পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ხŠტ ܣܒܝܣܫܝܢܚܣܦܝܝܣܡܝܣܬܝܚܝܢܣܒ Ahr طبس حصر خسته --حه “সৰুড়ীতত্ত্ব’টাও পুৱা বিজ্ঞানানুমোদিত। সাহেবের ও মুসলমানেরা শয্যায় বসিয়া খাইতে কুণ্ঠাবোধ করেন না। কিন্তু হিন্দুরা মনে করিয়া থাকেন যে, দ্বিতীয় পাত্র পর্য্যন্ত “সৰ্কড়ী” হইয়া থাকে অর্থাৎ এক থালা ভাত যেখানে ধসান যায়, সেটাও “সকড়ী” হয়-কিন্তু যদি এক থালা ভাত বড় একটা বারকোষের উপরে বসাইয়া সেই বারকোষটিকে মাটিতে বসান যায়, তবে সে মাটি এটো হয় না। অবশ্য টেবিলে বসিয়া ভোজন করিলে, জল ছিটাইয়া সে জায়গাটিকে পরিষ্কার করার (নিকাইয়া লওয়ার ) প্রয়োজন হয় না ; কিন্তু সাহেবেরা বনভোজন করিতে বসিলে স্থানস্থান বিচার করেন না । কিন্তু হিন্দু যেখানেই বসুন, সে জায়গাটাকে পরিষ্কার করেন এবং “সকড়ী” “সকড়ী” করিয়া “উদ্ব্যস্ত’ করেন। এটা কি গোড়ামী না মূর্থিতা ? এটা দুইয়ের কিছুই নহে। যাহারা জীবাণুতত্ত্ব বা ব্যাকটিরিওলজি জানেন, তাহারা সকলেই স্বীকার করিবেন যে, আহার্য্যসামগ্রীর কণামাত্র পাইলেই জীবাণুগণ বংশবৃদ্ধি লাভ করিতে থাকে এবং আহার্য্য জিনিষের অবাধস্পর্শে নানারূপ সংক্রামক ব্যাধি ব্যাপ্তিলাভ করে। এই জন্যই হিন্দুরা যাহার তাহার স্পষ্ট ভোজ্য গ্রহণ করেন না, যথা তথা পংক্তিভোজনে আপত্তি করেন এবং “সকড়ী” “সকড়ী” বলিয়া ব্যস্ত হইয়া পড়েন। যে সকল ভোজ্য সদ্যঃ ধুইয়া আহার করা চলে (যেমন ফল), হিন্দু সে সকল ভোজ্য যেখানে সেখানে গ্রহণ করিয়া থাকেন। লুচি ও সন্দেশের চলনটা বর্ত্তমান যুগের ; কিন্তু ভাতটা বহুকালের চলন। ভাত ধুইয়া আঙ্গার করা চলে না বলিয়া, হিন্দু যেখানে সেখানে অন্নগ্রহণ করেন না । হিন্দুরা বলেন, দুগ্ধে লবণ দিয়া পান করিলে গোমাংস ভক্ষণ করার তুল্য হয়। অনেকের অভ্যাস আছে, দুধে S S DBDDS DB S KBDBD gBDB DDD D DBBDBD BBSSS রকম করিলে, দুধে লবণ দিয়া পান করারই তুল্য হয়। একত্র দুধ ও মাংসভক্ষণের নিষেধের হেতুও এই। অনেকে এ সকল কথাগুলি গোড়ামী ও বোকামীর দৃষ্টান্ত বলিয়া উড়াইয়া দেন। কিন্তু আজ পাশ্চাত্য চিকিৎসাশাস্ত্র अनीश्यकू। [ প্রখম বৰ্ষ, পৌষ, ১৩২৬৷৷ ak "م ܫܩܒܩܒܝܢܣܦܦ̈ܝܣܩ al ۔۔۔۔ মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিতেছেন যে, লবণসংযোগে দুধের পরিপাকক্রিয় ভাল হইতে পারে না । অতএব এখন আমরা নিশ্চয়ই বুঝিলাম যে, হিন্দুরা লবণসংযোগে দুধের ব্যবহার নিষেধ করিয়া ঠিক কাব্যই করিয়াছিলেন। হিন্দুরা মৃতদেহের সৎকার করিয়া থাকেন—অপরাপর জাতিৱা প্রোপিত করেন । সৎকার করাই সর্ব্বাপেক্ষা শাস্ত্রানুমোদিত বিধি। অগ্নিসংযোগে মৃতদেহস্থ যাবৎ রোগবীজ ও জীবাণু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়—প্রোথিত করিলে তাহার ফলে অনেকটা জমী ও তদূৰ্দ্ধস্থ বায়ু দূষিত হইতে থাকে। তবে প্রসবের ফুল ও সদ্যোজাত শিশু মরিলে, এতদুভয়কে পুতিয়া ফেলিবার ব্যবস্থা তত অস্বাস্থ্যকর নতে, যে হেতু এই দুইটিরই সংক্রামক রোগদুষ্ট হইবার अgiदना कभ । বর্ত্তমান সময়ে “ইউজেনিক্স” বলিয়া একটি বাক্যের সৃষ্টি হইয়াছে। উচ্চার তাৎপর্য্য এই :-পুষ্টদেহ ও পরিণত বয়সে সন্তানাদি হইলে, তাহারা স্বাস্থ্য ও মেধা বেশী লইয়া জন্মগ্রহণ করে । এই কথার আলোচনা অপর একদিন করিবার ইচ্ছা রহিল। কিন্তু হিন্দুরা যে এ বিষয়ে খুব মনোযোগী ছিলেন, তাহা অস্বীকার করিবার যো নাই । হিন্দুদিগের মধ্যে সে ধারণা আছে যে, অষ্টম গর্ভের সন্তান হইলেই কৃতী হয়, বোধ হয়, সেই ধারণা। ঐ ইউজেনিকসেরই नांश्रI डिgछ । এই প্রবন্ধে ইতস্ততঃ দু' চারিটি বিষয় লইয়া আমি ইঙ্গিত করা হিসাবে কথা বলিয়াছি। তাহাদিগের মধ্যে যে কোনও একটি বিষয় লইয়া অনেক কথা বলা চলে। যেমন বর্ত্তমানকালে অন্ততঃ কলিকাতার ছাত্রমণ্ডলীর মধ্যে “Brain food” বলিয়া একটা মস্ত আকাঙ্ক্ষা প্রকটি হইয়াছে, তাহার কারণ, তথা কথিত বিলাতী ঔষধের বিজ্ঞাপন । এ সম্বন্ধে রীতিমত আলোচনা করিলে বড় প্রবন্ধ হইয়া পড়ে—অথচ সার সত্য হিন্দুরা বহু বর্ষ পূর্বে ঠিক করিয়া রাখিয়াছেন যে,দ্বতই সর্ব্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট “Brain food”, এই জন্যই সাত্ত্বিক চিন্তাশীল মনীষীরা ঘূতভোজনই করিতেন, মাংসের জন্য লালায়িত হইতেন না ।