগ যেমন মিথ্যা, শরীরকে কষ্ট দেওয়াও তেমনই নিস্ফল। ইন্দ্রিয়তৃপ্তির ও কৃচ্ছসাধ্য তপশ্চরণের মধ্যপন্থা অবলম্বনই তিনি কর্ত্তব্য বলিয়া নিদিষ্ট করিয়া গিয়াছেন। কারণ, ইন্দ্রিয়জ সুখভোগ ও তপশ্চরণ-উভয়েই অহঙ্কার ও মামকার বৃদ্ধি করে। কোন কোন ধর্ম্মমতে ঈশ্বর অতীত যুগে এক সময়ে মানবের আত্মাকে স্বাক্ট করিয়াছিলেন। মৃত্যুর পর দেহের নাশ হয়, আত্মা ঈশ্বরের নিকট যায়। সুতরাং মানুষের আদি আছে, ঈশ্বরের আদি নাই। যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে, ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্ট করিয়া তাহাকে এত কষ্টভোগ করিতে দিলেন কেন ? তাহার উত্তরে এইমাত্র বলা হয়,- ইতা ভঁাতার ইচ্ছা । এইখানে ঈশ্বরকে যথেচ্ছাচারী রাজার মতি— যে রাজা আপনার খুসীর জন্য প্রজাদিগকে বিনষ্ট করিবার আদেশ দেন, সেই রাজার মত-কল্পনা করা হইয়াছে। যে সকল লোক অত্যাচারী রাজার শাসনে অভ্যস্ত, তাহারা ঐ মত অবনতমস্তকে গ্রহণ করে। কোনও রূপ আইন ব্যতীত স্বেচ্ছাচারী শাসনতন্ত্র পরিচালিত করা ধায় না ; সুতরাং অল্প লোকের সুবিধামত আইন রচিত বৌদ্ধধর্ম্ম । a (tGSo LSLSLSLSSSSS SSAASS q SSA LSLSLSL LSLS AA LSLSLSLSTSLSLLS LLSLLLAAS S LS SLSq LS LLLLSLLSASASeSLSL ܚܩܒܣܦܩܚ kles ر* T" ps হইল। এই প্রকারে স্বেচ্ছাচারমূলক শাসনতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হইল এবং কয়েক পুরুষ ধরিয়া সেই শাসনপদ্ধতি চলিল । তৎপরে মানুষের মনে একটা পরিবর্তন ঘটিল। কষ্টের জন্য মানুষ চিন্তিত হইয়া পড়িল। তাহারা কি প্রকারে অত্যাচারের হস্ত হইতে নিস্তার পাইবে, তাহাই চিন্তা করিতে লাগিল। তখন নানাধর্ম্ম প্রবর্ত্তিত হইল, দেবগণের সৃষ্টি হইল, ধর্ম্মমত উদ্ভাবিত হইল, মনুষ্য ও দেবতার মধ্যস্থ করিবার জন্য ধর্ম্মযাজক নিযুক্ত হইল, যাগযজ্ঞ প্রভৃতি ক্রিয়াকাণ্ড প্রবর্কিত হইল । যজ্ঞে পশুবলি প্রদান আরব্ধ হইল। দেশে বিধি বলে ধর্ম্মের শাসন প্রবর্ত্তিত হইল । এই প্রকার শাসনব্যবস্থাকে স্বেচ্ছাচারমূলক একেশ্বরবাদ বলা যায় । কোন কোন দেশে এইরূপ ব্যবস্থাই প্রবর্ত্তিত হইল। আবার কোন কোন দেশে বহুদেবতাবাদমূলক স্বেচ্ছাচার। প্রবর্ত্তিত হইল । বুদ্ধদেব দুইটি ধর্ম্মমত প্রবর্ত্তিত করেন। একটি গৃহস্থের ও আর একটি ব্রহ্মচারীর পক্ষে । গৃহস্থের পক্ষে তিনি দয়ামূলক নীতিধর্ম্ম প্রবর্ত্তিত করিয়া যান। উহাকে মনুষ্যধর্ম্ম কহে । ব্রহ্মচারীদিগের পক্ষে তিনি যে ধর্ম্মের বিধান করিয়া গিয়াছেন, তাহা উত্তরী মনুষ্যধর্ম্ম নামে পরিজ্ঞাত। গৃহস্থের পক্ষে প্রতি দিন পাঁচটি বিধান ও ওপোসথ দিনে অর্থাৎ সপ্তাহে এক দিনে আটটি বিধান পালন করিতে হয়। ব্রহ্মচর্য্যের মৌলিক নীতি কি, তাহা উপলব্ধির জন্যই ঐ আটটি বিধান পরিকল্পিত। ব্রহ্মলোকে ব্রহ্মাই প্রধান ; তিনি মূর্ত্তিমান প্রেম, দয়া, আনন্দ ও ন্যায়স্বরূপ। সাধারণ বিধানগুলি ব্রহ্মচর্য্যপালনের পক্ষে পর্য্যাপ্ত নহে। সেই জন্য ভগবান বুদ্ধদেব নিয়ম কায়িয়াছেন যে, যে গৃহস্থ ব্রহ্মলোকে জন্মগ্রহণ করিবেন, তাহাকে আমরণ ব্রহ্মচর্য্য পালন করিতে হইবে । যে সকল গৃহস্থ সংসারে থাকিয়া ও কামিনী সংসর্গBDBDBS DDBB DDBD BBB BBDD DBDuuDJS SBDLDS ইহারা ব্রহ্মলোকে বসতি করে । যাহারা গৃহস্থ ব্রহ্মচারীর ন্যায় অষ্ট বিধান প্রতিপালন করেন না, কেবল পঞ্চ বিধান পালন করিয়া থাকেন, তঁাতারা মৃতদেহত্যাগের পর ছয় দেবালোকের মধ্যে যে কোন লোকে যাইতে পারেন । ব্রহ্মলোক, দেবালোক, মনুষ্যলোক, অসুরলোক, প্রে গালোক, তীরশ্চিনলোক ও নরক লষ্টয়ার্ট সংসারচক্র ।