পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব হুগলী জেলার কামারপুকুর গ্রামে আবিভূতি হন। সে আজ ৮১ বৎসরের কথা । তঁহার পিতার নাম ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়, জননীর নাম চন্দ্রমণি দেবী । বাল্যকালে রামকৃষ্ণদেবের নাম ছিল-গদাধর । তিনি পাঠশালায় অতি সামান্য রকম লেখাপড়া শিখিয়াছিলেন। ছোটবেলা তিনি কথকতা শুনিতে বড় ভালবাসিতেন। যেখানে কথা হইত, সেইখানে যাইয়া কথা শুনিতেন । ১১ বৎসর বয়সে তিনি ভাবসমাধি প্রাপ্ত হন । ১৭। ১৮ বৎসর বয়সে তিনি কলিকাতায় আসেন । রাণী রাসমণি কলিকাতার আড়াই ক্রোশ উত্তরে দক্ষিণেশ্বরে কালীবাড়ী স্থাপন করিলে, রামকৃষ্ণদেব প্রায়ই তথায় যাইতেন। পরে সেখানে তিনি পূজারী নিযুক্ত হন। শেষে তিনি পূজা ছাড়িয়া কেবল প্রতিমার নিকট বসিয়া থাকিতেন এবং মা মা করিয়া ডাকিতেন। ঠাকুরের বয়স যখন ২১২২ বৎসর, তখন র্তাহার আত্মীয়স্বজন সকলে র্তাহার বিবাহ দেন । জয়রামবাটীনিবাসী ৬/রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শ্রীশ্রীসারদামণি দেবীর সহিত তঁাহার বিবাহ হয় । মায়ের বয়স তখন ছয় বৎসর মাত্র । কিন্তু তাহার পর হইতেই রামকৃষ্ণদেবের অবস্থা সম্পূর্ণ ফিরিয়া গেল। পূজা করিবার সময় তিনি দেবীর দিবারূপ দেখিতে লাগিলেন। তঁহার সমাধি হইতে লাগিল । সকলে তঁহাকে মহাপুরুষবোধে যত্ন ও সন্ধান করিতে লাগিল । নানা দেশ বিদেশ হইতে লোক তঁাহাকে দর্শন করিতে আসিত। ঠাকুরকে দেখিয়া সকলের মনে ভগবদ্ভাব উছলিয়া डेटिड । 6कश् बनिएडन, डिनि औदशूख भश्ॉशूक्य,- 6कश् বলিতেন, তিনি স্বয়ং ভগবান। একই কথা । কেননা, ভক্তে ও ভগবানে ভেদ নাই। জগন্মাতা ঠাকুরকে বলিয়াछिटनम,—“फूभि ७ अभि यक । जूभि उखि निहन्न थाक, --ভক্তিধর্ম্ম দেখাও, জীব মুক্তি পাবে।” তিনি কামিনীকাঞ্চনে সম্পূর্ণ অনাসক্ত ছিলেন। তিনি বরাবরই বালকের দ্যায় সরল ও শুদ্ধ ছিলেন । স্ত্রীজাতিকে জগদম্বাবোধে পূজা করিতেন। তিনি ৫২ বৎসর দেহধারণ করিয়াছিলেন। ঠাকুর অতি সরল কথায় ও সরল ভাষায় লোককে উপদেশ দিতেন। তঁহার উপদেশ লোকের মর্ম্মস্থলে প্রবেশ করিত । শাস্ত্রের অতি জটিল তন্তু তিনি অত্যন্ত সরলভাবে বুঝাইতেন, তাহা শুনিলে সব কথা অতি সহজে বুঝা সাইত। অমন সরল উপদেশ আর কেহ কখনও দিতে পারেন নাই। আমরা ক্রমে তাহার কতকগুলি উপদেশ প্রকাশিত করিব। -- * দেহী ও দেহ। مم (১) ভগবান রামকৃঞ্চদেব বলতেন,-“দেহী ও দেহ বালিস ও তাহার খোল ।” খোলের মধ্যে যখন বালিস থাকে, তখনই বালিসের শোভা । বালিস না থাকিলে তাহার খোলটা কিছুই নয়। বালিস ছাড়িয়া কেহ কেবল খোলের আদর করে না । সেই শূন্যদেহটা কিছুই নয়,-তাতার বেশী আদর নিম্প্রয়োজন। তবে বালিসের খোলটাকেও ৷ যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করিয়া রাখা উচিত, দেহটাকেও তেমনই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ভাল । দেহটাতে বেশী মমত্ববুদ্ধি ভাল নয়। দেহের ভিতর যিনি আছেন, তিনিই অবিনশ্বর,-ভঁাতারই পূজা করা উচিত ; কারণ, জীবের डिडत किय थांकन । জীব ও সংসার । (২) সংসারে থেকে সংসারের সব কাজ করবে ; কিন্তু মন সর্ব্বদাই ঈশ্বরে রাখবে। সকলের নীচে থাকবে ও - সকলকে সেবা করবে,-কিন্তু মনে রাখবে, তা’র তোমার কেউ নয় । যেমন নষ্টা নারী । সে গৃহকর্ম্ম সবই করে, ঘর নিকায়, পুছে, সব করে,-কিন্তু সেই কাজের মধ্যে থাকলেও তার মনটা উপপতির দিকে পড়ে থাকে। সে কখন আসবে, সেই ভাবনাই সে ভাবে । সেইরূপ সংসারে কাজকর্ম্ম করবে, কিন্তু মন ভগবানে রাখবে। যেমন বড়মানুষের বাড়ীর ঝি,-সে। পরের সংসারের সকল কাজ করে, কিন্তু তাহার মনটা আপনার ঘরকন্নার দিকে পড়ে থাকে । সে মানিবের ছেলেমেয়েদের আপনার ছেলেমেয়ের মত ক’রে মানুষ করে, কিন্তু মনে জানে, এরা তার কেউ নয়। সংসারটাও সেইরূপে করা চাই, সব কাজ করতে হবে, কিন্তু ঈশ্বরে মন ফেলে রাখবে। বিষয়চিন্তা ও আসক্তি । (৩) ঈশ্বরে মন না রেখে যদি সংসার করতে যাও, তা হ’লে সংসারে অত্যন্ত বেশী জড়িয়ে পড়বে-সংসারে মমতা বেশী হবে। বিপদে, শোকে, তাপে অধীর হয়ে পড়বে। যত বিষয় চিন্তা করবে, ততই বিষয়ে আসক্তি বাড়বে। কঁঠাল ভাঙ্গতে হ’লে হাতে তেল মাখতে হয় ; তা’ না হ’লে হাত আটায় জড়িয়ে যাবে। ঈশ্বরে মতিটা সেইরূপ তেল,-উহা লাভ ক’রে যদি সংসার করা যায়, তা হ’লে আর রোগে, শোকে, তাপে কষ্ট পে’তে হয় না। उडिडांडिल टे°ांध्र । (৪) ঈশ্বরে ভক্তি করিতে হইলে নির্জনে থাকা চাই । সংসারের কোলাহলে কেবল প’ড়ে থাকলে ভক্তি জন্মে না।