পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে উটজ শিল্প । [ শ্রী হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ, বি. এ. লিখিত। ] যুরোপে ব্যবসাবাণিজ্য বিরাট আকার ধারণ করিয়াছে— BBBD KDD DBD DDDS BDDDBDBB BBBD DDD S মহাজন শ্রমজীবীকে লাভের যথাসম্ভব অল্প ভাগ দিয়া আপনি আর সব গ্রাস করিতে চাহেন ; শ্রমজীবী তাহার সঙ্গে পারিয়া উঠে না ; কারণ, সে নিরান্ন--সহায়সম্বলহীন । সময় সময় তাহার রোষ বহিস্কর মত জ্বলিয়া উঠে, কিন্তু ইন্ধনের অভাবে অচিরে নির্বাপিত হয় । সে রক্তদারক্তি করে---কিন্তু ক্ষুধার তাড়নায় আবার মতাজনের অধীনতা স্বীকার করিতে বাধ্য হয় । তাই আজকাল শ্রমজীবীরা সঙ্ঘ গঠিত করিতেছে। য়ুরোপের লোক এই সব বড় বড় ব্যাপারে অভ্যস্ত বলিয়াই মনে করে, কোন দেশেই আর DDD B BB DDSS SDDDSB0D DDDD DDD DDBBSMBDDDB বহু অন্তরায় বিদ্যমান-অথচ উটজ’শিল্প আর চলিবে না ; অতএব যুরোপের কলকারখানায় পণ্যের জন্য উপকরণ যোগানই ভারতের নিয়তি-এই যুক্তি যে একান্তই অসার, তাহাতে অবশ্য সন্দেহ নাই। এইরূপ অসার যুক্তি গ্রহণ করিয়াই গমের চায্যে ও ময়দার ব্যবসায় ইংলণ্ড আমেরিকার নিকট পরাভূত হইয়াছে—বিনা বাধায় আমেরিকাকে স্বাধিকার ত্যাগ করিয়া ইংলণ্ড এখন পরমুখাপেক্ষী হইয়াছে। আমেরিকায় গমের চাষের সুবিধা দেখিয়াই বিলাতের অর্থনীতিক ও রাজনীতিকগণ ইংলণ্ডের কৃষকদিগকে বুঝাইতে আরম্ভ করেন যে, আমেরিকার কৃষকই ইংলণ্ডকে গম ও ময়দা risks (fac-"The American farmer had a mission to supply Europe with wheat, and flour because he could do it cheapest.' Sri ša (SS কৃষক তাহাই বুঝিয়াছিল। কিন্তু এখন লসন-প্রমুখ লেখকগণ বুঝাইয়াছেন, সে ভুল বুঝিয়াছিল। তখন যদি সে তুল না বুঝিত-যদি সে আপনার ব্যবসা রক্ষা করিবার জন্য প্রতিযোগিতা করিতে বদ্ধপরিকর হইত, তবে জমীর ও আবহাওয়ার সুবিধা পাইয়াও আমেরিকা আজ এ বিষয়ে ইংলণ্ডের ব্যবসা নির্ম্মল করিতে পারিত না। আমাদিগকেও বুঝিতে হইবে, বিদেশের কলকারখানায় পণ্যের জন্য উপকারণ উৎপাদনা করিয়া অপূর্ণ আহারের সংস্থান করাই আমাদের নিয়তি নহে ; আমরা পূর্বে যেমন পণ্যই প্রস্তুত করিয়াছি, এখনও তেমনই পণ্যই প্রস্তুত করিতে পারি।-- আমাদিগকে সেই দিকেই মন দিতে হইবে । দেশে বড় বড় কলকারখানা সংস্থাপিত হইলে যে সঙ্গে [ва] (R) সঙ্গে উটজ শিল্পের তিরোভাব স্বাভাবিক ও অনিবার্য্য, এমনও নহে। জাপানের বর্তমান অবস্থায় তাহার প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। জাপান প্রতীচ্যপ্রথায় দেশমধ্যে বড় বড় কলকারখানা সংস্থাপিত করিতে ত্রুটি করে নাই ; বরং নূতন নূতন কল আমদানী বাবদে জাপানের বায়বাহুল্য বিদেশী লেখকদিগের বিদ্রাপের বিকাশ করিয়াছে। এবার কিন্তু দেখা গিয়াছে, জাপানের অর্থব্যয় নিরর্থক হয় নাই । য়ুরোপে মহাসমরের অনলশিখা জ্বলিয়া উঠিয়া ব্যবসার ক্ষতি করিতে না করিতে জাপান যুরোপের ক্ষতিকে আপনার লাভে পরিণত করিয়াছে—দেশলাই হইতে কাচের শিশি, খেলানা হইতে কাপড় পর্য্যন্ত সবই জাপান চালান দিতেছে --বাণিজ্যের স্রোতে অনিবার অর্থ আহরণ করিতেছে । BBBB BBB DDDS SD DBDBBB DDD DDSSYDD DDD কলকারখানার পাশ্বেই উটজ শিল্প চলিতেছে । ভারতে তাহা না হইবার কোনই কারণ নাই । বিশেষ ভারতে আমরা উটজ শিল্পেই অভ্যস্ত-ভারতের শিল্পী উটজ শিল্পীপণ্য-উৎপাদন-কৌশল তাহার পুরুষানুক্রমে সঞ্চিত বিদ্যা । সামান্য চেষ্টায় সেই কৌশলের-সেই বিদ্যার সদ্ব্যবহারফলে ভারতীয় উটজ শিল্প বড় বড় কলকারখানার প্রতিযোগিতা হইতে আত্মরক্ষা করিতে পারে । BB DBDSDDBB DBBD DDD DBD DDD ব্যবসা প্রতিষ্ঠার অনেক অন্তরায় বিদ্যমান। বিখ্যাত বিজ্ঞানবিদ শ্রদ্ধেয় শ্রীযুত প্রমথনাথ বসু মহাশয় তাহার নবartfits 'rig'9ts CSS satfg' (Illusions of New India) নামক উপাদেয় পুস্তকে সেই সব অন্তরায়ের আলোচনা করিয়াছেন । প্রথম অন্তরায়-মূলধনের অভাব। বর্ত্তমানে মূলধনের স্বচ্ছলতা ব্যতীত বড় বড় ব্যবসার প্রতিষ্ঠা হইতে পারে না। এখন কলে কাজ হয়-সে সব কল বহুমূল্য। যে কারখানায় যত অধিক ও যত বড় কল খাটান হয়, সে কারখানায় পণ্যের খরচের পড়তা তত কম হয়। প্রতিযোগিতা এত প্রবল-লাভের পরিমাণ এত অল্প যে, ব্যবসা বিরাটভাবে চালাইতে না পারিলে পোষাইতে পারে না । এ কথাটা আমাদিগকে সর্বদাই মনে রাখিতে হইবে । ১৯০০ খৃষ্টাব্দে আমেরিকার যুক্ত প্রদেশে পণ্যোৎপাদক ব্যবসার মূলধন ৩০০০ কোটি টাকা ছিল ! এরূপ মূলধন দিয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠার স্বপ্নও আমরা দেখিতে পারি না। এই মূলধন