পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/৪২৪

R8 “জ্ঞানেন ক্রিয়য়া বাপি গুরুঃ শিষ্যং পরীক্ষয়েৎ । ংবৎসরং তদর্থং বা তদন্দ্বং বা প্রযত্নতঃ” ৷ ( কুলার্ণবতন্ত্র । ) জ্ঞানের দ্বারা বা ক্রিয়াদ্বারা গুরু এক বৎসর, অভাবে DY D BBDDSDBDDB BBDD BD DB BDDD BDBD সকল নিম্বফল হয় । দেখুন - পরীক্ষা করিয়া। তবে দীক্ষা প্রদান করিবেন। “শিষ্যোহপি লক্ষণৈরেতৈঃ কুর্য্যাদগুরু পরীক্ষণং ” শিষ্যও ঐ সকল লক্ষণদ্বারা গুরু-পরীক্ষা করিবে । ধনেছ, ভয় বা লোভাবশতঃ অযোগ্য * ব্যক্তিকে দীক্ষা প্রদান করিলে গুরু শাপগ্রস্ত হন এবং তাঠিার কৃতকার্য্য এতদসম্বন্ধে তন্ত্র কি বলিতেছেন, a p “ধানেচ্ছা ভয়লোভান্তৈরযোগ্যং যদি দীক্ষয়েৎ । দেবতা শাপমাপ্নোতি কৃতঞ্চ নির্ম্মফলং ভবেৎ ৷” ( কুলার্ণবতন্ত্র । ) এইবার বর্জনীয় গুরুলক্ষণ বলা যাইতেছে । কুষ্ঠ, স্বত্রী, নেত্ররোগী, বামন, কুনখী, শ্যাবদ গু, অঙ্গহীন বা অধিকাঙ্গ, ক্ষয়রোগী, দুশ্চম্মা, বধির, অন্ধ, পূতনাসিক, বৃদ্ধ, চিররোগী, কুব্জ, নপুংসক, বেদশাস্ত্রবিবৰ্জিত, y. শুষ্কভাষী, কুৎসিত, বৈদ্য, কামুক, ক্রুদ্র, দম্ভ ও মাৎসর্য্যযুক্ত, ব্যািসনী, কৃপণ, খাল, কুসঙ্গী, নাস্তিক, মহাপাতকচিহ্নিত, সন্ধ্যা-তৰ্পণ-পূজা-মন্ত্রজ্ঞানবৰ্জিত, লোভী ও সংস্কারDBDB DDBDBBD DBLD DD BBDBB BBDBD uDD DBuDDSDD SS “কঠিনঞ্চ রিপুঞ্চৈব সোদরং বৈরিপক্ষিণং। মাতামহর্ধঞ্চ পিতরাং যতিনিং বনবাসিনং ॥ বৰ্জয়িত্ব চ শিয্যেন্দ্রো দীক্ষাবিধিমুদাচারেৎ । অন্যথা তদ্বিরোধেন কায়ানাশো ভবেদধ্রুবং ৷” ( তন্ত্রসার । ) কঠিন, রিপু, সোদর, শত্রুপক্ষ, মাতামহ, পিতা, সন্ন্যাসী এবং বনবাসী, ইহাদিগকে ও ত্যাগ করিয়া অন্যত্র দীক্ষাগ্রহণ করিবে, নতুবা নিশ্চয় প্রাণনাশ হইবে। উপরে যে সকল কথা বলা হইল—তদ্বারা পুঝা যায় যে, গুরুকরণের পূর্ব্বে-ধাঙ্গাকে গুরু করিতে চাইবে, তিনি বৰ্জনীয় গুরুলক্ষণাক্রোন্ত, কি শাস্বসঙ্গত গুরু করণের উপযুক্ত, তাহা দেখিয়া গুরুনির্বাচন করা উচিত। আমাদের দেশে প্রথা আছে, যে পিতা বা পিতামত যে গুরুর নিকট দীক্ষিত হইয়াছেন, তাহাকে বা তাহদের বংশের কোন লোককে গুরু করিতেই হইবে,-ইহার কোন যুক্তি বা শাস্ত্রীয় বিধি দেখিতে পাওয়া যায় না । শাস্ত্র বলিয়াছেন “গুরেী মানুষ বুদ্ধিন্তু মন্ত্রে চাক্ষরভাবুনাং । প্রতিমাসু শিলাবুদ্ধিং কুর্ব্বাণে নরকং ব্রজেৎ ৷” অনাথবন্ধু। [ প্রথম বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩২৩ । besar TNha حــــــــــــــــــــــــ ــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــــخـــــــــــــــ na এমত অবস্থায় র্যাহাকে সাধারণ মানুষ বলিয়া বোধ আছে, যাহাকে দেখিলে ভক্তির উদয় হয় না, প্রত্যুত অপকর্ম্মকারী হইলে তাহার সেই অপকর্ম্ম মনে হইয়া তাহার প্রতি অভক্তি জন্মে, তিনি পৈতৃক গুরুবংশোদ্ভব বলিয়া র্তাহাকে গুরুত্বে বরণ করা কতদূর সমীচীন, তাত পাঠক বিবেচনা করিবেন। গুরু করিলাম, কিন্তু তঁাচার প্রতি ভক্তি নাই, ইহা নরকগমনের হেতু মাত্র। যদি অনুপযুক্ত হইলেও পৈতৃক- গুরুবংশজাত ব্যক্তিকেই গুরু করা শিবের অভিপ্রেত হাইত, তবে সদগুরুর লক্ষণ, বৰ্জনীয় গুরুর লক্ষণ এবং গুরু ও শিষ্যোর পরস্পর পরীক্ষাবিধি ইত্যাদি ব্যবস্থা করিবার কি প্রয়োজন ছিল ? পৈতৃক-গুরুবংশে গুরুকরণের উপযুক্ত ভাল লোক থাকিলে অবশ্য “তঁাতাকেই গুরুত্বে বরণ করা উচিত, কিন্তু যদি ঐ বংশে শাস্ত্রসঙ্গত গুরুকরণের উপসুক্ত লোক না থাকেন, তবে যেখানেই সদগুরু পাওয়া যায়, সেইখানেই গুরু করণ করি৩ে শাস্ত্রে কোন নিষেধ দেখা যায় না। বরং মহাদেব স্পষ্টষ্ট বলিয়াছেন যে, জ্ঞানের জন্যই গুরুসেবার আবশ্যক ; অতএব যিনি জ্ঞানদানে অক্ষম, তাহাকে পবিত্যাগ করিয়া জ্ঞানীগুরুর শরণাপন্ন হইবে । নিম্নে তন্ধের কথা গুলি উদ্ধত করা গেল । “সব্বেষা ভুবনে সত্য জ্ঞানায় গুরুসেবনং। জ্ঞানান্মোক্ষমিবাপ্নোতি তস্মাৎ জ্ঞানং পরাং পরং | অতো যে জ্ঞানদানেঠিনক্ষমস্তং ত্যজেদ গুরুং । অন্নাকাজক্ষী নিরন্নঞ্চ যথা সংত্যজাতি প্রিয়ে ৷ জ্ঞান ত্রয়ং যদা ভাতি স গুরুঃ শিব এবং হি । অজ্ঞানিনাং বৰ্জয়িত্ব শরণং জ্ঞানিনো ব্রজেৎ” । ( कiभाथTांडीं । ) কামাখ্যাতন্ত্রের চতুর্থ পটলে শিব আরও বলিয়াছেন “মধুলুদ্ধে যথা ভুঙ্গঃ পুষ্পাৎ পুষ্পান্তরং ব্রজেৎ। জ্ঞানলুব্ধস্তথা শিষো গুরো গুর্ব্বিন্তরং ব্রজেৎ ৷” মধুলুব্ধ ভ্রমর যেমন মধুর তল্লাসে এক পুষ্প হইতে অন্য পুষ্পে গমন করিয়া থাকে, শিষ্য ও তদ্রুপ মন্ত্রদাতা গুরু জ্ঞানদানে অক্ষম হইলে অন্য জ্ঞানী গুরুর আশ্রয় গ্রহণ করিতে পারে। তন্ত্রশাস্ত্রে বয়ঃকনিষ্ঠের নিকট দীক্ষা নিষিদ্ধ বলিয়া উক্ত হইয়াছে, কিন্তু “তস্মাদগুরোৰ্বিংশজাতং বয়োল্পমপি পণ্ডিতং গুরুং কুর্য্যাস্তু, দীক্ষায়নবিচার্য্য গুরোঃ কুলং” অর্থাৎ গুরুবংশে যদি কেহ জ্ঞানী থাকেন, তবে তিনি অল্পবয়স্ক হইলেও তাহার নিকট দীক্ষিত হইবার কোন বাধা নাই, একথাও বলা হইয়াছে। ইহা দ্বারাও বেশ বুঝা যায় যে, গুরুকরণের জন্য জ্ঞানীগুরুই আশ্রয় व्७धों क6वा । গুরুতা ব্যবসায়ীদিগকে বংশপরম্পরা গুরুকরণের শাস্ত্রীয় প্রমাণের কথা জিজ্ঞাসা করিলে তাহারা বলেন