পাতা:অনাথবন্ধু.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(bー কঁদিতে হয়, কোথাও বা হাসিতে হয় ; সর্ব্বত্রই প্রকৃতির DYDBBD DDDDS KBBB DDD SS DDBB BBS T BDD DDD ভাঙ্গনী নদীর কুলে বাস করেন, তঁহাদের পক্ষে তো জীবনে । মরণস্বরূপ দেখিতে পাওয়া যায়। কখন ভাঙ্গিল-কাখন ভাসিয়া গেল, এই ভয়ে তাহাদিগের আহার-নিদ্রা নাই ! আষাঢ় মাসে ভাল ভাল ফলের শেষ হইতে থাকে, কেবল মূল ও শাকসব্জীর আবাদটা বঙ্গদেশে খুব প্রচুর পরিমাণে ভহীয়া থাকে । এই মাসে কৃষকদিগের বাটীতে লতায় বিছান ঝিঙ্গার হলদে হলদে ফুলগুলি প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় বড়ই প্রাণমান তরুণ করিয়া ফুটিয়া থাকে। ঝিংয়ে, মূলা, ঢ়োরস, কাকারোল, ডেঙ্গার ডাটা, ডুমুর, কচি কুমড়ো, ধোন্দিলে প্রভৃতি এই সময়ের ঋতু। তরকারী ; ) খাইলে কোষ্ঠ পরিস্কার ভয়, ভূতের দৃষ্টি ছাড়ে। ফলের মধ্যে আনারস, পেয়ারা, শসা, কঁঠাল, মর্ত্তমান কলা, এই গুলি ঋতুস্ফল। বর্ষাকালে মৃত্তিকাগর্ভে কেঁচো আর মৎস্যমাংসপ্রিয় বড় বড় বাবুদিগের পেটে কৃমির সঞ্চার হইয়া থাকে, সুতরাং তাহারা যদি যত্নপূর্ব্বক সর্ব্বদাই ঐ ঋতুফল গুলি অন্নব্যঞ্জনের সঙ্গে ব্যবহার করেন, তবে নিশ্চয়ই পাকস্থলীর কেঁচো-আক্রমণ হইতে রক্ষা পাইতে পারেন । এই সময়ে কচুশাক, আমুলিশাক, কচুর পাতা, হিঞ্চা, সুধুণী:শাক, ব্রাহ্মীশাক, জয়ন্তাশাক, গীমাশাক প্রভৃতি পরম উপকারী বলিয়া খ্যাত । কচুশাকে লৌহ গুণাত্মক পদার্থ আছে ; উহা রক্তপরিস্কারক, বলবৰ্দ্ধক,চক্ষুর হিতকর ও বিষনাশক ; এই শাক প্রেতিদিন খাইলেও অপকার নাই। আমুলিশাক আমরোগের মহৌষধ, হিঞ্চাশাকের মত পিত্তনাশক দ্বিতীয় নাই, সুষুণীশাক বাত ও শোথরোগের পক্ষে মহৌষধ, ব্রাহ্মীশাকের মত শ্লেষ্মদমনকারী আর দেখিতে পাওয়া যায় না, জয়ন্তীশাক পিত্ত্ব, শ্লেষ্ম ও কৃমিনাশক, গীমাশাক একমাত্র কৃমির মহৌষধ। দয়াময় ভগবান বুঝিয়া-সুঝিয়াই বৰ্ষাঋতুর উপযোগী করিয়া মানুষোর হিতের জন্য এই শাক গুলি সৃষ্টি করিয়াছেন। আমাদের দেশের বড়লোকের পক্ষে ইহারা ঘূণার বা তুচ্ছ অনাথবন্ধু। [ প্রথম বর্ষ, শ্রাবণ, ১৩২৩৷৷ ANNs তাচ্ছলোর বস্তু হইতে পারে, কিন্তু গরীবদিগের পক্ষে ইহারাই একমাত্র অমোঘ ঔষধের ন্যায় কার্য্য করিয়া থাকে । আষাঢ় মাসে আমাদিগের পুরীর পুরুষোত্তম ঠাকুরের রথযাত্রা হয়, তদুপলক্ষে বঙ্গদেশময় অনেক নকল রথযাত্রা স্থানে স্থানে দেখিতে পাওয়া যায়। এই সময়ে ঠাকুরের টানা শেষ হইলে, তিনি আবার শয়ন একাদশী তিথিতে দীর্ঘস্থায়ী শয়নে গিয়া পড়েন, আবার রাসের সময় না আসিলে নিদ্রা হইতে উঠেন না। এ কয়েকটি মাস কেন যে তিনি দিনরাত শুইয়া থাকেন, সে কথা জিজ্ঞাসা করিলে তৎসম্বন্ধে কেহ কিছু বলিতে পারেন কি ? আমার বোধ হয়, আষাঢ় মাসের শেষ হইতেই জগতে শক্তির লীলাখেলা আরম্ভ হয়, ছোট দিনের সঞ্চার হইতে অর্থাৎ সূর্য্য দক্ষিণায়নপথে যাইতে আরম্ভ করিলেই পৃথিবী পাপে পূর্ণ হয়, যক্ষ রক্ষাদির জাগ্রতাবস্থা উপস্থিত হয়, দক্ষিণায়নে ভূত প্রেতি দানবের বিচরণ আসিয়া পড়ে, তীর্য্যাগযোনি কীটপতঙ্গাদির বহুল জন্ম আরম্ভ হইতে থাকে, কাজেই আদ্যশক্তি মহামায়া শরতের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই শক্তিরূপে জনাদনের সৃষ্টির সমতা-সাধনের জন্য দশহস্তে দশরূপ প্রহরণ লইয়া অসুরকুলদমনের জন্য আসিয়া পড়েন। তিনি কালীপূজা পর্যন্ত মহাশক্তিভাবে মতামূর্ত্তিতে ব্রহ্মাণ্ডের দশদিক রক্ষা করিয়া যান, আবার শেষে জগদ্ধাত্রীর মূর্ত্তি দেখাইয়া মধুসুদনকে হরিশয়ন হইতে আহবান করেন; কার্ত্তিকী সংক্রান্তি পর্য্যন্ত তাহার দৈত্যদানবসংহারকার্য্য শেষ হইয়া যায়। অতঃপর বৎসরের প্রথম অগ্রহায়ণ আসিয়া জীবের সকল দুঃখ ঘূচাইয়া দেয়। সূর্যদেব স্বীয় রথে আরোহণ করিয়া উত্তরায়নপথে যাইবার মানস করেন, ঠাকুর উঠিয়া বিশ্ব প্রকৃতির শোভায় গা ঢালিয়া দিয়া বিশ্ব-রাস-রিসে নিমগ্ন হয়েনি। তারপর বুলনদোল, ফুলদোল প্রভৃতি কত কি প্রাকৃতিক খেলা ও আনন্দের সময় আসিয়া পড়ে । আর্যাদিগের এই বার মাসের বৈজ্ঞানিক প্রবাহ-দেবদেবীকুলের ভাবুকত ভাবিলেও হৃদয় বিস্ময় ও আনন্দরাসে श्ञांश्च, श् ।