পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పాతి আত্মজ্ঞানের বিরোধী। যতক্ষণ পর্য্যন্ত ভেদজ্ঞানদ্বারা আত্মা ধর্ম্মসাধনে প্রতিহত হইবে, ততক্ষণ পর্য্যন্ত কিছুতেই আত্মজ্ঞান লাভ করা যাইতে পারে না । মেঘাবৃত দিবায় আকাশের মেঘ কাটিয়া গেলে যেমন ঘোর নীলাকাশে সুর্য্য डेविड श्वा थझडिश भानांब्रभ ग्रूथ श्न, cडयनई भांनाबद्म চিত্তের মোহঘোর অর্থাৎ সংসার-মোহ কাটিয়া গেলে যখন মানুষ প্রকৃতই আপনার সন্তা বুঝিতে পারে, তখন সূর্য্যপ্রকাশে প্রকৃতির সৌন্দর্ঘ্যের ন্যায় নির্ম্মল ব্রহ্মজ্ঞানে চিত্ত সুন্দর হয়। ভেদরূপ ময়লা নিমেষমধ্যে অপসারিত হইয়া চিত্তকে সুনির্ম্মল করিয়া দেয়। এই অবস্থালাভই মানবের চরম আকাঙ্ক্ষা । জন্ম-মরণ-দুঃখনাশের জন্য জীব নিয়ত এই চেষ্টাই করে । তবে যাহারা অজ্ঞান, সংসার-চক্রে পড়িয়া ভোগবাসনাকেই জীবনের সারা মনে করে, তাহারা কখনও এই নির্ম্মল প্রকৃতি লাভ করিতে পারে না । সংসার দ্বন্দ্বময়। কেন সংসারকে দ্বন্দ্বময় বলা হইল ? না-এখানে মানুষ স্বীয় আকাঙ্ক্ষিত স্বার্থের জন্য পরস্পর দ্বন্দ্ব করিয়া ঠিক মানবজীবনের উদ্দেশ্য ভুলিয়া যায়। মদালসা স্বীয় সুকৃতিবশে এই সংসাররহস্য বুঝিতেন এবং আপনার সন্তানগণ যাহাতে এ মায়া ছিন্ন করিয়া ব্রহ্মপদে মিশিয়া বাইতে পারেন, তাহারই উদ্যোগ করিতেছিলেন । এ জগতে প্রকৃত হিতৈষী কে ? দুঃখনাশের হেতু যাহা, তাহা নাশ করিবার উপদেশ কিম্বা পন্থা যিনি দেখাইয়া দেন, তিনিই প্রকৃত হিতৈষী । পিতা ও মাতা হইতে পুত্রের হিতৈষী আর কে আছেন ? মাতার যাহা কর্ত্তব্য, মদালসা তাহাই পুত্র অলৰ্ককে শিক্ষা দিতেছেন। ঋতধবজের বাক্যানুসারে বুঝা যায়, আমাদের সংসার চাহি। পূর্ণমাত্রায় অর্থাৎ ষোড়শাঙ্গে কর্ম্মকাণ্ডকে নিখুঁত করিয়া সম্পন্ন করিয়া সংসারী হইতে তিনি বলেন। কারণ, কর্ম্মকাণ্ড আশ্রয় না করিলে সৃষ্টজীবগুলি মনুষ্যকে আশ্রয় করিবে কি করিয়া ? মদালসার হিসাবে মানুষ কি ? আপনার পুত্রকে বলিতেছেন ;- “রে বৎস! তুমি শুদ্ধ, তুমি নামহীন, অধুনা কল্পনামাত্র সাহায়েই তোমার নামকরণ হইয়াছে। তোমার এই দেহ পঞ্চভূতাত্মক জানিও, অতএব এই দেঙ্গ যেরূপ তোমার নহে, তুমিও সেইরূপ ইহার নািহ ; সুতরাং তুমি কি কারণে ক্রন্দন করিতেছি ? অথবা তুমি ক্রন্দন করিতেছি না, ঐ শব্দ এই রাজকুমারকে আশ্রয় করিয়া স্বয়ংই আবিভূতি তইতেছে। নানাপ্রকার - ভৌতিক গুণ ও অগুণসকল তদীয়’ইন্দ্রিয়সমূহে বিকল্পিত হইয়াছে। অতীব দুর্বল ভূতসমূহ যেমন, ভূতসাহায়ে অন্ন ও বারিদানাদি দ্বারা সংবদ্ধিত ভাইয়া থাকে, তোমার সে প্রকার বৃদ্ধি বা ক্ষয় কিছুই নাই । তোমার এই দেহ আচ্ছাদন মাত্র ; ইহাও শীর্ণ হইয়া যাইবে, সে জন্য তুমি মোহে অভিভূত হইও না। শুভাশুভ কর্ম্ম তিনি উল্লাপনছলে आबांथबकू । [ প্রথম বর্ষ, আশ্বিন, ১৩২৩ । বিশেই তোমার শরীরে এই আচ্ছাদন নিবন্ধ হইয়াছে জানিও । কি পিতা, কি পুত্র, কি মাতা, কি দায়িতা, কি आयौन, कि अनागौम, cकश् किकूछे नाश्। कूमि शेशनिशएक बदमानना कब्रि७ ना । cय नकण बाखि दिभूछ চিত্ত, তাহারাই দুঃখকে দুঃখোপশমের হেতু এবং ভোগসমূহকে সুখের কারণ বলিয়া বিবেচনা করে। যে সকল ব্যক্তি অবিদ্যান্ধ ও সেই হেতু মোহাচ্ছন্ন চিত্ত, তাহারা তত্তৎ দুঃথকেই সুখ বলিয়া জানে। রমণী হান্ত করিলে অস্থি দেখা গিয়া থাকে, তাহার সমুজ্জল নেত্রদ্বয়ও মূর্ত্তিমান তর্জনস্বরূপ ; তাহার পীনোন্নত স্তনাদিও ঘন মাংসপিণ্ডমাত্র ; সুতরাং রমণী কি সাক্ষাৎ নরকস্বরূপ নহে? ভূমিতে যান, যানে দেহ এবং সেই দেহে অন্য পুরুষ নিবিষ্ট রহিয়াছেন। স্ব স্ব দেহে যেরূপ “আমার” এই জ্ঞান আছে, সেই পুরুষে তাদৃশ নাই। আহো, কি মূর্থিতা ৷” ইহাই মদালসার পুত্রের প্রতি উল্লাপন। ছেলের প্রতি মায়ের উপদেশ । মদালসা নারীত্বে মহীয়সী হইয়া মাতৃত্বের যে দেবত্বটুকু এই উল্লাপনছলে দেখাইয়াছেন, তাহ অপূর্ব। এই দেহ পঞ্চভূতাত্মক। পঞ্চপদার্থে যেমন এই দেহের সৃষ্টি, তেমনই ঐ পঞ্চপদার্থেই দেহের নাশ । তবে মানুষ মমতা করে কিসের? এই দেহ পূর্বে ছিল না এবং পরেও থাকিবে না, কেবল মধ্যসময়ে ক্ষণিকের তরে প্রকাশিত হইয়াছে, কিন্তু যে প্রাণশক্তি ঐ দেহে আসিয়া আবদ্ধ হইয়াছে, উহা পূর্ব্বেও ছিল, পরেও থাকিৰে ৷ ঐ প্রাণশক্তিই আত্মা। উচ্চার ক্ষয় নাই। তাই মদালসা বলিতেছেন, তুমি শুদ্ধ, দেহাশ্রিত, তুমি পবিত্র। এই দেহ শীর্ণ হইলেও তুমি শীর্ণ হইবে না। তবে যে সকল মানুষ উহা বুঝিতে পারে না, মদালসা আক্ষেপ করিয়া বলিতেছেন, তাহারা কি মুর্থ ! R আত্মবোধ । মানুষের বা জীবের স্বরূপবোধই আত্মবোধ। যতক্ষণ পর্য্যন্ত জীব এই আত্মস্বরূপ বুঝিতে না পরিবে, ততক্ষণ দুঃখ অনিবার্য্য। অতএব আত্মবোধসাধনই জীবের প্রথম কর্ত্তব্য । যতক্ষণ ভোগবাসনা থাকিবে, ততক্ষণ আত্মজ্ঞান আসে না। প্রত্যেক ভোগ্য জিনিষের মিথ্যাত্বি নেতি নেতি করিয়া বিশ্লেষণ করিলে যখন উহার অসারত্ব প্রতিপাদন হইবে, তখনই ভোগবাসনা দূর হইয়া যাইবে। জীবনকে সুখময় করাই সকলের উদ্দেশ্য। সে কিসে সফল হইতে পারে ? দুঃখের নাশ যে পর্য্যন্ত না হইবে, সেই পর্য্যন্ত সুখের উৎপত্তি

  • অসম্ভব। দুঃখের হেতু কি ? দুঃখের হেতু অজ্ঞান। পদার্থ

তত্ত্বজ্ঞান না থাকিলেই পদার্থের জন্য দুঃখ উপস্থিত হয় । Nue-sa