°s一硝不中11]
al
১। “গুরুবৎ গুরুপুত্ৰেষু গুরুবৎ তাৎ সুতাদিষু ।
গুরুবৎ পূজনং কাৰ্য্যং গুরুবৎ তোষণাদিকং ॥”
২। “গুরোস্তু সন্ততিং ত্যক্ত ন গুৰ্ব্বন্তরমাশ্রয়েৎ ”
৩। “গুরুত্যাগে ভবেন্মত্যুঃ মন্ত্রতাগে দরিদ্রতা।”
“অবিদ্যো বা সবিদ্যো বা গুরুরেব চ দৈবাত্তং । অমার্গোস্থো মাৰ্গস্থো গুরুরেব সদ গতি।”
8
“পৈত্ৰং কুলগুরুং যাস্তু তাজেদ বৈ ধৰ্ম্মমোহিতঃ। স যাতি নরকং ঘোরং যাবচন্দ্রার্কতারকং ”
উপরি-উক্ত কথাগুলির দ্বারা পিতৃ-পিতামহের গুরুবংশোদ্ভব অযোগ্য ব্যক্তিকে ও গুরু করিতেই হইবে, এমত বুঝা যায় না ।
প্রথমতঃ বিবেচনা করিতে হইবে, গুরু কাহাকে বলে এবং গুরুত্যাগ শব্দের অর্থ কি ?
আমি গুরু শব্দের অর্থ যাহা দেখিয়াছি, তাহা যথাক্রমে নিম্নে উদ্ধৃত করিলাম :-
১ । “মন্ত্রদাতা গুরুঃ প্রোক্তো মন্ত্ৰোহি পরমো গুরুঃ ।
পরাপর গুরুত্বং হি পরমেষ্ঠী গুরুরহং ৷”
শিব ভগবতীকে বলিতেছেন যে, গুরুশব্দে মন্থদাতা বুঝিতে হইবে। মন্ত্রকে পরম গুরু বলে। তুমি পরাপরগুরু এবং পরমেন্ঠী গুরু আমাকেই জানিবে ।
২ ) “গুকারশচন্ধকারঃ স্ত্যাদ্রিকারস্তেজ উচ্যতে ।
অজ্ঞানধবংসকং ব্ৰহ্ম গুরুরেব ন সংশয়ঃ ”
“গু” শব্দের অর্থ অন্ধকার, “রু” শব্দের অর্থ তেজঃ।। অতএব অজ্ঞানরূপ অন্ধকারধ্বংসকারী গুরুই রহ্ম, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই ।
৩ । “গুশব্দশচান্ধকারঃ স্যাদ্রব্রুশব্দস্তন্নিরোধকঃ ।
অন্ধকার নিরোধিত্বাৎ গুরুরিতাভিধীয়তে ||”
“গু” শব্দে অন্ধকার, “রূ” শব্দে তাহার নিরোধক অর্থাৎ তেজ: পদার্থ। অতএব যিনি অজ্ঞানরূপ অন্ধকার নাশ করেন, তিনিই গুরু ।
৪ । “গকারঃ সিদ্ধিদঃ প্রোক্তো রেফঃ পাপস্য দাহকঃ । উকার শাস্তুরিত্যুক্ত স্থিতয়াত্মা গুরুঃ স্মৃত: ॥”
“গ” শব্দে যিনি সিদ্ধিদান করেন, “র” শব্দে যিনি
পাপনাশ করেন, “উ” শব্দে মহাদেব । এই তিন একত্ৰে
গুরু শব্দ হইয়াছে।
এই অর্থসমূহের মধ্যে পিতা-পিতামহের গুরুবংশোদ্ভব
ব্যক্তি গুরুশব্দবাচ্য, ইহা কোথায়ও দেখিতে পাই না।
"গুরুবৎ গুরুপুত্ৰেষু” ইত্যাদি শব্দ বৈধকৰ্ম্মোপদেশ
তন্ত্রে দীক্ষা ও গুরু-বিচার।
- R&dt
মাত্র। গুরুকে যেভাবে প্ৰণাম, সম্মান ইত্যাদি করিৰার ব্যবস্থা আছে, গুরুপুত্রপৌত্ৰাদিকেও সেইরূপ প্ৰণাম, সম্মান করিবার বিধি আছে। সুতরাং এই শ্লোকের দ্বারা পিতৃ-পিতামহের গুরুবংশোদ্ভব অথচ জ্ঞানদানে অক্ষম ব্যক্তিকে গুরু করিতেই হইবে, এরূপ বোধ হয় না । “গুরোস্তু সন্ততিং ত্যাক্তা ন গুৰ্ব্বন্তরমাশ্রয়েৎ"-ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, কোন ব্যক্তি দীক্ষিত হইবার পর সম্যকপ্রকারে ক্রিয়াপদ্ধতির উপদেশ পাইবার পূর্বে র্তাহার গুরুর দেহ নাশ হইলে ঐ সকল উপদেশের জন্য সেই ব্যক্তি "গুরুসন্ততিকে গুরুরূপে আশ্রয় করত ঐ সকল অভাব পূরণ করবে। তিনি অক্ষম হইলে বাহাদ্বারা সেই অভাব পূরণ হয়, তঁহারই আশ্রয় গ্ৰহণ করিবে । “গুরুত্যাগে ভবেন্মতুঃ মন্ত্রত্যাগে দরিদ্রতা”—মন্ত্রগ্রহণের পর গুরু-শিষ্য সম্বন্ধ হয়। অতএব দীক্ষার পূর্বে পিতৃ-পিতামহের গুরুবংশোদ্ভব ব্যক্তি গুরুকরণের অনুপযুক্ত বলিয়া বৰ্জিত হইলে তাহাকে গুরুত্যাগ বলা যাইতে পারে না । দ্বিতীয় কথা-জ্ঞানলুব্ধ শিষ্যের জন্য এমন কি দীক্ষা-" গুরু ও যদি জ্ঞানদানে অক্ষম হন, তবে তঁাহাকে পরিত্যাগ করিয়া গুৰ্ব্বস্তরগ্রহণের ব্যবস্থা আছে। “গুরুত্যাগে ভবেন্মত্যুঃ” ইহাও যে শিবের উক্তি, “মধুলুদ্ধে যথাতৃঙ্গঃ পুষ্পাৎ পুষ্পান্তরং বজেৎ, জ্ঞানলুব্ধস্তথা শিষ্যো গুরোগুৰ্বিন্তরং ব্রজেৎ”-ইহাও সেই শিবের বাক্য । ব্ৰহ্মজ্ঞানই গুরুর সর্বস্বাধন । ব্ৰহ্মজ্ঞানী গুরু বিদ্বানই হউন, অথবা বিদ্যাশূন্যই হউন, তিনিই দেবতা। তিনি আমাৰ্গস্থ হইলেও অর্থাৎ লোকাচারিবিরুদ্ধ কোন কাৰ্য্য করিলেও তাহ নিন্দনীয় নহে । তিনিই শিষ্যের একমাত্র BBD SS DBDDB BB D SDuBDBD D DBBBD D S DDBBBD S দৈবতং” ইত্যাদি শ্লোকের তাৎপৰ্য্য। শিষ্যের গুরুভক্তি বৃদ্ধির জন্য এই কথা বৈধকৰ্ম্মোপদেশও হইতে পারে। মন্ত্রদাতা গুরুকে অমানুষ অর্থাৎ দেবতাভাবে ভক্তি ও পূজা করা কীৰ্ত্তব্য । যে ব্যক্তি গুরুকে সাধারণ মানুষ জ্ঞান করে, সে নরকগামী হয়, ইহা পূর্বেই বলা হইয়াছে। যেরূপ গুরুই হউন, তিনি শিষ্যের নিকট দেবতুল্য মান্য। পাছে কেহ গুরুকে অভক্তি করে, এই আশঙ্কায় মহাদেব বলিয়াছেন-গুরু যেরূপই হউন না কেন, অবিচলিত চিত্তে র্তাহাকে ভক্তি করা শিষ্যের অবশ্য কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম । অতএব গুরু অবিদ্যই হউন আর সবিদ্যই হউন, তিনিই শিষ্যের দেবতা এবং তিনি মাৰ্গস্থই হউন, বা আমাৰ্গস্থই হউন, তিনি শিষ্যের একমাত্র গতি বলায় বৈধকৰ্ম্মোপদেশ ব্যতীত পৈতৃকগুরুবংশোদ্ভব ব্যক্তি বলিয়া মুর্থ অথবা গুরুকরণের অযোগ্য হইলেও তঁাহার নিকট দীক্ষিত হইতেই হইবে, এমত বিবেচনা হয় না । “পৈত্ৰং কুলগুরুং যন্ত্ৰ”--ইত্যাদি শ্লোকটি দেখিলে স্পষ্ট বুঝা যায় বটে যে, পৈতৃক-কুলগুরুত্যাগ করিয়া অন্য গুরুর